ঢাকা     রোববার   ২১ ডিসেম্বর ২০২৫ ||  পৌষ ৭ ১৪৩২

Risingbd Online Bangla News Portal

কুড়িল ফ্লাইওভার উদ্বোধন করলেন প্রধানমন্ত্রী

|| রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ০৪:০৯, ৪ আগস্ট ২০১৩   আপডেট: ০৮:৪৫, ১১ আগস্ট ২০২০
কুড়িল ফ্লাইওভার উদ্বোধন করলেন প্রধানমন্ত্রী

এম. শাহজাহান
ঢাকা, ৪ আগষ্ট: রাজধানীর অন্যতম নান্দনিক সৌন্দর্যের প্রতীক নবনির্মিত স্বপ্নের কুড়িল ফ্লাইওভার আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

সকাল ১১টায় বালু নদীর উপর ব্যাপক আনুষ্ঠানিকতায় ফ্লাইওভারটি উদ্বোধন করেন তিনি। এর মাধ্যমে ফ্লাইওভারটি জনগনের জন্য উন্মোক্ত হয়ে গেল।

‌‌কুড়িল ইন্টারসেকশন ফ্লাইওভার’ প্রকল্প নামে এটি নির্মাণে ব্যয় হয়েছে ৩০৩ কোটি টাকা। গৃহয়ণ ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের অধীনে রাজউকের নিজস্ব অর্থায়ন ও নিয়ন্ত্রণে এটি নির্মাণ করা হয়েছে।

সংশ্লিষ্ট দাপ্তরিক সূত্রে জানা যায়, ফ্লাইওভারটির দৈর্ঘ্য ৩ দশমিক ১ কিলোমিটার, আর প্রস্ত ৬ দশমিক ৭ মিটার থেকে ৯ দশমিক ২ মিটার। এর সঙ্গে ১ দশমিক ৯৩ কিলোমিটার নতুন রাস্তা নির্মাণ করা হয়েছে। সঙ্গে ২০টি ট্রাফিক ডিরেকশন থাকবে। ফ্লাইওভারটি ২০১০ সালে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ফলক উন্মোচন করেন। ১০ মাস পর ২০১১ সালের মার্চ মাসে এর নির্মাণ কাজ শুরু হয়।

ভূমি অধিগ্রহণে জটিলতা, গ্যাস লাইনসহ ওয়াসার পাইপ লাইন অপসারণ সর্বোপরি আদালতে মামলা থাকার কারণে উচ্ছেদ অভিযানে বিলম্ব হওয়া ছাড়াও রয়েছে বিশ্বি ইজতেমা ও প্রাকৃতিক দুর্যোগ জনিত কারণে ফ্লাইওভার কাজ শুরু হয় বিলম্বে বলে জানিয়েছন রাজউক।

রাজউক সূত্র জানায়, ফ্লাইওভারটি উদ্বোধন হলে এয়ারপোর্ট রোড ও প্রগতি স্মরণীর সংযোগ স্থলে কোনো যানজট থাকবে না। নতূন পূর্বাচল শহরের সঙ্গে সরাসরি ঢাকার যোগাযোগ উন্মুক্ত থাকবে। কুড়িল রেল ক্রসিং যে সমস্যা ছিল তা দূর হবে।

এ ফ্লাইওভার নির্মাণের কারণে উত্তরা, টঙ্গী, গাজীপুর, মিরপুর, বনানী, বারিধারা, গুলশান, রামপুরা ও বনশ্রীর যানজট সমস্যার সমাধান হবে বলে আশা করা হচ্ছে।

প্রসঙ্গত, এ ফ্লাইওভারটি নির্মাণের ফলে রাজধানীতে প্রবেশের আরেকটি দ্বার উন্মেচিত হয়েছে। কাঞ্চন ব্রিজ, সিলেট বাইপাস হয়ে পূর্বাচল লিঙ্ক রোড দিয়ে যানবাহন ঢাকা শহরে প্রবেশ করতে পারবে। এতে উত্তর-পূর্বাঞ্চলের সঙ্গে যাতায়াত ব্যবস্থা সহজতর হবে। প্রতিদিন প্রায় দুই লাখ যানবাহন ফ্লাইওভার থেকে চলাচল করতে পারবে।

ফ্লাইওভারটি নির্মিত হয়েছে ১২ দশমিক ৮২ একর জমিতে। এর মধ্যে রেলওয়ের জমি রয়েছে ১০দশমিক ১০ একর এবং ব্যক্তি মালিকানাধীন জমি রয়েছে ২ দশমিক ৭২ একর, সড়ক ও জনপথের( এয়ারপোর্টের রাস্তা) ১ দশমিক ৩০ কিলোমিটার ও ঢাকা সিটি কর্পোরেশনের রাস্তা রয়েছে ০ দশমিক ৫০ কিলোমিটার। ফ্লাইওভারটি নির্মাণে ৩৮ মাস সময় লেগেছে।

 

 

রাইজিংবিডি/এমএস

রাইজিংবিডি.কম

সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়