তৃতীয় দিনে ২৮ আসনের ৩০৯ আবেদনের শুনানি সম্পন্ন
তৃতীয় দিনের মতো সংসদীয় এলাকার সীমানা নিয়ে দাবি আপত্তির শুনানি করেছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। দিন শেষে ২৮টি আসনের ৩০৯টি আবেদনের শুনানি সম্পন্ন হয়েছে।
মঙ্গলবার (২৬ আগস্ট) আগারগাঁওয়ের নির্বাচন ভবনের অডিটরিয়ামে প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) এ এম এম নাসির উদ্দিনের সভাপতিত্বে শুনানি অনুষ্ঠিত হয়। এ সময় প্রধান নির্বাচন কমিশনারসহ চার নির্বাচন কমিশনার ও ইসি সচিব উপস্থিত ছিলেন।
শুনানি শেষে নির্বাচন কমিশনের (ইসি) জনসংযোগ পরিচালক মো. শরিফুল আলম সাংবাদিকদের জানান, তৃতীয় দিনে ঢাকা অঞ্চলের ২৮টি আসনের ৩০৯টি আবেদনের শুনানি হয়। এর মধ্যে ইসির প্রকাশিত খসড়ার বিপক্ষে ২৫৯টি এবং পক্ষে ৫০টি আবেদনের শুনানি হয়েছে।
বুধবার (২৭ আগস্ট) রংপুরের ৭টি, রাজশাহীর ২৩২টি, ময়মনসিংহের ৩টি, ফরিদপুরে ১৮টি এবং সিলেট অঞ্চলের দুটি দাবি আপত্তির শুনানি হবে। শুনানি শেষে চূড়ান্ত সীমানা প্রকাশ করবে ইসি।
গত ১০ আগস্ট পর্যন্ত মোট ৮৩টি আসনের সীমানা নিয়ে ১ হাজার ৭৬০টি দাবি আপত্তি জমা পড়ে ইসিতে। এগুলই নিষ্পত্তি করে চূড়ান্ত সীমানা প্রকাশ করবে ইসি। এর আগে ৩০ জুলাই ৩০০ সংসদীয় আসনের সীমানা পুননির্ধারণ করে খসড়া প্রকাশ করে নির্বাচন কমিশন। এতে ভোটার সংখ্যার সমতা আনতে গিয়ে গাজীপুর জেলায় একটি আসন বাড়িয়ে ছয়টি করা হয় এবং বাগেরহাটের আসন চারটি থেকে কমিয়ে তিনটির প্রস্তাব করা হয়।
এছাড়া পরিবর্তন আনা হয় মোট ৩৯টি আসনে। এগুলো হলো- পঞ্চগড় ১ ও ২, রংপুর ৩, সিরাজগঞ্জ ১ ও ২, সাতক্ষীরা ৩ ও ৪, শরিয়তপুর ২ ও ৩, ঢাকা ২,৩,৭,১০,১৪ ও ১৯, গাজীপুর ১,২,৩,৫ ও ৬, নারায়ণগঞ্জ ৩,৪ ও ৫, সিলেট ১ ও ৩, ব্রাহ্মণবাড়িয়া ২ ও ৩, কুমিল্লা ১,২,১০ ও ১১, নোয়াখালী ১,২,৪ ও ৫, চট্টগ্রাম ৭ ও ৮ এবং বাগেরহাট ২ ও ৩ আসন। ইসির প্রকাশিত ওই খসড়ার তালিকার ওপর গত ১০ আগস্ট পর্যন্ত আপত্তি আহ্বানও করা হয়।
আগে বাগেরহাট-১ মোল্লারহাট-ফকিরহাট-চিতালমারি; বাগেরহাট-২ বাগেরহাট সদর এবং কচুয়া; বাগেরহাট-৩ রামপাল এবং মোংলা, বাগেরহাট-৪ মোড়েলগঞ্জ এবং সরণখোলা; এই চারটি আসন ছিল বাগেরহাটে।
খসড়ায় বাগেরহাট-১ আসনে কোনো পরিবর্তন আনা হয়নি। বাগেরহাট সদর, কচুয়া, রামপাল নিয়ে বাগেরহাট-২ আসন এবং মোংলা, মোড়েলগঞ্জ ও শরণখোলা উপজেলা নিয়ে বাগেরহাট-৩ আসন প্রস্তাব করা হয়েছে।
সীমানা পুনর্ধিারণ নিয়ে নির্বাচন কমিশনার আনোয়ারুল ইসলাম সরকার সাংবাদিকদের বলেছিলেন, ৬৪ জেলার গড় ভোটার নির্ধারণ করা হয়েছে ৪ লাখ ২০ হাজার ৫০০। এটা ধরে জেলায় একটি আসন বাড়ালে তা গাজীপুরে হবে। এ গড়ের কম বাগেরহাটে একটি কমালে সমতা চলে আসে। দুই জেলার আসনই এফেক্টেড হয়েছে। আর কোথাও ঝামেলা নেই। ৩৯টি আসনে সমন্বয় রয়েছে।
ঢাকা/আসাদ/সাইফ