ঢাকা     শনিবার   ১৮ মে ২০২৪ ||  জ্যৈষ্ঠ ৪ ১৪৩১

ইমাম-বাবরের সেঞ্চুরিতে পাকিস্তানের ইতিহাস

ক্রীড়া প্রতিবেদক || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ০০:১৯, ১ এপ্রিল ২০২২   আপডেট: ০০:৩৯, ১ এপ্রিল ২০২২
ইমাম-বাবরের সেঞ্চুরিতে পাকিস্তানের ইতিহাস

লক্ষ্যটা ছিল আকাশ ছোঁয়া। হারলেই সিরিজ হাতছাড়া। এমন কঠিন পরিস্থিতিতে দাঁড়িয়ে পাকিস্তান গড়লো ইতিহাস। নিজেদের ওয়ানডে ইতিহাসে সর্বোচ্চ রান তাড়া করে জয়ের রেকর্ড গড়েছে বাবর আজমের দল।   

অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে সিরিজ বাঁচাতে পাকিস্তানকে ইতিহাস গড়তে হতো। ৮ উইকেটে ৩৪৮ রান তুলে স্বাগতিকদের কাজটা কঠিন করে দিয়েছিল অস্ট্রেলিয়া। ওয়ানডে ইতিহাসে এর আগে পাকিস্তান কেবল ৩২৯ রান করেই জিতেছিল বাংলাদেশের বিপক্ষে ২০১৪ সালে। সেটিই ছিল দ্বিতীয় ইনিংসে তাদের সর্বোচ্চ রান তাড়া করে জয়। 

লাহোরে বৃহস্পতিবার ৩৫২ রান তুলে অসাধারণ জয় পেয়েছে পাকিস্তান। ৬ বল আগে ৬ উইকেটে জয় তুলে নেয় স্বাগতিকরা। পাকিস্তানের হয়ে জোড়া শতক হাঁকিয়েছেন বাবর আজম ও ইমাম উল হক। তাদের দুর্দান্ত ব্যাটিংয়ের পর খুশদিল শাহের ঝড়ো ফিনিশিংয়ে বিজয়ের পতাকা উড়ায় পাকিস্তান। 

এ জয়ে তিন ম্যাচ ওয়ানডে সিরিজে ১-১ এ সমতা আসল। সিরিজ নির্ধারণী শেষ ওয়ানডে হবে শনিবার। 

লাহোরে দুই দলই রান উৎসবে মাতল। চার-ছক্কার ফুলঝুরিতে ২২ গজে রীতিমত রান ফোয়ারা। বোলারদের জন্য উইকেটে তেমন কিছুই ছিল না। সহজেই বল ব্যাটে আসছিল। নিশ্চিন্তে শট খেলছিলেন ব্যাটসম্যানরা। 

টস জিতে পাকিস্তানের অধিনায়ক অস্ট্রেলিয়াকে ব্যাটিংয়ে পাঠায়। শাহীন শাহ আফ্রিদি শুরুটা দারুণ করেন। তৃতীয় বলে অসি অধিনায়ক ফিঞ্চকে এলবিডব্লিউ করেন। 

কিন্তু এরপরই শুরু হয় তাণ্ডব। ত্রেভিস হেড ও বেন ম্যাকডেরমট ১৬২ রানের জুটি গড়েন। এ সময়ে দুজনই তুলে নেন ফিফটি। সেঞ্চুরির দিকে এগিয়ে যাচ্ছিলেন হেড। কিন্তু ৮৯ রানে তাকে থামান জাহিদ মাহমুদ। তবে ম্যাকডেরমট ভুল করেননি। তুলে নেন প্রথম আন্তর্জাতিক সেঞ্চুরি। ১০৪ রানে তার উইকেটটি নেন মোহাম্মদ ওয়াসিম। এরপর যারাই ক্রিজে গেছেন দ্রুত রান তুলেছেন। লাবুশানে ৪৯ বলে ৫৯, স্টয়নিস ৩৩ বলে ৪৯, শন অ্যাবট ১৬ বলে ২৮ রান করেন। 

রান উৎসবের মাঝেও শাহীন শাহ আফ্রিদি ৬৩ রানে পেয়েছেন ৪ উইকেট।

দ্বিতীয় ইনিংসে পাকিস্তানের সর্বোচ্চ রান ৩৬১। তবে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে সেই ম্যাচ হেরেছিল ১২ রানে। এছাড়া করাচিতেই ২০০৪ সালে ভারতের বিপক্ষে ৩৪৪ রান করে ৫ রানের জন্য ম্যাচ হেরেছিল। এবার কোনো ভুল করেননি বাবররা।  

লক্ষ্য তাড়ায় পাকিস্তানের শুরুটা ছিল দারুণ। ফখর জামান ও ইমাম ১১৮ রানের উদ্বোধনী জুটি গড়েন। ফখর ৬৭ রানে ফিরে গেলেও ইমাম দ্যুতি ছড়িয়ে সেঞ্চুরির পথে এগিয়ে যান। প্রথম ওয়ানডেতে সেঞ্চুরি করে দলকে জেতাতে পারেননি ইমাম। এবার অবশ্য সেই আক্ষেপ করতে হয়নি তাতে ৯৭ বলে ১০৬ রান করেন বাঁহাতি ওপেনার। তিনে নেমে মুগ্ধতা ছড়ান অধিনায়ক বাবর। ৮৩ বলে ১১৪ রান করেন ১১ চার ও ১ ছক্কায়। তাতে পাকিস্তানের জন্য কাজ সহজ হয়ে যায়। 

শেষ দিকে এই দুই সেঞ্চুরিয়ান দ্রুত ফিরলে ম্যাচে ছড়ায় রোমাঞ্চ। সঙ্গে রিজওয়ান ২৩ রান করে আউট হলে অস্ট্রেলিয়ার জয়ের ভাগ্য উঁকি দেয়। কিন্তু খুশদিল শাহের তাণ্ডবে পাকিস্তানই হাসে শেষ হাসি। ১৭ বলে ২টি করে চার ও ছক্কায় ২৭ রান করেন বাঁহাতি ব্যাটসম্যান। ৭ বলে ১১ রান করেন ইফতিখার। 

ম্যাচসেরা নির্বাচিত হয়েছেন বাবর আজম। 

এ জয়ে পাকিস্তান আইসিসি ওয়ানডে সুপার লিগে পঞ্চম জয় পেল। ১১ ম্যাচে ৫ জয়ে তাদের অবস্থান আটে। অস্ট্রেলিয়া সমান ম্যাচে চতুর্থ ম্যাচ হারল। ৭ জয়ে তাদের অবস্থান চারে। 

ঢাকা/ইয়াসিন/এনএইচ

সম্পর্কিত বিষয়:

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়