ঢাকা     শনিবার   ১৩ ডিসেম্বর ২০২৫ ||  অগ্রহায়ণ ২৮ ১৪৩২

Risingbd Online Bangla News Portal

শেষ হলো দাওয়াতে ইসলামীর ইজতেমা

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ২২:৪৯, ২ মে ২০২৫  
শেষ হলো দাওয়াতে ইসলামীর ইজতেমা

ফি‌লি‌স্তিনসহ নির্যা‌তিত বিশ্ব মুস‌লি‌মের হেফাজত কামনা ক‌রে লাখো মুসল্লির অশ্রু নয়নে আমিন-আমিন ধ্বনিতে আখেরি মোনাজাতের মধ্য দিয়ে শেষ হলো দাওয়াতে ইসলামীর তিন দিনের বিভাগীয় ইজতেমা।

চট্টগ্রা‌মের কর্ণফুলী থানা এলাকায় তিন‌ দি‌নের শেষ দি‌নে শুক্রবার (২ মে) জুমার নামাজে মুস‌ল্লির ঢল না‌মে। জুমার নামাজে ইমামতি করেন খলিফায়ে আমিরে আহলে সুন্নাত আল্লামা ওবায়েদে রেজা মাদানী কাদেরী আত্তারি। নামাজ শে‌ষে অনুষ্ঠিত হয় আখেরি মোনাজাত।

আরো পড়ুন:

এ সময় মুসল্লিরা রবের প্রার্থনায় দুই হাত তুলে কান্নায় আবেগ তাড়িত হয়ে পড়েন। এ সময় ‘আমিন আমিন ধ্বনি’তে ইজতেমা ময়দানে এক হৃদয়বিদারক দৃশ্যের অবতারণা হয়। ইসলামের জীবন বিধান মেনে সারা বিশ্বে নেকির দাওয়াত পৌঁছে দিতে মহান রবের সাহায্য কামনা করা হয়। দেশ, জাতি ও মুসলিম উম্মাহর সুখ-শান্তি-সমৃদ্ধি, বিশেষ করে ফিলিস্তিনসহ বিশ্বের নির্যাতিত মুসলমানদের হেফাজত কামনা করে আখেরি মুনাজাত করেন দাওয়াতে ইসলামী বাংলাদেশ এর সভাপতি ও রুকনে শুরা আব্দুল মুবিন আত্তারি।

এর আগে বিশেষ বয়ান করেন দাওয়াতে ইসলামী বাংলাদেশ এর জিম্মাদার (মিডিয়া বিভাগ) মুফতি মুহাম্মদ জহিরুল ইসলাম মুজাদ্দেদী আত্তারি।

শেষ দিন শুক্রবার সকাল থেকে জুমার নামাজের আগ পর্যন্ত দাওয়াতে ইসলামীর মুবাল্লিগরা কোরান-হাদিসের আলোকে ইসলামের মৌলিক বিষয়ে বয়ান করেন। তার মধ্যে ইসলামী শরীয়তের বিধি বিধান, নামাজের গুরুত্ব ও বেনামাজির শাস্তি, আজান-ইকামত ও নামাজ পড়ার নিয়ম-পদ্ধতি, মা-বাবার প্রতি সন্তানের হক, জুলুম-অত্যাচারের পরিণতি, নামাজের গুরুত্ব ও বেনামাজির ভয়াবহ পরিণতি, ব্যভিচার থেকে নিজেকে রক্ষা করে কুরআন হাদিসের আলোকে জীবন গড়া, মৃত্যু, কবর ও হাশরের প্রস্তুতি  ইত্যাদি। এসব বয়ানের ফাঁকে ফাঁকে চলে হামদ ও নাতের মনোমুগ্ধকর পরিবেশনা এবং দোয়া মোনাজাত।

শেষ দিনের ইজতেমায় ধারাবাহিকভাবে এসব বিষয় তুলে ধরে বয়ান করেন দাওয়াতে ইসলামীর মোবাল্লিগ মাওলানা মুহাম্মাদ সালাহ উদ্দিন আত্তারি, মাওলানা কাওসার আত্তারি প্রমুখ।

আল্লাহ পাকের নির্দেশিত পথে প্রিয় নবী সাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর নিঃশর্ত অনুসরণের আহ্বান জানিয়ে দাওয়াতে ইসলামীর মুবাল্লিরা বলেন, আল্লাহর হাবিব সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর জীবনাদর্শ অনুসরণেই মানবতার মুক্তির সনদ নিহিত।  ইসলামের জীবন বিধান মেনে চলা গেলে এবং প্রিয় রাসুলের সুন্নাতের রঙে রাঙায়িত হয়ে মোত্তাকি হতে পারলেই আপনার দুনিয়া-আখেরাতের মুক্তি মিলবে। আর প্রিয় হাবিবের প্রতি সর্বোচ্চ ভালোবাসাই ঈমানের পূর্বশর্ত। আল্লাহ পাক ও তার প্রিয় রাসূলের সৃষ্টির জন্যই হতে হবে আমাদের নিয়্যত, চিন্তাধারা, কর্মকাণ্ড সবকিছুই।

৩০ এপ্রিল বুধবার ফজরের নামাজের পর শুরু হয় তিন দিনের সুন্নাতে ভরা এই ইজতেমা। ইজতেমায় চট্টগ্রাম বিভাগের বিভিন্ন জেলারসহ সারা দেশ থেকে লাখো আশেকানে রাসূল এর যোগদানের মধ্য দিয়ে মনোরম পরিবেশ সৃষ্টি হয়। ইজতেমায় বিষয়ভিত্তিক বয়ান করেন দাওয়াতে ইসলামীর মুবাল্লিগরা। 

দাওয়াতে ইসলামীর স্বেচ্ছাসেবী সংস্থার পাশাপাশি ইজতেমায় আইন শৃঙ্খলাবাহিনীর সদস্যরা দিনরাত নিরাপত্তা ব্যবস্থা করে। ইজতেমার আখেরি মোনাজাতের পরপরই নেকির দাওয়াত পৌঁছে দিতে দেশের বিভিন্ন স্থানে ৩দিন, ১২দিন,৩০দিন ও ৬৩দিনের জন্য সংগঠনটির ১১২টি টিম মাদানি কাফেলা সফর শুরু করেন।

ঢাকা/নঈমুদ্দীন/সাইফ

সম্পর্কিত বিষয়:

সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়