ঢাকা     বুধবার   ২৪ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ১১ ১৪৩১

নীলফামারীর কাজু বাদাম যাচ্ছে আমেরিকার বাজারে

নীলফামারী প্রতিনিধি || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ১১:৪২, ২১ সেপ্টেম্বর ২০২১   আপডেট: ১৩:৩৯, ২১ সেপ্টেম্বর ২০২১
নীলফামারীর কাজু বাদাম যাচ্ছে আমেরিকার বাজারে

নীলফামারীতে প্রক্রিয়াজাত হওয়া কাজু বাদাম আমরিকায় রপ্তানি করা হচ্ছে। বাংলাদেশের কাজু বাদাম গুণগত মানসম্পন্ন হওয়ায় বৈদেশিক বাজারে এর চাহিদা বেশি। দেশে এর উৎপাদন বাড়াতে নানা পরিকল্পনা হাতে নেওয়া হয়েছে। 

সােমবার (২০ সেপ্টেম্বর) নীলফামারী জেলা সদরের পঞ্চপুকুর ইউনিয়নের চিনিকুটি এলাকায় ‘জ্যাকপট ক্যাসুনাটস ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেড’ নামের কাজু বাদাম প্রক্রিয়াজাতকরণ কারখানা পরিদর্শনকালে কথাগুলো বলেন কৃষি বিপণন অধিদপ্তরের মহাপরিচালক (অতিরিক্ত সচিব) মােহাম্মদ ইউসুফ।

তিনি বলেন, বাংলাদেশের বান্দরবান, খাগড়াছড়ি ও রাঙামাটিতে কাজু বাদামের চাষ হচ্ছে। ওই তিন জেলায় প্রতিবছর আমাদের উৎপাদন হচ্ছে ১ হাজার ৬০০ থেকে দুই হাজার মেট্রিক টন কাজু বাদাম। আমরা এর উৎপাদন বাড়াতে কৃষকদের উৎসাহিত করছি। আগামী দুই থেকে তিন বছরের মধ্যে এর উৎপাদন চার গুণ বৃদ্ধি পাবে।

এ সময় সেখানে অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলন কৃষি বিপণন অধিদপ্তরের পরিচালক (যুগ্ম সচিব) কাজী আবুল কালাম, উপ-পরিচালক (উপ সচিব) মােহাম্মদ রাজু আহমদ, সহকারী পরিচালক তহিদ মাে. রাশদ খান, জেলা কৃষি বিপণন কর্মকর্তা এটিএম এরশাদ আলম, জ্যাকপট ক্যাসুনাটস ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ইবনুল আরিফুজ্জামান।

জ্যাকপট ক্যাসুনাটস ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ইবনুল আরিফুজামান বলেন, আমাদের কারখানায় প্রতিমাসে ৪২ মেট্রিক টন কাঁচামাল প্রক্রিয়াজাত করে ৭ মেট্রিক টন কাজু বাদাম উৎপাদন করা হয়। কাঁচামালের জােগান কম হওয়ায় এখানে স্বয়ংক্রিয় যন্ত্রের ব্যবহার করা হচ্ছে না। স্থানীয় নারী শ্রমিকরা ওই প্রক্রিয়াজাত করণের কাজটি করছেন। নিয়মিত ৭৫ জন শ্রমিক কাজ করেন। আমাদের কারখানার উৎপাদিত কাজু বাদাম আমেরিকায় রপ্তানি হচ্ছে।

আরিফুজ্জামান জানান, কাজু বাদামের চারা রােপণের ২ থেকে ৩ বছরের মধ্যে ফলন আসতে শুরু করে। এই অঞ্চলেও এর চাষ শুরু হয়েছে।

কৃষি বিপণন অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মােহাম্মদ ইউসুফ আরও বলেন, কৃষি বিপণন অধিদপ্তরের মাধ্যমে জাতীয় বিপণন নীতিমালা তৈরি করছে সরকার। নীতিমালাটি অনুমাদনের জন্য মন্ত্রিসভায় পাঠানাে হয়েছে। অনুমােদন হলেই ওই নীতিমালা বাস্তবায়নের মধ্য দিয়ে উত্তরাঞ্চলের কৃষকদের উৎপাদিত পণ্যের ন্যায্য মূল্য নিশ্চিত হবে। ভােক্তারাও পণ্যের মূল্য সম্পর্কে নিশ্চিত থাকবেন।

সিথুন/মাহি

সম্পর্কিত বিষয়:

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়