ঢাকা     রোববার   ২১ ডিসেম্বর ২০২৫ ||  পৌষ ৬ ১৪৩২

Risingbd Online Bangla News Portal

বিকেলে জুলাই ঘোষণাপত্র পাঠ করবেন প্রধান উপদেষ্টা

নিউজ ডেস্ক || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ০৮:২২, ৫ আগস্ট ২০২৫   আপডেট: ০৮:৩৪, ৫ আগস্ট ২০২৫
বিকেলে জুলাই ঘোষণাপত্র পাঠ করবেন প্রধান উপদেষ্টা

প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস। ফাইল ফটো।

প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস আজ বিকেলে ঘোষণা করবেন বহুল প্রতিক্ষিত জুলাই ঘোষণাপত্র। 

মঙ্গলবার (৫ আগস্ট) বিকেল ৫টায় জাতীয় সংসদের দক্ষিণ প্লাজায় জুলাই ঘোষণাপত্র পাঠ করবেন তিনি। বাংলাদেশ টেলিভিশন অনুষ্ঠানটি সরাসরি সম্প্রচার করবে।

প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং এক বার্তায় এ তথ্য জানিয়েছে। 

প্রেস উইং থেকে পাঠানো এক বিবৃতিতে বলা হয়, মঙ্গলবার বিকেল ৫ টায় সকল রাজনৈতিক দলের প্রতিনিধি, জুলাই শহীদ পরিবারের প্রতিনিধি ও আহত যোদ্ধাদের উপস্থিতিতে জাতীয় সংসদের দক্ষিণ প্লাজায় ঐতিহাসিক জুলাই ঘোষণাপত্র পাঠ করবেন প্রধান উপদেষ্টা । পাশপাশি, জুলাই গণ-অভ্যুত্থান দিবস উপলক্ষে মানিক মিয়া অ্যাভিনিউয়ে দিনব্যাপী সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছে। 

ঐতিহাসিক এই দিবস উদযাপনে দেশের শিশু, কিশোর-কিশোরী, তরুণ-তরুণী, বয়োজ্যেষ্ঠ নারী-পুরুষ সকলকে যোগ দেওয়ার আমন্ত্রণ জানানো হয়। 

গত বছরের ৫ অগাস্ট ছাত্র জনতার গণঅভ্যুত্থানের প্রায় পাঁচ মাস পরে ৩১ ডিসেম্বর জুলাই বিপ্লবের ঘোষণাপত্র প্রকাশের কর্মসূচি দেয় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতারা।

জাতীয় নাগরিক কমিটির ব্যানারে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে জুলাই বিপ্লবের ঘোষণাপত্রের দাবিতে কর্মসূচি ঘোষণা করলে তখন এ নিয়ে রাজনীতিতে নানা আলোচনা শুরু হয়।

পরে গত ৩০ ডিসেম্বর রাতে প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং থেকে জরুরি সংবাদ সম্মেলন করে জানানো হয়, জাতীয় ঐকমত্যের ভিত্তিতে জুলাই অভ্যুত্থানের ঘোষণাপত্রের উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে।

জুলাই ঘোষণাপত্র নিয়ে গত কয়েকদিন নানা আলোচনার পর শনিবার অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টার দপ্তর ৫ অগাস্ট জুলাই ঘোষণাপত্র দেওয়াও চূড়ান্ত দিনক্ষণ জানায়।

জানা গেছে, এই ঘোষণাপত্রের শুরুতে পাকিস্তানের স্বৈরশাসকদের বঞ্চনা, শোষণ নির্বিচার গণহত্যার বিরুদ্ধে ১৯৭১ সালের বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের প্রেক্ষাপটের বিষয়টি উল্লেখ থাকছে বলে জানা গেছে।
পরবর্তীতে ১৯৭৫ সালের একদলীয় বাকশাল কায়েমের বিষয়টিরও উল্লেখ থাকছে ঘোষণাপত্রে। সেই সাথে সিপাহি-জনতার বিপ্লবে বাকশালের অবসান কীভাবে হয়েছিল, সেটিও থাকছে জুলাই ঘোষণাপত্রে।

পরের দফায় আশির দশকে সামরিক স্বৈরশাসনের বিরুদ্ধে ছাত্র জনতার সংগ্রাম ও নব্বইয়ের গণঅভ্যুত্থানকেও যুক্ত করা হয়েছে।

খসড়ার পরের দফায় ওয়ান ইলেভেন সেনা সমর্থিত তত্ত্বাবধায়ক সরকারকে সে সময় দেশি-বিদেশি ষড়যন্ত্রের ফল হিসেবেও আখ্যা দেওয়া হয়েছে।

জুলাই অভ্যুত্থানের এই ঘোষণাপত্রে যুক্ত থাকছে আওয়ামী লীগ শাসনামলের সীমাহীন দুর্নীতি, ব্যাংক লুট, অর্থ পাচারসহ বিভিন্ন অনিয়ম ও দুর্নীতির বিষয়গুলো।

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ডাকে জনতার অভ্যুত্থান, অন্তর্বর্তী সরকারের গঠনের প্রেক্ষাপট, আগামীতে বাংলাদেশে অবাধ সুষ্ঠু নির্বাচনের অঙ্গীকার, আওয়ামী লীগ আমলের সকল গুম, খুন, দুর্নীতির বিচার ও জনগণের আকাঙ্ক্ষা পূরণে সংস্কার উদ্যোগের বিষয়গুলোও যুক্ত করা হয়েছে। 

অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের তথ্য উপদেষ্টা মাহফুজ আলম শনিবার ঢাকায় একটি অনুষ্ঠানে যোগ দিয়ে বলেছেন, “ঘোষণাপত্র জুলাই গণঅভ্যুত্থানের একটা দালিলিক প্রমাণ। যেখানে উল্লেখ থাকবে কোন কোন ঐতিহাসিক পরিস্থিতিতে জুলাই গণঅভ্যুত্থান সংগঠিত হয়েছিল।” 
 

সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়