ঢাকা     শনিবার   ২৭ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ১৪ ১৪৩১

খালেদার মুক্তি ও বিদেশে চিকিৎসার বিষয়ে সিদ্ধান্ত মঙ্গলবার

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ১৯:২৬, ১৮ মার্চ ২০২৪  
খালেদার মুক্তি ও বিদেশে চিকিৎসার বিষয়ে সিদ্ধান্ত মঙ্গলবার

আইন, বিচার ও সংসদবিষয়ক মন্ত্রী আনিসুল হক (ফাইল ফটো)

বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার দণ্ড স্থগিত করে কারামুক্তির মেয়াদ বৃদ্ধি ও বিদেশে নিয়ে চিকিৎসার আবেদনের বিষয়ে মঙ্গলবার (১৯ মার্চ) সিদ্ধান্ত হবে বলে জানিয়েছেন আইন, বিচার ও সংসদবিষয়ক মন্ত্রী আনিসুল হক। 

সোমবার (১৮ মার্চ) সচিবালয়ে নিজ দপ্তরে সাংবাদিকদের তিনি বলেছেন, প্রথম কথা হচ্ছে, এই চিঠিতেও তারা আগের মতোই স্থায়ী মুক্তি চাচ্ছেন। আমি বুঝলাম না, স্থায়ী মুক্তি মানে কী? এবং বিদেশ যাওয়ার জন্য অনুমতি চাচ্ছেন। আমরা কাছে আজকে সচিব সাহেব ফাইলটা দিয়েছেন। ওনারা (খালেদার পরিবার) কী আবেদন করেছেন, সেটা দেখে ভালো করে বিবেচনা করে আমি অতিসত্ত্বর নিষ্পত্তি করব। আগামীকাল (মঙ্গলবার) নাগাদ হয়ে যাবে, ইনশাআল্লাহ।’

মন্ত্রী বলেন, ‘ফাইলটা আজকেই পেয়েছি। আমাকে বিবেচনা করতে হবে, পড়তে হবে, আমাকে দেখতে হবে।’

তিনি বলেন, ‘আমি বহুবার আইনের ব্যাখ্যা দিয়ে বলেছি, যে শর্তে তাকে ফৌজদারি কার্যবিধির ৪০১ ধারায় মুক্তি দেওয়া হয়েছে, এর বাইরে আইনিভাবে আমাদের কিছু করার নেই। কিন্তু, এর পরও প্রত্যেকবার দেখছি, প্রথম যেভাবে চিঠি দেওয়া হয়েছিল, সেই আকারেই তারা আবেদন করছেন।’

আনিসুল হক বলেন, আবেদনটি স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে আমার সচিব সাহেব পেয়েছেন। সেটি আজকে আমাকে হস্তান্তর করা হয়েছে। 

চিঠি যেহেতু একই, মতামতও কি একই হবে, জানতে চাইলে আইনমন্ত্রী বলেন, ‘আপনারা কালকে জানতে পারবেন।’

আনিসুল হক বলেন, ‘আমরা আগের আইনি ব্যাখ্যায় যেটা স্পষ্টভাবে দাঁড়ায়, তা হলো—বিদেশে যাওয়ার ব্যাপারে কোনো সিদ্ধান্ত পরিবর্তন হবে না। তার মানে, তিনি বিদেশে যেতে পারবেন না। বিদেশ থেকে ডাক্তার এনে তাকে চিকিৎসার করার অনুমতিও আমরা দিয়েছিলাম। ডাক্তার তার চিকিৎসা করেছেন, তাকে সুস্থও করেছেন।’

সরকারপ্রধান চাইলে খালেদা জিয়া বিদেশে যেতে পারবেন কি না, এমন প্রশ্নের জবাবে আনিসুল হক বলেন, ‘৪০১ ধারায় সরকারপ্রধান মানে প্রধানমন্ত্রী। প্রথমবার তিনি যখন নিষ্পত্তি করে দিয়েছেন, এখন সেটি পরিবর্তন করার আইনি বিধান নেই। এটির পুনঃনিষ্পত্তি করার কোনো অবকাশ নেই।’

‘আইনের বাইরে গিয়ে তিনি (প্রধানমন্ত্রী) মানবিকতা দেখাতে পারবেন না। প্রধানমন্ত্রী মানবিকতা প্রথমবারই দেখিয়েছেন। এই যে বার বার রিনিউ হচ্ছে, সেটাও মানবিক কারণ থেকেই হচ্ছে।’

তিনি আরও বলেন, ‘মেয়াদ বাড়ানোর আইনি সুযোগ আছে। অন্য কিছু করার আইনি সুযোগ নেই।’

‘খালেদা জিয়া কিন্তু দুটি শর্তে (বিদেশে যেতে পারবেন না এবং ঢাকায় থেকে চিকিৎসা নিতে পারবেন) মুক্ত। চলাফেরায় তার কিন্তু কোনো অনুমতি নিতে হয় না। তাই, তাকে আবার মুক্তির কথা বলাটা মনে হয় অপ্রাসঙ্গিক,’ বলেন আইনমন্ত্রী।

গত ৬ মার্চ খালেদা জিয়ার মুক্তির মেয়াদ বাড়াতে তার ছোট ভাই শামীম ইস্কান্দার স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে আবেদন করেন। আবেদনে খালেদা জিয়াকে বিদেশে নিয়ে চিকিৎসার অনুমতি চাওয়া হয়েছে। পরে সেই আবেদনের বিষয়ে মতামত নিতে সেটি আইন মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয়।

সর্বশেষ গত বছরের ২৪ সেপ্টেম্বর খালেদা জিয়ার কারাদণ্ড স্থগিত করে মুক্তির মেয়াদ ছয় মাস বাড়ানো হয়েছিল। সেই মেয়াদ আগামী ২৫ মার্চ শেষ হবে।

নঈমুদ্দীন/রফিক

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়