ঢাকা     শনিবার   ২৭ জুলাই ২০২৪ ||  শ্রাবণ ১২ ১৪৩১

প্রস্রাবের রঙ হলুদ, ডাক্তারকে অবশ্যই যা জানাবেন

দেহঘড়ি ডেস্ক || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ১১:৪৭, ১৭ জানুয়ারি ২০২৪   আপডেট: ১২:৪৩, ১৭ জানুয়ারি ২০২৪
প্রস্রাবের রঙ হলুদ, ডাক্তারকে অবশ্যই যা জানাবেন

স্বচ্ছ এবং সাদার বদলে অনেক সময় প্রস্রাবের রঙ হলুদ হয়ে যায়। প্রস্রাবের এই রঙ অনেক রোগের লক্ষণ হতে পারে। চিকিৎসকেরা প্রস্রাবের রং দেখে অনেক সময় রোগ নির্ণয় করেন। প্রস্রাবের রঙ হলুদ হলে যেসব রোগ হতে পারে জেনে নিন।

হেলথলাইনের তথ্য, প্রস্রাবের রঙ কেমন হবে তা নির্ভর করে আপনার পানি পান করার পরিমাণের ওপর। শরীর যদি হাইড্রেটেড থাকে তাহলে প্রস্রাবের রং স্বচ্ছ ও সাদা হয়। আর শরীর ডিহাইড্রেটেড থাকলে প্রস্রাব হলুদের যেকোন শেড ধারণ করতে পারে।

ফ্যাকাশে হলুদ:  চিকিৎসকেরা বলেন সাধারণত পানি কম খেলে প্রস্রাবের রঙ হলুদ হয়। তবে শরীর যখন পানিশূন্য হয়ে পড়ে, তখন কিডনি প্রস্রাব থেকে পানি শোষণ করে। ফলে প্রস্রাবের স্বাভাবিক রঙ ঘনীভূত হয়ে যায়। এবং হলুদ আকার ধারণ করে। এমন সমস্যা সমাধানের একমাত্র উপায় হচ্ছে পর্যাপ্ত পরিমাণে পানি পান করা।

গাঢ় হলুদ: প্রস্রাবের রঙ গাঢ় হলুদ আকার ধারণ করলে জন্ডিসের আশঙ্কা থেকে যায়। তবে যারা ভিটামিন বি কমপ্লেক্স কিংবা মূত্রনালির সংক্রমণ দূর করার কোনো অ্যান্টিবায়োটিক ওষুধ খাচ্ছেন তাদের প্রস্রাবের রঙ হলুদ হতে পারে।

গোলাপি প্রস্রাব:  প্রস্রাবের রঙ গোলাপি আকার ধারণ করা মোটেও ভালো লক্ষণ নয়।  প্রস্রাবে রক্ত চলে আসলে অথবা কোনো বিশেষ ওষুধ বা টক্সিনের কারণে এমনটা হয়। যদি রক্তের কারণে হয় তাহলে ইউটিআই, টিউমার, প্রস্টেটের সমস্যা, কিংবা কিডনিতে স্টোন হয়ে থাকতে পারে।

ঘোলাটে প্রস্রাব: কিডনির সমস্যা হলে প্রস্রাবের রঙ ঘোলাটে আকার ধারণ করতে পারে। খাবারে প্রোটিনের পরিমাণ বেশি হলে এমন রঙ দেখা যেতে পারে। কিন্তু প্রতিদিন ঘোলাটে প্রস্রাব হলে অবশ্যই চিকিত্সকের পরামর্শ নিন।

কমলা প্রস্রাব: কমলা প্রস্রাব হওয়ার কারণ হতে পারে ওষুধের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া। তবে মলও যদি কমলা রঙের হয়  তাহলে লিভারের সমস্যা থেকে হতে পারে। দীর্ঘদিন ধরে এমন হলে অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ নিন।

প্রস্রাবের রঙে কোনো অস্বাভাবিকতা লক্ষ্য করলে ডাক্তারের সঙ্গে দেখা করা উচিত।  ডাক্তারকে যা জানাতে হবে তার বিবরণ এভাবে লিখুন:

 

  • আপনি কখন প্রথম পরিবর্তনটি লক্ষ্য করতে শুরু করেছিলেন?
  • ইদানিং আপনার খাদ্যতালিকায় কী রয়েছে?
  • আপনি কী ঔষধ গ্রহণ করেছেন?
  • আপনি কঠোর শারীরিক কার্যকলাপে নিযুক্ত আছেন কিনা
  • আপনার ঘুমের ধরণে কী কোনো পরিবর্তন হয়েছে?
  • আপনার মলত্যাগ স্বাভাবিক আছে?
  • আপনার শরীরের কোথাও কী ফুসকুড়ি আছে?
  • আপনার কী ইদানিং মাথাব্যথা করে?
  • আপনার কী দৃষ্টিশক্তিতে কোনো সমস্যা হয়েছে?
  • আপনার কী অতিরিক্ত ওজন কমেছে?
  • ধূমপানেকরেন?
  • আপনার প্রস্রাবের অভ্যাসের কোনো পরিবর্তন হয়েছে কী?

এসব বিবরণ আগে থেকে লিখে নিয়ে ডাক্তারের সঙ্গে দেখা করা ভালো। এতে প্রাথমিকভাবে রোগ নির্ণয় সহজ হবে। এরপরে তিনি আপনাকে প্রস্রাব এবং রক্ত পরীক্ষা করতে দিতে পারেন।

সূত্র: হেলথলাইন অবলম্বণে

/স্বরলিপি

সম্পর্কিত বিষয়:

সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়