ঢাকা     শনিবার   ২৭ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ১৪ ১৪৩১

জ্বালানির মূল্যবৃদ্ধি ‘মড়ার ওপর খাঁড়ার ঘা’: বিএনপি

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ১৬:২৩, ৬ আগস্ট ২০২২   আপডেট: ১৬:২৫, ৬ আগস্ট ২০২২
জ্বালানির মূল্যবৃদ্ধি ‘মড়ার ওপর খাঁড়ার ঘা’: বিএনপি

জ্বালানি তেলের মূল্যবৃদ্ধির সিদ্ধান্ত ‘মড়ার ওপর খাঁড়ার ঘা’ বলে মনে করছেন বিএনপির নেতারা। তারা বলছেন, এই সরকার কোনোভাবেই জনগণের সরকার না। তাই, জনগণের প্রতি তাদের কোনো দায়বদ্ধতা নেই। সে কারণেই জনগণের কথা না ভেবে একলাফে জ্বালানি তেলের মূল্য ৫০ শতাংশের বেশি বাড়িয়েছে।

জ্বালানি তেলের মূল্যবৃদ্ধি প্রসঙ্গে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন বলেছেন, ‘বর্তমানে নিত্যপ্রয়োজনীয় সব জিনিসের দাম এমনিতে বেশি। এর মধ্যে জ্বালানি তেলের দাম বাড়ানো মানেই হচ্ছে, মড়ার ওপর খাঁড়ার ঘা। এর দোহাই দিয়ে আবারও সব নিত্যপণ্যের দাম বাড়বে।’

তিনি বলেন, ‘জ্বালানি তেলের ক্ষেত্রে সরকার যে লসের কথা বলছে, সেটা সত্যি নয়। আসল সত্য হচ্ছে, সরকার রিজার্ভের অভাবে আমদানি করতে পারছে না। যার ফলে জ্বালানিনির্ভর বিদ্যুৎকেন্দ্রগুলো বন্ধ করে দিতে হয়েছে। এখন একই কারণে জ্বালানি তেলের দাম বাড়িয়ে দিয়েছে। যাতে মানুষ কষ্ট করে, কম জ্বালানি ব্যবহার করে।’ 

বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান মোহাম্মদ শাহজাহান বলেন, ‘পৃথিবীর কোথাও কখনও জ্বালানি তেলের দাম একসঙ্গে এত বাড়েনি। এটা বিরল ঘটনা। জনগণের প্রতি বর্তমান সরকারের যে দায়বদ্ধতা নেই, তারা যে জনগণের মতামতকে গুরত্ব দেয় না, এটাই তার প্রমাণ। এ সরকার মনে করে, তারা যা খুশি করতে পারে, যত খুশি তত দাম বাড়াতে পারে। জনগণ তাদের কিছুই করতে পারবে না। তারা প্রশাসন দিয়ে সবকিছু দমন করে রেখেছে। সরকার যখন জনবিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ে, তখনই কেবল এ ধরনের সিদ্ধান্ত নিতে পারে।’

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক বিএনপির স্থায়ী কমিটির এক সদস্য বলেন, ‘জ্বালানি ও বিদ্যুৎ খাতে অব্যবস্থাপনার প্রতিবাদে সারা দেশে বিএনপি কর্মসূচি পালন করেছে কয়েকদিন আগে। এ কর্মসূচি পালন করতে গিয়ে ভোলায় গুলিবিদ্ধ হয়ে বিএনপির দুই নেতার মৃত্যু হয়েছে। সেই হত্যার প্রতিবাদে ৮ আগস্ট পর্যন্ত বিএনপির কর্মসূচি চলবে। এর পরেই আবার জ্বালানি তেলের মূল্য বৃদ্ধির প্রতিবাদে কর্মসূচি ঘোষণা করা হবে।’

তিনি বলেন, ‘হঠাৎ করে জ্বালানি তেলের এতটা মূল্যবৃদ্ধির কারণে সর্বক্ষেত্রে এর প্রভাব পড়বে। বাজারে জিনিসপত্রের দাম আরও বাড়বে। এক শ্রেণির মানুষ এর সুবিধা ভোগ করবে। কিন্তু, দেশের আপামর জনগণকে সীমাহীন কষ্ট ভোগ করতে হবে। এতে দেশে দারিদ্র্যের হার আরও বাড়বে।’ 

মেয়া/রফিক

সম্পর্কিত বিষয়:

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়