ঢাকা     শুক্রবার   ২৬ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ১৩ ১৪৩১

হাইস্কুল জীবনের ছবি কেন পুড়িয়েছিলেন প্রিয়াঙ্কা?

বিনোদন ডেস্ক || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ১০:২৪, ২৬ মে ২০২৩   আপডেট: ১০:৩৩, ২৬ মে ২০২৩
হাইস্কুল জীবনের ছবি কেন পুড়িয়েছিলেন প্রিয়াঙ্কা?

বলিউড অভিনেত্রী প্রিয়াঙ্কা চোপড়া। ভারতের জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার ও পদ্মশ্রীসহ নানা পুরস্কারে ভূষিত হয়েছেন তিনি। হলিউডে অভিনয় করেও খ্যাতি কুড়িয়েছেন এই অভিনেত্রী। মার্কিন পপ গায়ক নিক জোনাসের সঙ্গে ভালোবেসে ঘর বেঁধেছেন। বর্তমানে স্বামী-সন্তানসহ সেখানেই বসবাস করছেন প্রিয়াঙ্কা চোপড়া।

নানা সংগ্রামের পর ক্যারিয়ারকে বর্তমান অবস্থানে নিয়ে এসেছেন প্রিয়াঙ্কা চোপড়া। তার জীবনের ভাঁজে ভাঁজে লুকিয়ে আছে নানা গল্প। সম্প্রতি দ্য জো রিপোর্টকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে কৈশোর জীবনের নানা ঘটনা সামনে আনেন। পাশাপাশি আরো বেশ কিছু অজানা বিষয়ও জানান এই অভিনেত্রী।

 

২০০০ সালের গোড়ার দিকে সবকিছু বেশি বেশি করার একটি ট্রেন্ড এসেছিল। আর প্রিয়াঙ্কাও এই ট্রেন্ডে নিজেকে ভাসিয়ে দিয়েছিলেন। হাইস্কুলে জীবনে তোলা কিছু ছবি প্রিয়াঙ্কার পুড়িয়ে ফেলেছিলেন। কারণ সেসব ছবি দেখে নিজে বিব্রত বোধ করতেন। যদিও এখন এসব ছবি নিয়ে তার অনুশোচনা হয়।

 

নিজের ছবি পুড়িয়ে ফেলার কারণ ব্যাখ্যা করে দ্য জো রিপোর্টকে প্রিয়াঙ্কা চোপড়া বলেন, ‘এটা ২০০০ সালের গোড়ার দিকের কথা। আমিও প্রত্যেকের মতো এতে মেতেছিলাম। উইঙ্গড আইলাইনার, হাইলাইটার, চেইন ড্রেস, নীচু করে পরা জিন্স, যার থেকে বেরিয়ে আসতো অন্তর্বাস। হয়তো সেই কারণেই আমি হাইস্কুলের অনেক ছবি পুড়িয়ে ফেলি। যার জন্য এখন আমি অনুতপ্ত। কারণ আমি একটা বই লিখেছি, বইটির জন্য আমার ছবি দরকার ছিল। কিন্তু সেই ছবিগুলোর বেশিরভাগই আমি পুড়িয়ে ফেলেছি। তখন মনে হচ্ছিল, এসবের কী দরকার ছিল!’

 

মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে হাইস্কুলের পড়াশোনা করেন প্রিয়াঙ্কা। প্রথমদিকে তার স্কুলের কেউই তার নাম ঠিক করে উচ্চারণ করতে পারত না। সবাই তাকিয়ে থাকত। তাই তিনি সবাইকে বলেছিলেন, তাকে ‘প্রি’ বলে ডাকতে।

 

এরপর একদিন দশম শ্রেণিতে থাকতে বুলিং করা হয় প্রিয়াঙ্কাকে। এতে বেশ ঘাবড়ে যান তিনি। অস্বস্তিতে পড়ে সোজা মা মধু চোপড়াকে ফোন করে জানান, তিনি ভারতেই পড়াশোনা করবেন। তারপর মধু চোপড়া নিজে গিয়ে মেয়েকে ভারতে ফিরিয়ে নেন।

 

মার্কিন স্কুলে পড়াশোনা করার সময়ে ক্যান্টিনে যাওয়ার রাস্তাও জানা ছিল না প্রিয়াঙ্কার। টুডে শোতে এ অভিনেত্রী বলেছিলেন, ‘আমি এতটাই নার্ভাস ছিলাম যে, আমি আমার দুপুরের খাবার বাথরুমে একটা স্টলের মধ্যে ঢুকে খেতাম। আমি জানতাম না কীভাবে ক্যাফেটেরিয়াতে গিয়ে খাবার নিতে হয়। বাথরুমে গিয়ে দ্রুত খাবার খেয়ে নিতাম। তারপর ক্লাসে চলে যেতাম। যাতে আমাকে অন্য বাচ্চাদের মুখোমুখি না হতে হয়।’

ঢাকা/শান্ত

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়