ঢাকা     বৃহস্পতিবার   ২৫ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ১২ ১৪৩১

ইভ্যালি কার্যালয় খুলছে রোববার

প্রকাশিত: ২১:৪৮, ২০ আগস্ট ২০২১   আপডেট: ২২:০২, ২০ আগস্ট ২০২১
ইভ্যালি কার্যালয় খুলছে রোববার

দেশের আলোচিত ই-কমার্স প্রতিষ্ঠান ইভ্যালি করোনা মহামারির কারণ দেখিয়ে গত ২৭ জুন থেকে তাদের কার্যালয় বন্ধ রেখেছিল। তবে আগামী রোববার (২২ আগস্ট) থেকে ইভ্যালি অফিস খুলছে বলে জানিয়েছেন প্রতিষ্ঠানটির ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও প্রধান নির্বাহী মোহাম্মদ রাসেল। বৃহস্পতিবার রাতে ফেসবুক লাইভে এসে এ তথ্য জানান তিনি।

পাশাপাশি ওই দিন পাওনাদারদের এক সঙ্গে কার্যালয়ে এসে বিশৃঙ্খলা না করার অনুরোধও জানান তিনি। রাসেল বলেন, ‘রোববার থেকে অন্তত ১৫টা দিন আমাদের সঙ্গে অ্যাপয়েন্টমেন্ট ছাড়া আসবেন না। গ্রুপ করে আসবেন না। কারণ আপনারা পজিটিভ সেন্সে আসবেন কিন্তু হতে পারে খারাপ উদ্দেশ্যের লোকজন উসকে দিয়ে নিজেদের উদ্দেশ্যে পূরণ করতে পারে।’ 

উল্লেখ্য, অগ্রিম টাকা নিয়েও মাসের পর মাস গ্রাহকের পণ্য বুঝিয়ে না দেওয়ায় ও অস্বাভাবিক মূল্যছাড়ের ঘটনায় সমালোচিত হচ্ছিল ইভ্যালি। সম্প্রতি বাংলাদেশ ব্যাংকের এক তদন্তে ইভ্যালির প্রায় সাড়ে তিনশ কোটি টাকার দায়ভার রয়েছে বলে দেখা যায়। তাদের ব্যবসা নীতি নিয়ে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ও প্রশ্ন তোলে।  

এ প্রসঙ্গে ফেসবুক লাইভে রাসেল বলেন, প্রায় সাড়ে তিনশ কোটি টাকার দায়ভার সৃষ্টি হলেও ব্যাপারটিকে আমাদের কাছে এখনো অস্বাভাবিক নয়। কারণ নতুন পরিকল্পনা অনুযায়ী আমরা ডিসকাউন্ট কমাচ্ছিলাম। ধীরে ধীরে পরিবর্তন চলে আসতো। আপনারা বুঝতেনই না আমরা প্রফিটে চলে যেতাম। কিন্তু বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সাম্প্রতিক নীতিমালার ফলে আমাদের সাময়িক সমস্যায় পড়তে হয়েছে। আমরা জানতাম না যে এত আকস্মিকভাবে ব্যবসায় পরিবর্তন আসবে। যখন সিদ্ধান্তটা সাডেনলি হয় তখন কিছু সমস্যা হয়ে যায়।’  

এখনও মাসে ১০০ কোটি টাকার পণ্য বিক্রি হচ্ছে দাবি করে রাসেল বলেন, এই পরিস্থিতি থেকে উত্তরণের দুটি পথ খোলা আছে। হয়ত তহবিল সংগ্রহ করতে হবে, নয়ত বিক্রিটা নিয়মিত রাখতে হবে। তহবিলের ক্ষেত্রে যমুনা গ্রুপের সঙ্গে আমাদের চুক্তি স্বাক্ষর হয়েছে। কিন্তু আনুষ্ঠানিক কাগজপত্র সম্পন্ন করতে আরো সময় লাগবে। তখন প্রোডাক্ট ডেলিভারি অনেক দ্রুত হবে। গ্রাহকদের কোনো অর্ডার আমরা পেন্ডিং রাখবো না। আগামী পাঁচ মাসের মধ্যে সর্বশেষ সাইক্লোন অর্ডারের পণ্যগুলো সরবরাহ করা হবে।’ 

ইভ্যালির পাশে থাকার জন্য গ্রাহকদের প্রোডাক্ট অর্ডার বাড়ানোর অনুরোধ জানান রাসেল। তিনি বলেন, ‘আমাদের কিছুটা সময় দেওয়াটা হচ্ছে এখন একমাত্র সমাধান। আমরা এখন অফ হয়ে যাওয়া ব্র্যান্ডগুলোর সঙ্গে লক খোলার কাজটি করছি। টি১০ ক্যাম্পেইন দিয়ে সেটা করার চেষ্টা করছি। ১০০ টাকার অর্ডার পেলে ৫০ টাকার পুরোনো অর্ডার ডেলিভারি করতে পারি। এটাই আমাদের বর্তমান সমাধান। এখন প্রায়োরেটি পয়েন্ট যাদের বেশি তাদের ডেলিভারিটা ফার্স্ট হচ্ছে। তাই আপনারা প্রাইরোটি পয়েন্টে কেনাকাটা বাড়ান।’

তিনি বলেন, ‘আপনারা আমাদের সুযোগ দেন, যদি ব্যর্থ হই তাহলে শাস্তি দিয়েন। কিন্তু ব্যর্থ হওয়ার আগেই শুধু ধারণা করে আমাদের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ নেওয়া উচিত হবে না। ইভ্যালি খুব শিগগির ঘুরে দাড়াতে পারবে।’

ঢাকা/ফিরোজ

সম্পর্কিত বিষয়:

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়