‘গাড়িতে আগুন দিয়ে বিএনপির ওপর দায় চাপানোর পরিকল্পনা করছে সরকার’

ঢাকায় মহাসমাবেশকে বাধাগ্রস্ত করতে আগের মতো আবারও পরিকল্পিতভাবে গাড়িতে আগুন দিয়ে সরকার বিএনপির ওপর দায় চাপানোর পরিকল্পনা করছে বলে অভিযোগ করেছেন দলটির ঢাকা মহানগর উত্তর কমিটির আহ্বায়ক আমানউল্লাহ আমান।

মঙ্গলবার (২৯ নভেম্বর) রাজধানীর নয়াপল্টনে বিএনপির কার্যালয়ে ঢাকা মহানগর দক্ষিণের কামরাঙ্গীরচর থানা এবং ৫৫, ৫৬ ও ৫৭ নম্বর ওয়ার্ড মহিলা দলের দ্বিবার্ষিক সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ অভিযোগ করেন তিনি।

আমানউল্লাহ আমান বলেন, ‘সরকার ও সরকারি দলের নেতা-মন্ত্রীরা বলছেন, ঢাকায় বিএনপির সমাবেশ ঘিরে পরিবহন ধর্মঘট হবে না। মুখে এ কথা বললেও তাদের উদ্দেশ্য ভিন্ন। ঢাকার সমাবেশ বানচাল করার জন্য আগের মতো তারা ফের রাস্তায় গাড়িতে আগুন দিয়ে বিএনপির ওপর দায় চাপানোর পরিকল্পনা করছে। কিন্তু, বিএনপি কোনো ফাঁদে পা দেবে না। অন্য বিভাগীয় গণসমাবেশগুলোর মতো ১০ ডিসেম্বরের ঢাকার সমাবেশও শান্তিপূর্ণ হবে।’

তিনি বলেন, ‘ঢাকার সমাবেশ থেকে নতুন কর্মসূচি ঘোষণা করা হবে। শেখ হাসিনাকে পদত্যাগ করতে হবে। সংসদ বিলুপ্ত করতে হবে। অন্যথায় এক দফার আন্দোলন শুরু হবে। সেই আন্দোলন সফলে রক্ত দেওয়ার জন্য আমরা প্রস্তুত আছি। রাজপথে বুকের তাজা রক্ত দেবো, তবু শেখ হাসিনার অধীনে কোনো নির্বাচন হবে না।’

ক্ষমতাসীনদের সমালোচনা করে আমানউল্লাহ আমান বলেন, ‘তারা ২০১৪ সালে ১৫৪ আসন আগেই নিশ্চিত করে নির্বাচন করেছে। এরপর ২০১৮ সালে পুলিশকে দিয়ে আগের রাতে ভোট করেছে। এবার ইভিএমের মাধ্যমে ফের প্রহসনের নির্বাচন করে ক্ষমতায় থাকার অপচেষ্টা করছে। কিন্তু, এবার আর কোনো প্রহসনের নির্বাচন হবে না। জনগণ এ ধরনের কোনো নির্বাচন হতে দেবে না।’

বিএনপির চলমান আন্দোলনে কয়েকজন নেতাকর্মী নিহত হওয়ার প্রসঙ্গ টেনে তিনি বলেন, ‘সরকার মনে করছে, এভাবে গুলি চালিয়ে, অত্যাচার-নির্যাতন করে আন্দোলন বন্ধ করা যাবে। সেজন্য তারা নির্যাতনের পথ বেছে নিয়েছে। কিন্তু, অত্যাচার-নির্যাতন করে আন্দোলন দমানো যাবে না। কারণ, জনগণ জেগে উঠেছে।’

ফয়সালা রাজপথেই হবে, উল্লেখ করে বিএনপির এই জ্যেষ্ঠ নেতা বলেন, ‘অতীতেও রাজনৈতিক ইস্যুর ফয়সালা রাজপথেই হয়েছে। এবারও ফয়সালা রাজপথেই হবে। বিএনপির চলমান আন্দোলনেই সরকারের পতন ঘটবে।’

ঢাকা মহানগর দক্ষিণ মহিলা দলের আহ্বায়ক রুমা আক্তারের সভাপতিত্বে এবং সদস্য সচিব শাহিনুর নার্গিসের সঞ্চালনায় সম্মেলনে মহিলা দলের সভাপতি আফরোজা আব্বাস, ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক হেলেন জেরিন খানসহ ঢাকা মহানগর দক্ষিণ ও কামরাঙ্গীরচর শাখার নেতারা বক্তব্য দেন।

সম্মেলনে সেতারা বেগমকে আহ্বায়ক ও রহিমা আক্তার রিনাকে সদস্য সচিব করে ২১ সদস্য বিশিষ্ট কামরাঙ্গীরচর থানা কমিটি গঠন করা হয়। ফরিদা পারভিন হিরাকে আহ্বায়ক ও সানজিদা খাতুনকে সদস্য সচিব করে ৫৫ নম্বর ওয়ার্ড কমিটি, রাশিদা বেগমকে আহ্বায়ক ও শিল্পী বেগমকে সদস্য সচিব করে ৫৬ নম্বর ওয়ার্ড কমিটি, আসমা বেগমকে আহ্বায়ক ও রুবিনা বেগমকে সদস্য সচিব করে ৫৭ নম্বর ওয়ার্ড কমিটি গঠন করা হয়।