ঢাকা     শুক্রবার   ২৬ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ১৩ ১৪৩১

বড় হার বাংলাদেশের, সিরিজ শ্রীলঙ্কার

ক্রীড়া ডেস্ক || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ১০:১৫, ৩ মে ২০২১   আপডেট: ১৩:৫৭, ৩ মে ২০২১
বড় হার বাংলাদেশের, সিরিজ শ্রীলঙ্কার

দ্বিতীয় টেস্টের পঞ্চম ও শেষ দিন বাংলাদেশের প্রয়োজন ছিল ২৬০। আর শ্রীলঙ্কার ৫ উইকেট। দিনের শুরু থেকেই মুমিনুল হকের দল নিয়মিত বিরতিতে হারাতে থাকে উইকেট। যা একটু লড়াই করেছিলেন মেহেদি হাসান মিরাজ। তার ব্যাট থেকে আসে ৩৯ রান। প্রথম সেশনে ২৩ ওভারে বাকি ৫ উইকেট হারিয়ে ফেলে বাংলাদেশ। ৪৩৭ রানের টার্গেটে খেলতে নেমে বাংলাদেশ সবকটি উইকেট হারায় ২২৭ রানে। ২০৯ রানের বড় ব্যবধানে হেরে বাংলাদেশ সিরিজ হারে ১-০ ব্যবধানে। 

হারের বড় কারণ জয়াবিক্রমা

বাংলাদেশকে একাই ভুগিয়েছেন প্রবীণ জয়া বিক্রমা। দুই ইনিংসের ২০ উইকেটের মধ্যে জয়াবিক্রমা নিয়েছেন ১১ উইকেট। অথচ এই টেস্টের মধ্য দিয়েই তার অভিষেক হয়েছে। ১৯৮০ সাল থেকে এখন পর্যন্ত চারজন বোলার অভিষেকে ১০ উইকেট অথবা তার বেশি নিতে পেরেছেন। তার মধ্যে জয়া বিক্রমা ১৭৮ রান দিয়ে ১১ উইকেট নিয়ে আছেন ৪ নম্বরে। এ ছাড়া নরেন্দ্র হিরানি ১৬, মোহাম্মদ জাহিদ ১১ ও জেসন ক্রেজা তাদের অভিষেকে টেস্ত নিয়েছেন ১২ উইকেট।

দুই ওভারে নেই তিন উইকেট

বাংলাদেশ ৭০ ও ৭১ ওভারে হারায় তিন উইকেট। তাসকিন সাজঘরে ফেরার পরের ওভারেই মিরাজ-রাহি একই পথ ধরেন। রাহি জয়াবিক্রমার বলে এলবিডব্লিউ হয়ে সাজঘরে ফেরেন। রিভিউ নিয়েছিলেন তবে কোনো কাজে আসেনি।

তাসকিনের পর সাজঘরে মিরাজ

১৭৭ থেকে দলীয় রান ২২৭। এই ৫০ রানের মধ্যে তিন উইকেট হারায় বাংলাদেশ। কিন্তু ৪ রানে দিন শুরু করা মেহেদি হাসান মিরাজ অবিচল ছিলেন। তিনি একাই করেন ৩৫ রান। একে একে আউট হয়ছেন লিটন-তাইজুল-তাসকিন। সতীর্থদের আসা যাওয়ার মিছিলে নিজেকে ধরে রাখতে পারেননি মিরাজ। প্রবীণ জয়াবিক্রমার বলে ব্যক্তিগত ৩৯ রানে নিসানকার হাতে ক্যাচ দিয়ে ফেরেন সাজঘরে।

সাজঘরে তাইজুল

ধনাঞ্জয়া ডি সিলভ্যার ফ্লাইট ডেলিভারি থার্ডম্যান অঞ্চলে খেলতে চেয়েছিলেন তাইজুল। বল টার্ন করায় ঠিক মতো খেলতে পারেননি। তাইজুলের ব্যাটে লেগে বল চলে যায় উইকেটরক্ষক নিরোশান ডিকওয়ালার হাতে। লিটন আউটের পর তাইজুল-মিরাজ দারুণ জুটি গড়েছিলেন। রান মাত্র ২৩ হলেও বল খেলেছেন ৬৬টি।

