সিপিবির শহীদ তাজুল দিবস পালন 

বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টির (সিপিবি) সভাপতি মুজাহিদুল ইসলাম সেলিম বলেন, শহীদ তাজুলের দেখানো পথে গণতন্ত্র ও বাক স্বাধীনতার জন্য আজও লড়াই চলছে।

স্বৈচারবিরোধী গণআন্দোলনের মহান শহীদ কমরেড তাজুল ইসলামের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে সিপিবি সভাপতি মুজাহিদুল ইসলাম সেলিম বলেন, শহীদ কমরেড তাজুল ইসলাম বাংলাদেশের বর্তমান প্রেক্ষাপটে অত্যন্ত প্রাসঙ্গিক।  শহীদ তাজুলের দেখানো পথে আজও তার কমরেডরা গণতন্ত্র ও বাক স্বাধীনতার জন্য লড়াই করে যাচ্ছে।

সোমবার (১ মার্চ) ৩৭তম শহীদ তাজুল দিবস উপলক্ষে  পুরানা পল্টনে মুক্তিভবনের সামনে নির্মিত অস্থায়ী শহীদ বেদিতে শ্রদ্ধাঞ্জলি নিবেদেনের পর অনুষ্ঠিত সংক্ষিপ্ত সমাবেশে কমরেড সেলিম এ কথা বলেন। 

এ সময় বিভিন্ন রাজনৈতিক দল, গণসংগঠন, পেশাজীবী ও সাংস্কৃতিক সংগঠনসমূহ শহীদ তাজুলের স্মৃতির প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করে।

মুজাহিদুল ইসলাম সেলিম বলেন, শহীদ তাজুল শ্রমিকশ্রেণির মুক্তিকে চূড়ান্ত লক্ষ হিসেবে গ্রহণ করে তৎকালীন স্বৈরাচার সরকারের বিরুদ্ধে গণতন্ত্র ও মেহনতি মানুষের অধিকার আদায়ের জন্য সংগ্রামে নিয়োজিত হয়েছিলেন।  এ সংগ্রামে তিনি তার জীবন উৎসর্গ করেছিলেন। আজ কমরেড তাজুলের আত্মত্যাগের ৩৭ বছর পরেও দেশের মানুষের ভোটের অধিকার এবং মতপ্রকাশের অধিকার হরণ করা হচ্ছে। ক্ষমতাসীন সরকারের বিরুদ্ধে দেশের মানুষের সংগ্রামে শহীদ তাজুল সবসময় অনুপ্রেরণার উৎস হয়ে থাকবেন।

তিনি ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে কারাগারে বন্দি লেখক মুশতাক আহমেদের মৃত্যুকে হত্যাকাণ্ড উল্লেখ করে বলেন, এসব নিবর্তনমূলক আইন জনগণের নিরাপত্তার জন্য নয়, বরং বিনা ভোটে ক্ষমতায় থেকে অবাধ লুটপাটকে নিরাপদ রাখার হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার হচ্ছে। তিনি অবিলম্বে কারাবন্দি ৭ ছাত্রনেতার নিঃশর্ত মুক্তি দাবি করেন।  একইসঙ্গে  ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে কারাবন্দি সবার মুক্তির দাবি জানান।

সিপিবির সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ শাহ আলম বলেন, শহীদ কমরেড তাজুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয়ের সর্বোচ্চ ডিগ্রি নিয়েও ব্যক্তিগত আরাম-আয়েশ পরিত্যাগ করে এদেশের শ্রমজীবী মানুষের মুক্তির জন্য নিজেকে নিবেদিত রেখেছিলেন।