বিএমডিএর চেয়ারম্যান আসাদুজ্জামান আর নেই

এম আসাদুজ্জামান
বরেন্দ্র বহুমুখী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (বিএমডিএ) চেয়ারম্যান ড. এম আসাদুজ্জামান ইন্তেকাল করেছেন (ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)। তার বয়স হয়েছিল ৭৫ বছর। তিনি স্ত্রী, এক ছেলে ও এক মেয়েসহ অসংখ্য গুণগ্রাহী রেখে গেছেন।
শুক্রবার (২৩ মে) সকাল সাড়ে ৭টায় রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান ড. এম আসাদুজ্জামান। কৃষি মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র ইনফরমেশন অফিসার মোহাম্মদ জাকির হোসেন এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
পারিবারিক সূত্রে জানা গেছে, এম আসাদুজ্জামানের দুই সন্তানই বর্তমানে যুক্তরাষ্ট্রে অবস্থান করছেন। তারা দেশে ফেরার পর দাফনের ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।
ড. এম আসাদুজ্জামানের মৃত্যুতে গভীর শোক ও দুঃখ প্রকাশ করেছেন কৃষি উপদেষ্টা অবসরপ্রাপ্ত লেফটেন্যান্ট জেনারেল মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী। এক শোকবার্তায় তিনি মরহুমের বিদেহী আত্মার মাগফিরাত কামনা এবং তার শোকসন্তপ্ত পরিবারের প্রতি গভীর সমবেদনা জানিয়েছেন।
কৃষি মন্ত্রণালয়ের সচিব ড. মোহাম্মদ এমদাদ উল্লাহ মিয়া শোকবার্তায় বলেছেন, বরেন্দ্র অঞ্চলের টেকসই কৃষি উন্নয়ন ও পানি ব্যবস্থাপনায় ড. এম আসাদুজ্জামানের অবদান চিরস্মরণীয় হয়ে থাকবে।
ড. এম আসাদুজ্জামান বিএনপির প্রয়াত ভাইস চেয়ারম্যান এবং সাবেক ডাক ও টেলিযোগাযোগমন্ত্রী ব্যারিস্টার আমিনুল হকের ভাই। তার বাড়ি রাজশাহীর গোদাগাড়ী উপজেলায়।
২০২৪ সালের ১ অক্টোবর বিএমডিএর চেয়ারম্যান হিসেবে দুই বছরের জন্য এম আসাদুজ্জামানকে চুক্তিভিত্তিক নিয়োগ দেওয়া হয়। ১৯৯২ সালে বিএমডিএ প্রতিষ্ঠায় তার গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা ছিল। তিনি সংস্থাটির নির্বাহী পরিচালক হিসেবে দীর্ঘদিন দায়িত্ব পালন করেন এবং ২০০৭ সালে সে পদ থেকে অবসর গ্রহণ করেন।
ড. আসাদুজ্জামান তার কর্মজীবন শুরু করেন সেচ প্রকৌশলী হিসেবে এবং শেষ করেন সামাজিক প্রকৌশলী হিসেবে। তিনি ১৯৭২ সালে সেচ ও পানি ব্যবস্থাপনা প্রকৌশলে স্নাতক ডিগ্রি অর্জন করেন। পাশাপাশি এলএলবি ও কৃষি বিজ্ঞানে পিএইচডি ডিগ্রিও অর্জন করেন। তিনি হার্ভার্ড বিজনেস স্কুল থেকে অলাভজনক ব্যবস্থাপনার ওপর একটি নির্বাহী কোর্সে অংশ নেন এবং বিশ্বব্যাংক, সিআইডিএ, ডিএফআইডি ও এডিবির পরামর্শক হিসেবে কাজ করেন।
ঢাকা/এএএম/রফিক