ঢাকা     শুক্রবার   ০৩ মে ২০২৪ ||  বৈশাখ ২০ ১৪৩১

চিকিৎসকের ‘ভুল পরামর্শ’ কাল হলো শহীদুলের

ক্রীড়া প্রতিবেদক || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ১৯:৪৩, ১৪ জুলাই ২০২২   আপডেট: ২০:২৬, ১৪ জুলাই ২০২২
চিকিৎসকের ‘ভুল পরামর্শ’ কাল হলো শহীদুলের

পেসার শহীদুল ইসলাম যেন নিজের পায়ে নিজেই কুড়াল মারলেন। ব্যক্তিগত সমস্যার জন্য চিকিৎসকের পরামর্শে ওষুধ খেয়ে সব ধরনের ক্রিকেটে ১০ মাস নিষিদ্ধ হলেন বাংলাদেশের এই বোলার। ডোপ টেস্টের পর তার শরীরে নিষিদ্ধ বস্তুর উপস্থিতি পাওয়ায় তাকে এই শাস্তি দিয়েছে আন্তর্জাতিক ক্রিকেট সংস্থা (আইসিসি)। 

এদিকে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) মেডিকেল বিভাগ রাইজিংবিডিকে নিশ্চিত করেছে, তাদের না জানিয়ে ব্যক্তিগত সমস্যার কারণে ওষুধ নিয়েছিলেন শহীদুল। তবে সেটি তার ব্যক্তিগত চিকিৎসকের পরামর্শেই। 

বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় রাইজিংবিডিকে মুঠোফোনে মেডিকেল বিভাগ থেকে বলা হয়, ‘বিষয়টা হলো শহীদুলের একটা ব্যক্তিগত সমস্যা ছিল। সেটার জন্য তিনি চিকিৎসকের পরামর্শে কিছু ওষুধ নিয়েছিলেন। শহীদুল যে চিকিৎসকের কাছ থেকে ব্যক্তিগত সমস্যার জন্য ওষুধ নিচ্ছিলেন, তিনি নিশ্চিত করেছিলেন এই ওষুধে কোনো সমস্যা হবে না। শহীদুলও আমাদের কিছু বলেননি।’

‘তার ব্যক্তিগত ইস্যু ছিল, তাই হয়তো আমাদের জানায়নি। আমরা বিসিবির মেডিকেল টিম সবসময় অ্যান্টি ডোপিংয়ের ক্লাস নেই, তাদেরকে সতর্ক করি। কিন্তু না জানানোয় এক্ষেত্রে কোনো কিছু করা সম্ভব হয়নি।’- আরও যোগ করা হয় মেডিকেল বিভাগ থেকে।  

বাংলাদেশের জার্সিতে একটি টি-টোয়েন্টি খেলেছেন শহীদুল। নিজের অপরাধ স্বীকার করায় সব ধরনের ক্রিকেট থেকে ১০ মাসের জন্য বহিষ্কৃত হলেন তিনি, যা কার্যকর হয়েছে ২৮ মে থেকে। বাংলাদেশের এই পেসার আবারও ক্রিকেট খেলা শুরু করতে পারবেন ২০২৩ সালের ২৮ মার্চ থেকে।

বিসিবির মেডিকেল বিভাগ থেকে আরেকটি বিষয় নিশ্চিত করা হয়, সেটি হলো শহীদুল কোনো খারাপ উদ্দেশ্যে এই ওষুধ নেননি, ‘শহীদুল কোনো ইনটেনশন নিয়ে এই ওষুধ নেননি। আইসিসির ডোপ টেস্টের সময় নিজ থেকেই জানিয়েছিলেন তিনি কী কী ওষুধ গ্রহণ করেছেন। কোনো কিছুই লুকাননি। লুকালে বোঝা যেতো যে কোনো খারাপ উদ্দেশ্য ছিল।’

গত মার্চে আফগানিস্তান সিরিজ চলাকালে এই ডোপ টেস্ট করা হয়। শহীদুলের মূত্রের নমুনা পরীক্ষায় ওয়াডার নিষিদ্ধ বস্তু ক্লোমিফেনের উপস্থিতি পাওয়া গেছে। আইসিসির প্রতিযোগিতা বহির্ভূত টেস্টিং প্রোগ্রামের অংশ হিসেবে এই নমুনা দিয়েছিলেন তিনি।

নিষেধাজ্ঞা দেওয়ার সঙ্গে আইসিসিও নিশ্চিত করেছে, ওষুধ আকারে এই নিষিদ্ধ বস্তু অনিচ্ছাকৃতভাবে শরীরে প্রবেশ করান শহীদুল। সাধারণত এটা থেরাপির জন্য চিকিৎসকরা ব্যবহারের পরামর্শ দেন। শহীদুলও জানিয়েছে, পারফরম্যান্স বর্ধক হিসেবে এটি ব্যবহার করেননি তিনি।

পাকিস্তানের বিপক্ষে ৩-০ তে সিরিজ হারের পথে তৃতীয় ও শেষ ম্যাচে খেলেছিলেন শহীদুল। নেন মোহাম্মদ রিজওয়ানের উইকেট। এছাড়া নিউ জিল্যান্ড ও দক্ষিণ আফ্রিকা সফরের দলেও ছিলেন তিনি। যদিও জায়গা হয়নি কোনো ম্যাচে। সম্প্রতি ওয়েস্ট ইন্ডিজ সফরে টেস্ট ও টি-টোয়েন্টি দলে থাকলেও সাইড স্ট্রেইনে হয়নি খেলা।

ঢাকা/রিয়াদ/ফাহিম

সম্পর্কিত বিষয়:

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়