ঢাকা     বৃহস্পতিবার   ২৫ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ১২ ১৪৩১

সাকিবের পাঁচে পাঁচ, ঝুলে গেল মাহমুদউল্লাহ-তামিমদের ভাগ্য

ক্রীড়া প্রতিবেদক || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ২২:০০, ১১ ফেব্রুয়ারি ২০২২   আপডেট: ২২:১৬, ১১ ফেব্রুয়ারি ২০২২
সাকিবের পাঁচে পাঁচ, ঝুলে গেল মাহমুদউল্লাহ-তামিমদের ভাগ্য

ব্যাটিং কিংবা বোলিং; সাকিব আল হাসান যেন সপ্তম আকাশে। তাকে ছোঁয়ার যেন কেউই নেই! টানা পাঁচ ম্যাচে ম্যাচ সেরা। সাকিবের এমন আলো ঝলমলে আরও একটি দিনে কপাল পুড়লো মিনিস্টার ঢাকার। ফরচুন বরিশালের বিপক্ষে ৮ উইকেটে হেরে মাহমুদউল্লাহদের প্লে অফে ওঠার ভাগ্য ঝুলে গেল খুলনা টাইগার্স কিংবা চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্সের হারের উপর।

সাকিবের বরিশালের প্লে অফ আগেই নিশ্চিত হয়েছে। শুধু প্লে অফ নয়, চূড়ান্ত হয়েছে কোয়ালিফায়ারও। ১০ ম্যাচে ১৫ পয়েন্ট নিয়ে শীর্ষে উঠলো আবার। অন্যদিকে ১০ ম্যাচে ৯ পয়েন্ট নিয়ে ঢাকার অবস্থান তৃতীয় স্থানে। প্লে অফে উঠতে হলে খুলনা-চট্টগ্রামের যে কাউকে হারতেই হবে। ৯ ম্যাচে দল দুটির পয়েন্ট ৮ করে। যদি নিজেদের শেষ ম্যাচে দল দুটি জিতে তাহলে ঢাকাকে বাদ পড়তে হবে।

শুক্রবার (১১ ফেব্রুয়ারি) ঢাকা-বরিশাল রাউন্ড রবিন লিগে নিজেদের শেষ ম্যাচে মুখোমুখি হয়েছিল। টস জিতে ব্যাটিং করতে নেমে ৯ উইকেটে ১২৮ রান করে ঢাকা। রান তাড়া করতে নেমে বরিশাল সাকিবের ব্যাটে ভর করে ২৭ বল হাতে রেখে মাত্র ২ উইকেট হারিয়ে লক্ষ্যে পৌঁছে যায়।

সাকিব ২৯ বলে ৫১ রান করে অপরাজিত ছিলেন। ফজল হক ফারুকিকে চার মেরে দেখা পেয়েছেন চলতি বিপিএলের তৃতীয় ফিফটির। এর আগে এই আফগানের ওভারে ৪ চার ও ১ ছয়ে নিয়েছেন ২৩ রান! শুধু ব্যাট নয় বল হাতেও প্রতিপক্ষের জন্য বড় হুমকি হয়ে দাঁড়িয়েছেন বিশ্বসেরা অলরাউন্ডার। ৪ ওভারে মাত্র ২১ রান দিয়ে নিয়েছেন ১ উইকেট। অনুমিতভাবেই তার হাতেই ওঠে ম্যাচসেরার পুরষ্কার। এর আগের চারটিতেও ছিলেন সাকিব ম্যাচসেরা।

সাকিবের সঙ্গে নাজমুল হোসেন শান্ত অপরাজিত ছিলেন ২৮ রানে। সাকিব ঝড় তুললেও শান্ত খেলেছেন ধীরগতিতে। ২৮ বলে ২ চারে এই রান করেছেন শান্ত।

বরাবরের মতো মুনিম আজও ঝড়ো শুরু করেছেন। আরেক ওপেনার গেইল ছিলেন নিস্প্রভ। ১১ বলে ৭ রান করে ফেরেন সাজঘরে। ২৫ বলে ৩টি করে ছয়-চারে ৩৭ রান করে মুনিম ফিরলে ম্যাচ শেষ করে আসেন শান্ত-সাকিব। দুজনের জুটি থেকে আসে ৫২ বলে ৮৩ রান।

ঢাকার হয়ে ১টি করে উইকেট নেন শফিউল ইসলাম ও কাইস আহমেদ।

এর আগে তামিমের ফিফটিতেও চ্যালেঞ্জ দিতে পারেনি ঢাকা। ৯ চার ও ১ ছয়ে ৫০ বলে সর্বোচ্চ ৬৬ রান করেন তামিম। ৪৮ বলে ৮ চারে এই বাঁহাতি ওপেনার দেখা পেয়েছিলেন ফিফটির। ২৭ বল খেলে ২১ রান নিয়ে অপরাজিত ছিলেন শুভাগত হোম। এ ছাড়া আর কোনো ব্যাটসম্যান দুই অঙ্কের মুখ দেখেননি।

সিঙ্গেলস-ডাবলসের সঙ্গে বাউন্ডারি মেরে রানের চাকা সচল রেখেছিলেন তামিম। তবে সঙ্গে কাউকে পাননি হাল ধরার মতো। সে জন্য চ্যালেঞ্জিং রানের লক্ষ্যও দিতে পারেনি উড়তে থাকা সাকিবের দলকে।

নিজের জায়গায় ওপেনিংয়ে নেমে মোহাম্মদ নাঈম আজও ব্যর্থ। এর আগে তাকে কখনো দেখা টপ অর্ডারে, কখনো মিডল অর্ডারে আবার কখনো শেষে। কিন্তু নিজেকে হারিয়ে যেন খুঁজছেন তিনি। রান খরায় আগের ম্যাচে বাদও পড়েছিলেন। এই ম্যাচে ফিরে আউট হন ৯ বলে ৬ করে। বিপিএলে ৭ ম্যাচ খেলে তার ব্যাট থেকে আসে ৫০ রান।

নাঈমের মতো জহুরুল ইসলাম (২), মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ (৩) ও শামসুর রহমান ফেরেন দুই অঙ্কের ঘর ছোঁয়ার আগেই। একই হাল আজমতুল্লাহ ওমরজাই-কাইস আহমেদদেরও।

বরিশালের হয়ে সর্বোচ্চ ২টি করে উইকেট নেন শফিকুল ইসলাম, ডোয়াইন ব্রাভো ও মেহেদি হাসান রানা।

রিয়াদ/আমিনুল

সম্পর্কিত বিষয়:

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়