ঢাকা     শনিবার   ২৭ জুলাই ২০২৪ ||  শ্রাবণ ১২ ১৪৩১

‘১০ বছ‌রে ১৮১ সরকা‌রি কর্মকর্তার শা‌স্তি, ১৭০ জনকে অব্যাহতি’

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ১৫:১০, ২৮ মে ২০২৪   আপডেট: ১৫:২২, ২৮ মে ২০২৪
‘১০ বছ‌রে ১৮১ সরকা‌রি কর্মকর্তার শা‌স্তি, ১৭০ জনকে অব্যাহতি’

জনপ্রশাসনমন্ত্রী মো. ফরহাদ হোসেন

বিগত ১০ বছরে নানা অ‌ভি‌যো‌গে প্রথম থেকে নবম গ্রেডের ১৮১জন সরকারি কর্মকর্তার বিরু‌দ্ধে শা‌স্তিমূলক ব‌্যবস্থা নেওয়া হ‌য়ে‌ছে ব‌লে জা‌নি‌য়ে‌ছেন জনপ্রশাসনমন্ত্রী মো. ফরহাদ হোসেন।

মঙ্গলবার (২৮ মে) সচিবালয়ের গণমাধ্যম কেন্দ্রে ‘বিএসআরএফ সংলাপ’ অনুষ্ঠানে এ কথা জানান তিনি। বাংলাদেশ সেক্রেটারিয়েট রিপোর্টার্স ফোরাম (বিএসআরএফ) এ সংলাপের আয়োজন করে।

মন্ত্রী বলেন, প্রথম থেকে নবম গ্রেডের ৩৫১ জন সরকারি কর্মকর্তার বিরুদ্ধে বিভিন্ন অভিযোগ আসে। অ‌ভি‌যোগ তদন্ত শে‌ষে এর মধ্যে গুরুদণ্ড পেয়েছেন ৪১ জন, লঘুদণ্ড পেয়েছেন ১৪০ জন। সব‌মি‌লি‌য়ে শাস্তি দেওয়া হ‌য়ে‌ছে  ১৮১জন সরকা‌রি কর্মকর্তা‌কে। আর অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে ১৭০ জনকে।

সরকারি কর্মকমিশনের (পিএসসি) মাধ্যমে ১৩ থেকে ২০তম গ্রেড (আগের তৃতীয় ও চতুর্থ শ্রেণি) কর্মচারী নিয়োগে কমিটির সুপারিশ পর্যালোচনা করে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন ফরহাদ হোসেন।

তি‌নি ব‌লেন, জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের একজন অতিরিক্ত সচিবের নেতৃত্বে একটি কমিটি গঠন করা হয়েছিল। সেই কমিটি পিএসসির মাধ্যমে ১৩ থেকে ২০তম গ্রেডের কর্মচারীদের নিয়োগের সুপারিশ করেছে। আগামী তিন মাসের মধ্যে তাদের সুপারিশ পর্যালোচনা করে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।

মন্ত্রী জানান, সরকারি চাকরিতে অনুমোদিত পদ ১৯ লাখ ১৫১টি। এর মধ্যে শূন্য পদ রয়েছে তিন লাখ ৭০ হাজার ৪৪৭টি।

পদোন্নতির ক্ষেত্রে নীতিমালা মানা হচ্ছে না  এ বিষ‌য়ে জানতে চাই‌লে মন্ত্রী বলেন, যথাযথ নীতিমালা অনুসরণ করেই পদোন্নতি ও পদায়ন করা হয়। আমাদের এখানে একটা শৃঙ্খলা চলে এসেছে।

‘যখন আমরা পদোন্নতি দেই একটা প্রশ্ন আসে পদের চেয়ে পদোন্নতির সংখ্যা বেশি। আপনারা নিশ্চয়ই জানেন আমাদের অনেক কিছু খেয়াল করতে হয়। আমাদের খেয়াল রাখতে হয় বেশ কিছু কর্মকর্তা বিদেশে অধ্য়ায়নরত থাকেন। সরকারের বিভিন্ন স্কলারশিপ রয়েছে, সেই স্কলারশিপের অধীনে। বিদেশে বিভিন্ন দূতাবাসে কর্মরতদের বিষয় তো রয়েছেই। তারপর একটি বিষয় রয়েছে কিছু সংখ্যক মানুষ থাকেন, যারা অসুস্থ থাকেন। সেটি বাদেই আমাদের কিন্তু হিসাব করতে হয়’, যোগ ক‌রেন মন্ত্রী।

ফরহাদ হো‌সেন বলেন, আমরা বিভিন্ন পদে যখন পদোন্নতি দিচ্ছি তখন যে পদ আছে সেই পদের চেয়ে বেশি দিতে হয় যৌক্তিক কারণে। কিছুদিনের মধ্যেই বা ছয় মাসের মধ্যেই বেশ কিছু কর্মকর্তা পিআরএলে চলে যাচ্ছেন। তারপর বেশকিছু আমাদের রিজার্ভে রাখতে হয়। কারণ হচ্ছে যদি কেউ অসুস্থ হয়ে যায়, এই জায়গাটি পূরণ করা।

বিএসআরএফ সভাপতি ফসিহ উদ্দীন মাহতাবের সভাপতিত্বে সংলাপ সঞ্চালনা করেন সাধারণ সম্পাদক মাসউদুল হক।

এ সময় উপস্থিত ছিলেন বিএসআরএফ’র সহ সভাপতি এম এ জলিল মুন্না (মুন্না রায়হান), যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মেহদী আজাদ মাসুম, সাংগঠনিক সম্পাদক তাওহীদুল ইসলাম, অর্থ সম্পাদক শফিউল্লাহ সুমন, দপ্তর সম্পাদক শাহাদাত হোসেন (রাকিব), প্রশিক্ষণ ও গবেষণা সম্পাদক ফারুক আলম, কার্যনির্বাহী সদস্য আসাদ আল মাহমুদ, ওবায়দুল্লাহ বাদল, মিজানুর রহমান চৌধুরী, মহসীনুল করিম লেবু, আয়নাল হোসেন প্রমুখ।

/নঈমুদ্দীন/সাইফ/

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়