ঢাকা     শুক্রবার   ২৬ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ১৩ ১৪৩১

‘এর চেয়ে বেশি কিছু চাইতে পারি না’

ক্রীড়া প্রতিবেদক || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ০১:১৫, ১৯ ডিসেম্বর ২০২০  
‘এর চেয়ে বেশি কিছু চাইতে পারি না’

‘এর চেয়ে বেশি কিছু চাইতে পারি না। যেভাবে বোলাররা, ব্যাটসম্যানরা ও বিশেষ করে ফিল্ডাররা যেভাবে তাদের সব ঢেলে দিয়েছে তাদেরকে কৃতিত্ব দিতেই হয়। আলহামদুলিল্লাহ্, আমরা আমাদের লক্ষ্য পূরণ করতে পেরেছি’-বঙ্গবন্ধু টি টোয়েন্টি কাপ স্পন্সরড বাই ওয়ালটনের ট্রফি জয়ের পর ঠিক এভাবেই নিজের অনুভূতি প্রকাশ করেছেন জেমকন খুলনার অধিনায়ক মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ।

প্রেসিডেন্টস কাপে ট্রফি জয় ছিল মাহমুদউল্লাহ রিয়াদের সর্বোচ্চ সাফল্য। এবার জিতলেন ফ্র্যাঞ্চাইজি ভিত্তিক কোনো টুর্নামেন্টের ট্রফি। পরপর দুটি টুর্নামেন্টে তার নামের পাশে যুক্ত হয়েছে সাফল্যের পালক। পাঁচ দলের এই টুর্নামেন্টে শুক্রবার রাতে গাজী গ্রুপ চট্টগ্রামকে ৫ রানে হারিয়ে চ্যাম্পিয়ন হয় জেমকন খুলনা। জয়ের ভিতটা গড়েছেন মাহমুদউল্লাহ নিজেই।  

৫ দলের এই টুর্নামেন্টের প্লেয়ার্স ড্রাফটের পর থেকেই তারকা বহুল দল গড়ে আলোচনায় ছিল খুলনা। দলে ছিলেন সাকিব আল হাসানের মতো অভিজ্ঞ ক্রিকেটারের সঙ্গে ইমরুল কায়েস-জহুরুল ইসলাম অমির মতো পরীক্ষিত ক্রিকেটার। শেষ মুহুর্তে লটারি ভাগ্যে পেয়েছিল মাশরাফি বিন মুর্তজাকে। তবে গ্রুপপর্বে দলটি সেরা খেলাটা খেলতে পারেনি। ৮ ম্যাচের মধ্যে চার জয় আর চার হার। এর পর প্রথম কোয়ালিফার আর শেষে ফাইনাল জিতে চ্যাম্পিয়ন।

ফাইনালের পুরো টুর্নামেন্ট জুড়ে কোনো অর্ধশতক ছিল না মাহমুদউল্লাহর। ফাইনালের মঞ্চে এসে ঠিকই জ্বলে উঠলো তার ব্যাট। ব্যাট হাতে ৪৮ বলে ৮টি চার ও ২টি ছক্কার মারে করেন ৭০ রান। তিনি বলেন, ‘প্রথম কয়েক ম্যাচে আমি যেভাবে চাইছিলাম সেভাবে ব্যাটিং করতে পারছিলাম না। কিন্তু আমি হাল ছাড়িনি। খুশি যে আমি অবদান রাখতে পেরেছি।’

টুর্নামেন্টে অন্যতম দল ছিল চট্টগ্রাম। লিটন দাস-মোস্তাফিজুর রহমানরা ছিলেন দুর্দান্ত ফর্মে। দুজনেই টুর্নামেন্টের সেরা ব্যাটসম্যান সেরা বোলার হয়েছেন। তাদের বিপক্ষে একটি লড়াকু স্কোর প্রয়োজন ছিল। খুলনার টপ অর্ডার ব্যর্থ হওয়াতে দায়িত্ব এসে পড়ে নেতা মাহমুদউল্লাহর ওপর।

দলের সঙ্গে মাহমুদউল্লাহ বিশেষ করে ধন্যবাদ দিয়েছেন মাশরাফিকে। ‘ধন্যবাদ আমার দলকে। বিশেষ করে ম্যাশকে। সে অনেক সাহায্য করেছে। তার অভিজ্ঞতা আমাকে অনেক সাহায্য করেছে সিদ্ধান্ত নেওয়ার ক্ষেত্রে। খুবই খুশি তাকে পেয়ে।’

খুলনার অধিনায়ক বলেন, ‘আমরা কিছু উইকেট হারিয়েছিলাম শুরুতে। আমাদের জুটি দরকার ছিল তখন। কমপক্ষে ১৪০-১৫০ রান করতেই হতো। কারণ, উইকেট খুবই ভালো ছিল। দ্রুত উইকেট হারানো সবসময়ই ব্যাটসম্যানদের জন্য চাপের। আমরা যেভাবেই হোক, ১৫০ করতে পেরেছি। আমি মনে করি ফাইনাল ম্যাচে যদি আপনি দ্রুত উইকেট হারান তাহলে রান তাড়া করা সবসময়ই চাপের।’

সেই চাপকে দূরে ঠেলে ভয়কে জয় করে চট্টগ্রামকে ডুবিয়ে তরী নিয়ে তীরে এসে ভিড়েছেন মাহমুদ উল্লাহ।

রিয়াদ/আমিনুল

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়