ঢাকা     শনিবার   ২৭ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ১৪ ১৪৩১

করোনার টিকা প্রয়োগ কর্মসূচির জন্য ৯০ কোটি টাকা ছাড়

কেএমএ হাসনাত || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ২২:৫২, ৪ ফেব্রুয়ারি ২০২১   আপডেট: ০৮:৩৬, ৫ ফেব্রুয়ারি ২০২১
করোনার টিকা প্রয়োগ কর্মসূচির জন্য ৯০ কোটি টাকা ছাড়

করোনার টিকা প্রয়োগ কর্মসূচি বাস্তবায়নে তিন বার আপ‌্যায়ন ও প্রচার-প্রচারণা বাবদ অর্থ ছাড়ের অনুরোধ ফেরত দিলেও এবার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের অনুকূলে শুধু ‘আপ্যায়ন ব্যয়’ বাবদ ৯০ কোটি টাকা ছাড় বা বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। তবে প্রচার-প্রচারণা ও বিজ্ঞাপনের জন্য কোনো অর্থ বরাদ্দ দেওয়া হয়নি।

সূত্র জানায়, গত ৩ ফেব্রুয়ারি অর্থ বিভাগ থেকে এ বরাদ্দের বিষয়টি নিশ্চিত করে স্বাস্থ্য সেবা বিভাগের সচিবকে চিঠি দেওয়া হয়েছে। খুব বেশি প্রয়োজন হলে প্রচার-প্রচারণার জন্য স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের নিজস্ব তহবিল থেকে অর্থ ব্যয় করার জন্য পরামর্শ দিয়েছে অর্থ মন্ত্রণালয়।

সংশ্লিষ্ট এক কর্মকর্তা নাম প্রকাশ না করার শর্তে জানান, গত জানুয়ারি মাসে করোনাভাইরাসের টিকা কর্মসূচির প্রচার-প্রচারণা ও আপ্যায়ন বাবদ ১০৫ কোটি টাকা চেয়েছিল স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়। ওই চাহিদাপত্রের বিপরীতে গত ৩ ফেব্রুয়ারি শুধু ‘আপ্যায়ন ব্যয়’ বাবদ ৮৯ কোটি ৮৫ লাখ ৬০ হাজার টাকা বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে।

তবে এই বরাদ্দের ক্ষেত্রে তিনটি শর্ত দিয়েছে অর্থ মন্ত্রণালয়। শর্তগুলো হলো—আপ্যায়ন ব্যয় খাতে বরাদ্দকৃত অর্থ ব্যয়ের ক্ষেত্রে সরকারি প্রযোজ্য আর্থিক বিধিবিধান যথাযথভাবে অনুসরণ করতে হবে, অব্যয়িত অর্থ যথাসময়ে সরকারি কোষাগারে জমা দিতে হবে এবং এই অর্থ চলতি ২০২০-২০২১ অর্থবছরের সংশোধিত বাজেটে সমন্বয় করতে হবে।

স্বাস্থ্য সেবা বিভাগের একজন কর্মকর্তা বলেন, ‘বিজ্ঞাপন আর প্রচার না করতে পারলে কম লোক টিকা নিতে আসবে। প্রচার-প্রচারণায় অর্থ না দেওয়াটা কাঙ্ক্ষিত ছিল না।’

সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা জানান, গত ২৭ জানুয়ারি স্বাস্থ্যসেবা বিভাগ থেকে অর্থ বিভাগে পাঠানো বরাদ্দের চাহিদাপত্রে ১০৪ কোটি ৮২ লাখ ৯৮ হাজার টাকা চাওয়া হয়েছিল। এর মধ্যে প্রচার ও বিজ্ঞাপন ব্যয় বাবদ চাওয়া হয়েছে ১৪ কোটি ৯৭ হাজার ৩৮ টাকা এবং আপ্যায়ন বাবদ চাওয়া হয়েছে ৮৯ কোটি ৮৫ হাজার ৬০ টাকা। এর বিপরীতে আপ্যায়ন বাবদ অর্থ বরাদ্দ দেওয়া হলেও প্রচার-প্রচারণা বাবদ ১৪ কোটি ৯৭ হাজার ৩৮ টাকা ছাড় করা হয়নি।

স্বাস্থ্য সেবা বিভাগের ঊর্ধ্বতন এক কর্মকর্তা জানান, কারোনাভাইরাসে টিকা কীভাবে নিতে হবে, এ নিয়ে প্রচার-প্রচারণা চালানো, টিকা দেওয়ার ডাটাবেস তৈরি এবং সুষ্ঠু ও সুশৃঙ্খলভাবে টিকা দিতে ৪২ হাজার স্বেচ্ছাসেবক ও কর্মীকে আপ্যায়নের জন্য এই বরাদ্দ চাওয়া হয়েছিল।

তিনি বলেন, ‘চলতি বছরের শুরুতে মোট ১৬টি খাতের বিপরীতে ১ হাজার ৫৮৯ কোটি ৪৫ লাখ ৭৫ হাজার টাকা চাওয়া হয়েছিল। এর বিপরীতে সাতটি খাতে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছিল ৭১৯ কোটি ৩১ লাখ ৪৫ হাজার টাকা। কাটছাঁট করা হয়েছে ৮৭০ কোটি ১৪ লাখ ৩০ হাজার টাকা।’

এর আগে গত ২০ ডিসেম্বর স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের ১৬টি খাতে বরাদ্দ চাহিদার বিপরীতে ৯টি খাতে বরাদ্দ করা হয়েছিল ৭৩৫ কোটি ৭৬ লাখ ৮২ হাজার টাকা। কিন্তু ১৭ জানুয়ারি ওই বরাদ্দ থেকে আরও দুটি খাতের ১৬ কোটি ৪৫ লাখ ৩৭ হাজার টাকা কেটে নেওয়া হয়েছে।

ঢাকা/হাসনাত/রফিক

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