নির্বাচন বিলম্বিত হলে স্বৈরাচার ফিরে আসার ক্ষেত্র প্রস্তুত হবে: বিএনপি

বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য খন্দকার মোশাররফ হোসেন
অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে বৈঠক শেষে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য খন্দকার মোশাররফ হোসেন সাংবাদিকদের বলেছেন, “নির্বাচন বিলম্বিত হলে স্বৈরাচার আবার ফিরে আসার ক্ষেত্র প্রস্তুত হবে। এর দায়-দায়িত্ব বর্তমান সরকার এবং তাদের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের ওপরে বর্তাবে।”
শনিবার (২৪ মে) রাতে প্রধান উপদেষ্টার বাসভবন যমুনার সামনে সাংবাদিকদের সঙ্গে এসব কথা বলেন খন্দকার মোশাররফ হোসেন।
তিনি বলেন, “যেকোনো অসিলায় নির্বাচন যত বিলম্ব করা হবে, আমরা মনে করি জাতির কাছে আবার স্বৈরাচার ফিরে আসার ক্ষেত্র প্রস্তুত হবে। এর দায়-দায়িত্ব বর্তমান সরকার এবং তাদের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের ওপরে বর্তাবে।”
খন্দকার মোশাররফ হোসেন বলেন, “বাংলাদেশের মানুষ বিশ্বাস করে, অন্তর্বর্তী সরকারের মূল দায়িত্ব একটি সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচনের মাধ্যমে গণতন্ত্রে উত্তরণের প্রক্রিয়া দ্রুত সম্পন্ন করা।”
তিনি বলেন, “বিএনপি প্রথম থেকেই একটি সুস্পষ্ট জাতীয় নির্বাচনী রোডম্যাপ (পথনকশা) দাবি করে আসছে। সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ ও অবাধ নির্বাচন অনুষ্ঠানের উদ্দেশ্যে সরকারের নিরপেক্ষতা বজায় রাখার স্বার্থে বিতর্কিত উপদেষ্টাদের বাদ দিয়ে উপদেষ্টা পরিষদ পুনর্গঠন করতে হবে। বিএনপির প্রতিটি নেতাকর্মী পারিবারিক, রাজনৈতিক ও ব্যক্তিগতভাবে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত। এজন্য আওয়ামী লীগের বিচারের দাবি সবচেয়ে বেশি বিএনপির। এই বিচারপ্রক্রিয়া কোনোভাবে অসম্পন্ন থেকে গেলে বিএনপি সরকারে গেলে তা বিচারের আওতায় এনে স্বাধীন বিচার বিভাগের মাধ্যমে পরিপূর্ণভাবে সম্পন্ন করবে।”
খন্দকার মোশাররফ হোসেন বলেন, “তারা কখনোই প্রধান উপদেষ্টার পদত্যাগ চাননি, বরং প্রথম দিন থেকেই এই সরকারকে সর্বাত্মক সহযোগিতা করে যাচ্ছে বিএনপি।”
প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে বৈঠকে বিএনপির প্রতিনিধিদলে খন্দকার মোশাররফ হোসেনের সঙ্গে ছিলেন দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য আবদুল মঈন খান, আমির খসরু মাহমুদ চৌধুরী ও সালাহউদ্দিন আহমদ।”
ঢাকা/সাইফ