ঈদের চিরচেনা ভিড় নেই সায়েদাবাদ বাস টার্মিনালে 

সায়েদাবাদ বাস টার্মিনালে ঈদে ঘরমুখো মানুষের সেই চিরচেনা ভিড় দেখা যাচ্ছে না। নেই যাত্রীদের ঠেলাঠেলি, কাউন্টার ম্যানদের হাঁকডাক। মাঝেমধ্যে ছেড়ে যাচ্ছে কিছু কিছু বাস। তবে শুক্রবার (৩০ এপ্রিল) বিকেলের পর যাত্রীর চাপ বাড়তে পারে।

সরেজমিন ঘুরে দেখা যায়, সায়েদাবাদ বাস টার্মিনালে সারিবদ্ধভাবে দাঁড়িয়ে আছে দূরপাল্লার বাস। কাউন্টারগুলোর সামনে যাত্রীদের নেই তেমন কোন ভিড়। কিছু কিছু যাত্রী পরিবার-পরিজন নিয়ে কাউন্টারের সামনে বসে আছেন।

তেজগাঁওয়ের নিহাল মিয়া বলেন, ‘পাথরঘাটায় গ্রামের বাড়িতে যাওয়ার জন্য অপেক্ষা করছি। অন্যবারের তুলনায় এবার একটু স্বস্তির সঙ্গে বাড়ি যেতে পারছি। নেই যাত্রীদের হুড়োহুড়ি কিংবা দেরিতে বাস ছাড়ার মতো বিড়ম্বনা। তবে ৬৮০ টাকার ভাড়া ৮০০ টাকা নেওয়ায় কিছুটা বিপত্তিতে পড়তে হচ্ছে।’ 

চট্টগ্রাম যাওয়ার জন্য হানিফ কাউন্টার অপেক্ষা করছিলেন মুরসালিন নোমানী। মতিঝিলের এ বাসিন্দা বলেন, ‘দুপুর ২টার দিকে কাউন্টারে এসেছি। ৫টায় বাস ছাড়বে। সেক্ষেত্রে স্বাচ্ছন্দ্যে গ্রামের বাড়িতে যেতে পারব বলে আশা করছি।’ 

কাউন্টার ম্যান ও পরিবহন সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে আলাপ করে জানা গেছে, সায়েদাবাদ টার্মিনাল থেকে বরিশাল ও খুলনা বিভাগের প্রায় ৫০ জেলায় ছেড়ে যাওয়ার জন্য বাসগুলো সার্বক্ষণিক প্রস্তুত রয়েছে। এছাড়া চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, বান্দরবান, সিলেট, নোয়াখালী, ফেনিসহ আশপাশের জেলাগুলোতে কিছু সময় পরপর বাস ছেড়ে যাচ্ছে।

রাজিব, সোনালী, বনফুল, সুবর্ণ, পর্যটন, হামিম, ইউনিক, হানিফ, শ্যামলী, এস আলমসহ অন্যান্য পরিবহনের টিকিটের দাম পূর্বের ন্যায় থাকলেও দক্ষিণবঙ্গগামী কিছু কিছু বাসের টিকিটের দাম দেড় থেকে ২০০ টাকা বাড়ানোর অভিযোগ পাওয়া গেছে।

তবে কাউন্টারম্যান সরাফত উল্লাহ বলছিলেন ভিন্ন কথা। রাইজিংবিডিকে তিনি বলেন, ‘আসলে এটি বাড়ানো নয়। মূলত যখন ঢাকায় ফিরব তখন বাসগুলোর বেশিরভাগ আসন খালি থাকবে। মূলত এ ক্ষতি পুষিয়ে নেওয়ার জন্যই দেড় থেকে ২০০ টাকা ভাড়া বৃদ্ধি করা হয়েছে। তাও কিছু সময়ের জন্য।’

ইউনিট ম্যানেজার ইমরান হোসেন রাইজিংবিডিকে বলেন, ‘আমরা ঈদ উপলক্ষে বাসের ভাড়া বৃদ্ধি করিনি। নির্দিষ্ট সময়ে বাস ছেড়ে যাচ্ছে। তবে যাত্রী তুলনামূলকভাবে অনেক কম। গার্মেন্টস ছুটি হলে যাত্রীর চাপ বাড়তে পারে।’