নূহের (আ.) মহাপ্লাবনের পানির সন্ধান!
আহমেদ শরীফ || রাইজিংবিডি.কম
আহমেদ শরীফ : কয়েক হাজার বছর আগে বিশ্বে এক মহাপ্লাবন ঘটে। সে সময় বিশ্বের প্রায় সব প্রাণি বিলীন হয়ে যায়। নূহ নবীর (আ.) সময় ঐ মহাপ্লাবন হয়েছিলো বলে ধর্মমতে জানা যায়।
পবিত্র ধর্মগ্রন্থ কুরআন এবং বাইবেলে সে কাহিনীর বর্ণনা আছে। এই মহাপ্লাবনের বিষয়টি ঘটেছে বলে বিজ্ঞানীরাও অনেক আগে থেকে সায় দিয়ে আসছিলেন। এবার তারা দাবি করছেন, নূহ নবীর (আ.) সময়কার সেই মহাপ্লাবনের পানির সন্ধান তারা পেয়েছেন!
রাশিয়ার একদল বিজ্ঞানী বিশ্বের সবচেয়ে গভীর গর্ত খুঁড়ে ঐ পানি পেয়েছেন বলে দাবি করা হচ্ছে। এতদিন মনে করা হয়েছিলো, পৃথিবীর অভ্যন্তরভাগে মূলত পাথর আছে। ১২ কিলোমিটার পর্যন্ত গভীর গর্ত খুঁড়ে বিজ্ঞানীরা পানির অস্তিত্ব পাওয়ায় ঐ ধারণা ভুল প্রমাণিত হলো। পাথর বা মাটির পরিবর্তে বিপুল পরিমাণ পানির সন্ধান পেয়ে বিজ্ঞানীরা খুবই আশ্চর্য হয়েছেন।
রাশিয়ার কোলা এলাকায় কোলা সুপারডিপ বোরহোলের মাধ্যমে এ তথ্য জানা গেছে। সেই ১৯৭০ সাল থকে পৃথিবীর গভীরে খনন করছিলেন এই প্রকল্পের গবেষকরা। তবে ১৯৯০ এর দশকে রহস্যজনক কারণে খনন কাজ বন্ধ করা হয়। বলা হয় পৃথিবীর গভীরে প্রচণ্ড উত্তাপ গবেষণা বন্ধের কারণ। তবে গুজব ছড়িয়েছিলো যে গবেষকরা মাটির তলদেশে নরকের সন্ধান পেয়েছেন। ফলে তারা ভয় পেয়েছিলেন।
মাটির গভীর তলদেশ থেকে নাকি শাস্তি পাওয়া আত্মার চিৎকারও শুনেছেন অনেকে। এমনই অভিজ্ঞতার কথা জানা যায় আলাস্কার ফেয়ারব্যাংকসের একটি তেলের খনির শ্রমিকদের কাছ থেকে। তারা নাকি এক পর্যায়ে গভীর তলদেশ থেকে সাক্ষাৎ শয়তানের মতো কিছু একটা উপরে উঠে আসতে দেখেছেন। যদিও সে সবের কোনো প্রমাণ নেই।
তবে দীর্ঘ গবেষণার পর কোলা বোরহোল প্রজেক্টের গবেষকরা এখন বলছেন, পৃথিবীর প্রায় ১২ কিলোমিটার গভীরে নূহের মহা প্লাবনের সময়কার পানি, যা এতোদিন খুঁজে পাওয়া যায়নি, তার সন্ধান পেয়েছেন তারা। মহাপ্লাবনের পর বাকি পানি আমাদের পরিচিত মহাসাগর, সাগর, নদী ইত্যাদিতে বিভক্ত হয়ে যায় বলে তাদের ধারণা। এছাড়া গবেষক দল পৃথিবীর তলদেশে হিলিয়াম, হাইড্রোজেন, নাইট্রোজেন ও কার্বন-ডাই-অক্সাইডের পকেট খুঁজে পেয়েছেন। এটি অসম্ভব বলেই এতোদিন জেনে আসছিলেন বিজ্ঞানীরা।
রাইজিংবিডি/ঢাকা/২৪ নভেম্বর ২০১৬/তারা/শাহনেওয়াজ
রাইজিংবিডি.কম