ঢাকা     মঙ্গলবার   ০৭ মে ২০২৪ ||  বৈশাখ ২৪ ১৪৩১

বিটিআই’র গুণগত মান ঠিক আছে: মেয়র আতিক

মেসবাহ য়াযাদ || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ২২:৩২, ২৭ আগস্ট ২০২৩   আপডেট: ২২:৩৪, ২৭ আগস্ট ২০২৩
বিটিআই’র গুণগত মান ঠিক আছে: মেয়র আতিক

ফাইল ছবি

ডেঙ্গুতে আক্রান্ত এবং মৃতের সংখ্যা বেড়ে যাওয়ায়, এডিস মশা ধ্বংসে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন (ডিএনসিসি) কর্তৃক আমদানিকৃত জৈব কীটনাশক ‘বিটিআই’ গুণগতভাবে ঠিক আছে বলে জানিয়েছে কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উদ্ভিদ সংরক্ষণ উইং।

রাজধানীর শেরেবাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষণাগারে ডিএনসিসির সরবরাহ করা নমুনা পরীক্ষায় দেখা গেছে, এটি ব্যাসিলাস থুরেনজিয়ানসিস ইসরায়েলেনসিস (বিটিআই)।

রোববার (২৭ আগস্ট) সিটি করপোরেশনে এ ফলাফল পাঠানো হয়েছে এবং তা হাতে পেয়েছেন বলে ডিএনসিসি মেয়র রাইজিংবিডিকে নিশ্চিত করেছেন।

আতিকুল ইসলাম জানান, বিটিআই আমদানি, প্রস্তুতকারক কোম্পানি ও দেশ নিয়ে বিভিন্ন গণমাধ্যমে নানা ধরনের নেতিবাচক সংবাদ ছাপা হয়েছে। অনেকে সরাসরি জালিয়াতিরও অভিযোগ করেছন। আমরা সবকিছু সহ্য করেছি। বিভিন্ন সরকারি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে আমতানিকৃত বিটিআই পরীক্ষার জন্য পাঠিয়েছি।

মেয়র জানান, আজ বিকালে ফলাফল পেয়েছি। সাধারণত বিটিআই’র মান ১২০০ হলেই তাকে কার্যকর বলে ছাড়পত্র দেওয়া হয়। ডিএনসিসির আমদানি করা বিটিআই’র মান ১৪০০ বলে জানা গেছে। তারমানে এডিস মশা নিধনে বিটিআই অত্যন্ত কার্যকর হবে।

অপরদিকে, কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উদ্ভিদ সংরক্ষণ উইংয়ের পরিচালক মো. ফরিদুল হাসান ডিএনসিসির থেকে পাঠানো বিটিআই নমুনা পরীক্ষার ফলাফল বিষয়ে জানান, বিটিআই পরীক্ষায় ফলাফল ইতিবাচক এসেছে।

এর আগে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষণাগারের রিপোর্ট এবং ডিএনসিসির স্বাস্থ্য বিভাগের ফিল্ডে প্রয়োগের রিপোর্টেও ‘বিটিআই’ শতভাগ কার্যকর বলে জানিয়েছেন ডিএনসিসির জনসংযোগ কর্মকর্তা মকবুল হোসাইন।

মেয়র বলেন, আমি শুনেছি বিটিআই এর কার্যকারিতা নিয়ে অনেক কীটতত্ত্ববিদ অনেক কথা বলছে। এও শুনেছি অনেক কীটতত্ত্ববিদ নিজেরাই বিটিআই সরবারাহের ব্যবসা করতে চায়। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমেও অনেক কথা ছড়ানো হচ্ছে। আসলে নিন্দুকেরা অনেক কথাই বলবে। ডেঙ্গু নিয়ন্ত্রণের জন্য আমরা নতুন নতুন উদ্যোগ গ্রহণ করছি, করে যাবো। স্পষ্ট বলতে চাই আমি ডেঙ্গু নিয়ন্ত্রণের একটি মহৎ উদ্দেশ্যে বিটিআই আমদানি করেছি। এখানে কারো কোন দুর্নীতি ও অনিয়ম প্রমাণ পেলে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

মার্শাল অ্যাগ্রোভেটের সরবরাহ করা পাঁচ টন বিটিআই প্রয়োগ করা হবে কি না-এমন প্রশ্নে মেয়র বলেন, মার্শালের সরবরাহকৃত বিটিআই যে সঠিক এবং কার্যকর সেটি সব টেস্টে প্রমাণিত হয়েছে। এখন ডেঙ্গুর প্রকোপ নিয়ন্ত্রণে এই বিটিআই ব্যবহার করা হবে কি না সে বিষয়ে দ্রুতই মিটিং করে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।

প্রসঙ্গত, ডেঙ্গু নিয়ন্ত্রণে এডিস মশা নিধনে ডিএনসিসিকে সিঙ্গাপুর থেকে প্রাথমিকভাবে ৫টন বিটিআই আমদানি করে দেয় মার্শাল অ্যাগ্রোভেট কেমিক্যাল কোম্পানি লিমিটেড। তবে শর্তানুযায়ী আমদানিকারক প্রতিষ্ঠান মার্শাল অ্যাগ্রোভেট কেমিক্যাল কোম্পানি লিমিটেড সিঙ্গাপুরের বেস্ট কেমিক্যাল থেকে বিটিআই আমদানি করেনি। এতে করে বিটিআইয়ের নামে প্রকৃতপক্ষে কী আমদানি করা হয়েছিল, সেই প্রশ্ন ওঠে।

পরে জানা যায়, মার্শাল অ্যাগ্রোভেট সিঙ্গাপুরের বেস্ট কেমিক্যাল থেকে বিটিআই কেনার ঘোষণা দিলেও সেটি তারা আমদানি করেছিল চীন থেকে। বিটিআই আমদানির লাইসেন্সও তাদের ছিল না। অভিযোগ ওঠার পর ডিএনসিসি থেকে লিখিত প্রমাণ চাইলে তারা সেটি না দেখানোয় তাদেরকে কালো তালিকাভুক্ত করে সিটি করপোরেশন। পাশাপাশি মার্শাল অ্যাগ্রোভেট কেমিক্যাল কোম্পানি লিমিটেডের চার কর্মকর্তার বিরুদ্ধে এফআইআর করা হয়। আর ভুয়া লাইসেন্সে বিটিআই আমদানির অভিযোগে মার্শাল অ্যাগ্রোভেটের বিরুদ্ধে মামলা করে চট্টগ্রাম কাস্টমস কর্তৃপক্ষ।

/মেয়া/এসবি/

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়