মিরাজের ব্যাটে বাংলাদেশের ২০০

দিনের শুরুতেই ফিরে গেছেন লিটন দাস। ৪ রানে দিন শুরু করা মেহেদি হাসান মিরাজ এখন পর্যন্ত খেলে যাচ্ছেন সাবলীলভাবে। প্রবীণ জয়াবিক্রমাকে লং অনে দারুণে চারে দলীয় স্কোর ১৯৫ থেকে নেন ১৯৯ রানে। একই ওভারে সিঙ্গেল নিয়ে স্পর্শ করেন ২০০।

দিনের শুরুতেই ফিরলেন লিটন

দিনের তৃতীয় ওভারের দ্বিতীয় বলে প্রবীণ জয়াবিক্রমা আঘাত হানেন বাংলাদেশের ব্যাটিংয়ে। তার শর্টেস্ট লেন্থ ডেলিভারি লিটন দাসের ব্যাটের ফাঁক গলে খুঁজে নেয় তার পা। জোরালো আবেদনে সাড়াদেন আম্পায়ার। রিভিউ নিয়েছিলেন; কিন্তু বল স্টাম্প স্পর্শ করায় কোনো লাভ  হয়নি। ১৪ রানে দিন শুরু করেছিলেন; মাত্র ৩ রান যোগ করে ১৭ রানে সাজঘরে ফেরেন লিটন।

বাংলাদেশের ২৬০, শ্রীলঙ্কার ৫

পঞ্চম ও শেষ দিনে বাংলাদেশের প্রয়োজন ২৬০ রান। শ্রীলঙ্কার প্রয়োজন ৫ উইকেট। শ্রীলঙ্কার দেওয়া ৪৩৭ রানের টার্গেটে খেলতে নেমে ৫ উইকেটে ১৭৭ রান করে বাংলাদেশ। ১৪ রান নিয়ে লিটন ও ৪ রানে মিরাজ দিন শুরু করেন। আলোকস্বল্পতায় নির্ধারিত ওভার থেকে ৮ ওভার খেলা কম হয়েছে। বাংলাদেশ সময় ৫টা ৪৫ মিনিটে দিনের খেলার ইতি টানেন আম্পায়ার। তাই আজ ১৫ মিনিট আগে খেলা শুরু হয়।

জিততে হলে বাংলাদেশকে গড়তে হবে বিশ্বরেকর্ড

বাংলাদেশের সামনে লিড ৪৩৬ রান। আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে এখনও কোনো দল চতুর্থ ইনিংসে এতো বিশাল রান তাড়া করে জেতেনি। সর্বোচ্চ ৪১৮ রান করেছিল ওয়েস্ট ইন্ডিজ অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে ২০০৩ সালে।

এছাড়া চারশর বেশি রান তাড়া করে জয়ের রেকর্ড আছে আরও তিনটি। ২০০৮ সালে দক্ষিণ আফ্রিকা ৪১৪ করেছিল অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে। ১৯৭৬ সালে ভারত ৪০৬ রান করেছিল ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে। ১৯৪৮ সালে অস্ট্রেলিয়া ৪০৪ করেছিল ইংল্যান্ডের বিপক্ষে।

টেস্টের চতুর্থ ইনিংসে বাংলাদেশের জয় মাত্র ৩ ম্যাচে। ২০০৯ সালে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে করেছিল ২১৭ রান। কলম্বোতে ২০১৭ সালে নিজেদের শততম টেস্ট জিতেছিল ১৯১ রান করে। এছাড়া ঢাকায় ২০১৪ সালে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে ১০১ রান তাড়া করে জিতেছিল।

তবে চতুর্থ ইনিংসে বাংলাদেশের চারশর বেশি রান করার একটি রেকর্ড রয়েছে। ২০০৮ সালে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে ঢাকায় ৪১৩ রান করেছিল বাংলাদেশ। এছাড়া ২০১০ সালে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে ৩৩১ রান এবং একই বছর ঢাকায় ভারতের বিপক্ষে ৩০১ রান করেছিল। প্রতিটি ম্যাচই বাংলাদেশ হেরেছিল।

ঢাকা/রিয়াদ

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়