ঢাকা     শনিবার   ২০ ডিসেম্বর ২০২৫ ||  পৌষ ৫ ১৪৩২

Risingbd Online Bangla News Portal

বাঙালি হলেই বাংলাদেশি মনে করে তল্লাশি দিল্লিতে

কলকাতা সংবাদদাতা || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ১৯:১৬, ১২ ডিসেম্বর ২০২৪   আপডেট: ১৯:১৮, ১২ ডিসেম্বর ২০২৪
বাঙালি হলেই বাংলাদেশি মনে করে তল্লাশি দিল্লিতে

ভারতের বিভিন্ন রাজ্যে বাংলাদেশবিরোধী তৎপরতার পর এবার দেশটির রাজধানী নয়াদিল্লিতে শুরু হয়েছে কড়াকড়ি। সেখানে কোনো অবৈধ বাংলাদেশি বসবাস করছে কিনা, তা যাচাই-বাছাই করা হচ্ছে। বাঙালি দেখলেই তাদের সন্দেহ করা হচ্ছে। খুটিয়ে খুটিয়ে দেখা হচ্ছে পরিচয়পত্রসহ অন্যান্য কাগজপত্র। জিজ্ঞাসা করা হচ্ছে, তারা কোথা থেকে এসেছে- কলকাতা নাকি ঢাকা?

বুধবার (১১ ডিসেম্বর) নয়াদিল্লি পুলিশের কর্মকর্তারা শহরটির কালিন্দি কুঞ্জ এলাকার বাসিন্দাদের নথিপত্র যাচাইয়ের মধ্যে দিয়ে বিশেষ এই অভিযান শুরু করেন। এই অভিযান চলবে বলে জানা গেছে।

আরো পড়ুন:

এর আগে মঙ্গলবার (১০ ডিসেম্বর) দিল্লির লেফটেন্যান্ট গভর্নর (এলজি) ভি কে সাক্সেনা অবৈধ বাংলাদেশিদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নিতে নির্দেশ দেন। তার এই নির্দেশের পরদিন দিল্লি পুলিশের বিশেষ অভিযান শুরু হয়, যা আগামী দুই মাস চলতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে।

ভি কে সাক্সেনার কার্যালয় মঙ্গলবার দিল্লির মুখ্যসচিব ও পুলিশ কমিশনারকে একটি চিঠি দিয়েছে। এতে ভারতের রাজধানীতে অবৈধভাবে বসবাসকারী বাংলাদেশি অভিবাসীদের বিরুদ্ধে ‘কঠোর পদক্ষেপ’ নেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়। এর আগে অনুপ্রবেশকারীদের চিহ্নিত করতে অভিযান চালাতে সম্প্রতি সরব হয়েছিলেন বিজেপি সংসদ সদস্য ও মন্ত্রী গিরিরাজ সিংহ।

এদিকে লেফটেন্যান্ট গভর্নরের নির্দেশ পাওয়ার পর বুধবার দিল্লির কালিন্দি কুঞ্জ এলাকায় বাসিন্দাদের প্রয়োজনীয় কাগজপত্র যাচাইয়ের জন্য পুলিশের একটি দল অভিযান চালায়। এ সময় সেখানকার বাসিন্দাদের প্রত্যেকের নথিপত্র যাচাই করা হয়।

নয়াদিল্লি পুলিশ জানিয়েছে, তারা অবৈধভাবে বসবাসকারীদের শনাক্ত ও অবৈধ উপায়ে পাওয়া তাদের সরকারি নথিপত্র বাতিল এবং বাংলাদেশে প্রত্যাবাসন নিশ্চিত করার লক্ষ্যে এই অভিযান পরিচালনা করছেন।

অভিযান প্রসঙ্গে দিল্লি পুলিশের একজন শীর্ষ কর্মকর্তা জানিয়েছেন, সংশ্লিষ্টদের মধ্যে যাদের সঠিক নথিপত্র নেই, তাদের থানায় তলব করা হয়েছে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য। যদি তাদের মধ্যে কেউ অনুপ্রবেশকারী বলে চিহ্নিত হন তাহলে সংশ্লিষ্টদের নির্বাসিত করা হবে।

ওই কর্মকর্তা আরও বলেন, অনুপ্রবেশকারী থাকতে পারে- এমন সন্দেহভাজন এলাকাতেই এই অভিান চালানো হচ্ছে। এমনকি যাদের নথি রয়েছে সেক্ষেত্রেও যাচাই করতে গিয়ে দেখা হচ্ছে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তি আসাম কিংবা বাংলাদেশ সীমান্তবর্তী কোনো এলাকার বাসিন্দা কি না।

ঢাকা/সুচরিতা/রাসেল

সম্পর্কিত বিষয়:

সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়