‘সরকারের পতন ঘনিয়ে এসেছে’
বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা জয়নাল আবেদীন ফারুক বলেছেন, বর্তমান অবৈধ আওয়ামী লীগ সরকারের পতন ঘনিয়ে এসেছে। অল্প কিছুদিনের মধ্যে আমাদের আন্দোলন সফল হবে। এতে জনগণের বিজয় হবে।
বৃহস্পতিবার (১ জুন) জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে ইয়ুথ ফোরাম আয়োজিত এক মানববন্ধনে তিনি এসব কথা বলেন।
সাবেক বিরোধীদলীয় চিফ হুইপ জয়নাল আবেদীন ফারুক বলেন, রাজনৈতিক কর্মী হিসেবে আমার বক্তব্য, বাংলাদেশের রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটে পরিবর্তনের সময় এসে গেছে। দেশের জনগণের পক্ষে যারা কাজ করছে সেই নেতা তারেক জিয়া এবং তার স্ত্রীর বিরুদ্ধে একটা রায় দিয়েছে। আমাদের গণতন্ত্রের মা বেগম খালেদা জিয়াকে সরকার গুলশানের বাসভবনে বন্দী করে রেখেছে।
তিনি বলেন, আমরা এ অবস্থায় সরকারের কাছে একটি বার্তা পৌঁছে দিতে চাই। বিগত ৯ মাস যাবৎ আমরা আন্দোলন করে যাচ্ছি। আমাদের একটাই দাবি, এই সরকারের অধীনে আর কোনও নির্বাচন নয়। আমাদের আন্দোলন চলছে চলবে। এ সরকার ডিজিটাল আইনের মাধ্যমে সাংবাদিকদের গণতন্ত্র ও বাক স্বাধীনতাকে হত্যা করেছে। বাংলাদেশের সাংবাদিকদের স্বাধীনতার জন্য বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল বিএনপি কাজ করে যাচ্ছে।
তিনি আরও বলেন, কারও মতামতের তোয়াক্কা না করে আপনারা একদলীয় বাকশাল কায়েম করে চলেছেন। আবার আপনারা চাচ্ছেন তত্বাবধায়ক নয়, আপনাদের অধীনেই নির্বাচন করতে হবে। নিজেরা স্যাংশন বোঝেন না, অথচ দেশের মানুষের টাকা ও সম্পদ কী করে লুট করতে হবে সেটা ভালোই জানেন।
বাংলাদেশের মানবাধিকার কীভাবে লুণ্ঠিত করা যায় আওয়ামী লীগ তা ভালোই জানে বলে মন্তব্য করে ফারুক বলেন, বাংলাদেশের মধ্যবিত্তদের কথা সরকার বোঝে না। তারা যার মাথায় তেল আছে, তার মাথায় তেল দেবার বিষয়টা ভালো বুঝে। যাদের চা খাওয়ার পয়সা ছিল না তারা আজ ব্যাংকের মালিক হলো কীভাবে। আইন কি শুধু আমাদের জন্য? আপনাদের জন্য নয়?
সরকার গত সাত দিনে পাঁচ হাজারের বেশি বিএনপি নেতাকর্মীকে গ্রেপ্তার করেছে উল্লেখ করে জয়নাল আবেদীন বলেন, আমার এলাকায় আমি ক্যান্সার রোগীকে থানায় গিয়ে দেখা করার সুযোগ পাইনি। বর্তমান সরকারের সময়ের আইন নিজের মতো চলতে পারছে না। চোখ বাঁধা অবস্থায়ও আইন যে অন্যায় রায় দেয়, সে আইন আমি মানি না। বাংলাদেশে বিএনপির দশ হাজারের ওপরে নেতাকর্মী মনোনয়ন প্রত্যাশী আছেন। আপনারা কতজনকে জেলে ঢুকাবেন?
মানববন্ধন অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন বাংলাদেশি ইয়ুথ ফোরামের সভাপতি মুহাম্মদ সাইদুর রহমান। এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন- জাতীয় পার্টির সাবেক এমপি ও মহাসচিব আহসান হাবিব লিংকন, বাংলাদেশ ইয়ূথ ফোরামের উপদেষ্টা বীর মুক্তিযোদ্ধা আনোয়ার হোসেন বুলু, বিএনপির নির্বাহী কমিটির জলবায়ু বিষয়ক সহ-সম্পাদক ও সাবেক ছাত্র নেতা মুস্তাফিজুর রহমান বাবুল, নির্বাহী কমিটির সদস্য অপর্ণা রায় দাস, অ্যাডভোকেট সিমকি ইমাম খান প্রমুখ।
মেয়া/এনএইচ
