ঢাকা     শনিবার   ২০ ডিসেম্বর ২০২৫ ||  পৌষ ৫ ১৪৩২

Risingbd Online Bangla News Portal

জুলাই বিপ্লবের সুফল ঘ‌রে তুল‌তে ভেদাভেদ ভুলে ঐক্যবদ্ধ হ‌তে হ‌বে: জামায়াত

বিশেষ প্রতিবেদক || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ২৩:০১, ২৫ জুন ২০২৫   আপডেট: ২৩:০১, ২৫ জুন ২০২৫
জুলাই বিপ্লবের সুফল ঘ‌রে তুল‌তে ভেদাভেদ ভুলে ঐক্যবদ্ধ হ‌তে হ‌বে: জামায়াত

“জুলাই যোদ্ধারা জাতির শ্রেষ্ঠ সন্তান। তাদের আত্মত্যাগের মাধ্যমেই আমরা ফ্যাসিবাদ মুক্ত হয়েছি। তাই দেশ ও জাতির জন্য তাদের অবদানের কথা স্মরণ করেই তাদেরকে জাতীয় বীরের মর্যাদায় অভিষিক্ত করতে হবে।”

জামায়াতে ইসলামীর আমির ডা. শফিকুর রহমান বুধবার (২৫ জুন) বিকেলে রাজধানীর কাফরুলে কাফরুল থানা জামায়াত আয়োজিত এক নির্বাচনী পথসভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ কথা বলেন।

আরো পড়ুন:

ডা. শফিকুর রহমান বলেন, “জুলাই বিপ্লবের মাধ্যমে আমরা আওয়ামী অপশাসন-দুঃশাসন থেকে মুক্তি পেয়েছি। মূলত, ছাত্র-জনতার ইস্পাত কঠিন ঐক্যের মাধ্যমে এ ঐতিহাসিক বিপ্লব সাধিত হয়েছে। কিন্তু তা নির্বিঘ্ন হয়নি বরং আমাদেরকে চড়ামূল্যে কিনতে হয়েছে। এ আন্দোলনে দুই হাজারের অধিক মানুষ রাজপথে বুকের তাজা রক্ত ঢেলে দিয়েছেন। হাজার হাজার আহত ও পঙ্গুত্ববরণ করেছেন। অনেককেই হাত-পা চোখ হারিয়েছেন। আমরা শহীদ ও ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারকে সাধ্যমত সাহায্য সহযোগিতা করেছি। কোন কোন এতিমের আমরা ভরণ-পোষণের দায়িত্ব নিয়েছি।”

তিনি জুলাই বিপ্লবের সুফল পুরোপুরি ঘরে তুলতে সব ভেদাভেদ ভুলে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহ্বান জানান।

জামায়াত আমির বলেন, “আমরা দেশে এমন এক ইনসাফপূর্ণ সমাজ কায়েম করতে চাই, যে সমাজ বিশ্বনবী (সা.) এর আদর্শ অনুযায়ী পরিচালিত হবে। যেখানে মানুষে মানুষে কোনো ভেদাভেদ থাকবে না। রাষ্ট্রই প্রত্যেক নাগরিকের সব সমস্যার সমাধান করবে। রাষ্ট্রের সব ক্ষেত্রেই আইনের শাসন ও সামাজিক ন্যায়বিচার নিশ্চিত হবে। রাসূল (সা.) এমন এক ইনসাফপূর্ণ সমাজ কায়েম করেছিলেন যে সমাজে সানা থেকে হাজরামাউত পর্যন্ত নারীরা নির্বিঘ্নে-নিরাপদে ও সম্ভ্রম নিয়ে চলাফেরা করতে পারতেন। আমরা তেমনি এক শান্তির সমাজ প্রতিষ্ঠায় প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। মূলত, আল্লাহর আইনই নির্ভূল।”

তিনি বলেন, “দুনিয়ায় শান্তি ও আখেরাতে মুক্তির দেশে আল্লাহর আইন ও সৎলোকের শাসন প্রতিষ্ঠার কোন বিকল্প নেই। কারণ, মানুষের তৈরি বিধান দিয়ে মানুষের কল্যাণ কোনোভাবেই সম্ভব নয়।”

তিনি দেশকে কুরআন-সুন্নাহর আদর্শের কল্যাণ রাষ্ট্রে পরিণত করতে দলমত নির্বিশেষে সবাইকে সম্মিলিত প্রয়াস চালানোর আহ্বান জানান।

জামায়াত আমির বলেন,“দ্বীন কায়েমের প্রচেষ্টা চালানো ঐচ্ছিক কোনো বিষয়টি নয় বরং প্রত্যেক মোমিনের ওপরই অত্যাবশ্যকীয় বা ফরজ করে দেওয়া হয়েছে। মূলত, আমাদের জন্য ইসলামকেই জীবনবিধান হিসাবে মনোনীত করা হয়েছে। আর কালামে হাকীমকে আমাদের জীবন চলার পাথেয় হিসাবে প্রেরণ করা হয়েছে। বস্তুত, মোত্তাকীদের পথ পদর্শনের জন্যই পবিত্র কুরআন জীবন বিধান হিসাবে প্রেরণ করা হয়েছে। আর যারা প্রকৃত পক্ষেই মোস্তাকি তারাই শুধু কুরআন থেকে লাভবান বা উপকৃত হতে পারে। তাই দুনিয়ায় শান্তি ও আখেরাতে মুক্তির জন্য আমাদের সবাইকে আল্লাহর বিধান ও রাসূল (সা.) এর আদর্শের ছায়াতলে ঐক্যবদ্ধ হতে হবে।”

তিনি দ্বীন প্রতিষ্ঠার প্রত্যয়ে সবাইকে ময়দানে ইস্পাত কঠিন ঐক্য গড়ে তোলার আহ্বান জানান।

থানা আমির অধ্যাপক আনোয়ারুল করিমের সভাপতিত্বে পথসভায় বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন জামায়াতে ইসলামীর নায়েবে আমির ও সাবেক এমপি অধ্যাপক মুজিবুর রহমান এবং কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদ সদস্য ও ঢাকা মহানগরী উত্তরের আমির মোহাম্মদ সেলিম উদ্দিন, ঢাকা মহানগরী উত্তরের সহকারী সেক্রেটারি ডা. ফখরুদ্দিন মানিক।

উপস্থিত ছিলেন মহানগরী জামায়াতের কর্মপরিষদ সদস্য ও মিরপুর পূর্ব থানার আমির শাহ আলম তুহিন, মহানগরীর কর্মপরিষদ সদস্য মো. শহীদুল্লাহ, আলাউদ্দিন, তুহিন রেজা তুহিন প্রমুখ।

ঢাকা/নঈমুদ্দীন/সাইফ

সম্পর্কিত বিষয়:

সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়