ঢাকা     বৃহস্পতিবার   ১৮ ডিসেম্বর ২০২৫ ||  পৌষ ৪ ১৪৩২

Risingbd Online Bangla News Portal

বিলুপ্তির পথে খাটাশ

মহাসিন আলী || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ০৪:১৪, ২৫ জুন ২০১৪   আপডেট: ০৫:২২, ৩১ আগস্ট ২০২০
বিলুপ্তির পথে খাটাশ

খাটাশ বা গন্ধগোকুল

মহাসিন আলী, মেহেরপুর : প্রকৃতি থেকে বিলুপ্তি হতে চলেছে খাটাশ বা গন্ধগোকুল। নিশাচর এই প্রাণীটিকে কেউ কেউ বাগডাশ, ভাম বা ভামবিড়াল নামেও ডেকে থাকেন।

খাটাশের মাথা ও শরীরের গড়ন লম্বাটে। পা খাটো ও মোটা। শরীরের রং গাঢ় ধূসর। তাতে হলুদ ও বাদামি আঁচ থাকে। মাথাসহ এদের দেহের দৈর্ঘ্য প্রায় ৩ ফুট। লেজ প্রায় ২ ফুট। পূর্ণবয়স্ক একটি খাটাশের ওজন ৯ থেকে ১০ কেজি পর্যন্ত হয়ে থাকে। এদের গন্ধগ্রন্থি আকারে অনেক বড়। এ গ্রন্থি থেকেই এরা তীব্র দুর্গন্ধ ছড়ায়।

খাটাশ একাকী হলেও প্রজননের সময় স্ত্রী-পুরুষ একত্রে থাকে। সাধারণত বছরে দুবার বাচ্চা দেয়। এদের গর্ভধারণ কাল দুই মাসের কিছু বেশি সময়। প্রতিবারে এরা তিনটি করে ছানা দেয়। আর জন্মের পর ছানার চোখ খোলে ১০-১২ দিনে।

পুরোনো গাছের খোঁড়ল এদের বাচ্চা প্রসবের উপযুক্ত স্থান। খোঁড়লের অভাবে গাছের ডালের ফাঁকে, পরিত্যক্ত ঘর বা ইটের ভাটা, ধানের গোলা ও তালগাছের আগায় এরা ছানা তোলে। মা খাটাশ দেহের সঙ্গে লেজ মিলিয়ে একটি বৃত্তের সৃষ্টি করে। ছানারা কখনোই সে বৃত্তের বাইরে যায় না।

এদের খাদ্য পাখি, ব্যাঙ, সাপ, ইঁদুর, খরগোশ, হাঁস-মুরগি, পাখির ডিম, কাঁকড়া ইত্যাদি। তা ছাড়া, এরা বিভিন্ন গাছের ফল এবং মূলও খেয়ে থাকে।

প্রকৃতি থেকে হারিয়ে যেতে বসেছে এ খাটাশ। জনসংখ্যা বৃদ্ধির ফলে ঘরবাড়ি বাড়তে থাকায় এরা আবাসভূমি হারাচ্ছে। হাঁস-মুরগি বাঁচানোর জন্যও এদের নির্বিচারে হত্যা করা হয়। ফলে দিন দিন কমে যাচ্ছে খাটাশের সংখ্যা ।

 

রাইজিংবিডি/ঢাকা/২৫ জুন ২০১৪/টিপু/এএ

রাইজিংবিডি.কম

সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়