৪৪ রানে নেই ৫ উইকেট, সেখান থেকে অস্ট্রেলিয়ার অবিশ্বাস্য জয়
লক্ষ্য আহামরি বড় ছিল না, মাত্র ২৩৩ রান। ওয়ানডে ক্রিকেটে যা মামুলী। কিন্তু ট্রেন্ট বোল্ট ও ম্যাট হেনরির আগুনে বোলিংয়ে অস্ট্রেলিয়া ৪৪ রান তুলতেই হারিয়ে ফেলে ৫ উইকেট।
সেখান থেকে জয়ের চিন্তা করা কঠিন। কিন্তু অ্যালেক্স ক্যারি ও ক্যামেরুন গ্রিনের অবিশ্বাস্য ব্যাটিংয়ে ৫ ওভার বাকি থাকতেই ২ উইকেটে জয় তুলে নেয় অস্ট্রেলিয়া।
ক্যারি ও গ্রিনের রেকর্ড গড়া জুটিতে তিন ম্যাচ সিরিজে ১-০ ব্যবধানে এগিয়ে অস্ট্রেলিয়া। ষষ্ঠ উইকেটে তারা ১৫৮ রানের জুটি গড়েন। যা অস্ট্রেলিয়ার যে কোনো প্রতিপক্ষের বিপক্ষে এই উইকেটে সর্বোচ্চ রানের জুটি।
এই ম্যাচ দিয়ে অস্ট্রেলিয়ার কেয়ার্নসে ২০০৪ সালের পর প্রথম আন্তর্জাতিক ম্যাচ অনুষ্ঠিত হলো। ফেরার ম্যাচ স্বাগতিকরা জয়ে রাঙালেও শুরুতে বেশ ধুকেছিল। শুরুর পাঁচ ব্যাটসম্যানদের মধ্যে কেবল ডেভিড ওয়ার্নার দুই অঙ্কের ঘর স্পর্শ করেন। তার ব্যাট থেকে আসে ২০ রান। এছাড়া বাকিরা ছিলেন নিষ্প্রভ। ফিঞ্চ (৫), স্মিথ (১), লাবুশানে (০) এবং স্টয়নিস (৫) দ্রুত সাজঘরে ফেরেন।
সেখান থেকে দেয়াল হয়ে দাঁড়িয়ে রেকর্ড গড়া ১৫৮ রানের জুটি গড়েন ক্যারি ও গ্রিন। এ সময়ে দুজনই তুলে নেন ফিফটি। সেঞ্চুরির পথে এগিয়ে যাচ্ছিলেন ক্যারি। কিন্তু উইকেট রক্ষক ব্যাটসম্যানকে ৮৫ রানে থামিয়ে দেন ফার্গুসন। সেখান থেকে ম্যাক্সওয়েল (২) ও স্টার্ক (১) দ্রুত আউট হলে আবার ম্যাচ জমিয়ে তুলে নিউ জিল্যান্ড।
কিন্তু অপরাজিত থেকে দলকে জিতিয়ে মাঠ ছাড়েন গ্রিন। ৮৯ রানে অপরাজিত থাকেন তিনি। ৯২ বলে ১০ চার ও ১ ছক্কায় সাজান ইনিংসটি। এজন্য পেয়েছেন ম্যাচ সেরার পুরস্কার। নিউ জিল্যান্ডের সেরা বোলার ট্রেন্ট বোল্ট। ৪০ রানে ২ মেডেনে ৪ উইকেট নেন। ২টি করে উইকেট পেয়েছেন ফার্গুসন ও হেনরি।
এর আগে টস হেরে ব্যাটিং করতে নেমে নিউ জিল্যান্ডের ইনিংসটাও জমেনি। টপ ও মিডল অর্ডারে তিন ব্যাটসম্যান ভালো শুরুর পরও থেমে গেছেন চল্লিশের ঘরে। সর্বোচ্চ ৪৬ রান করেন কনওয়ে। অধিনায়ক কেন উইলিয়ামসন ৪৫ ও টম লাথাম ৪৩ রান করেন। এছাড়া তেমন কেউ ভালো করতে পারেননি।
কিউইদের ইনিংসের লাগাম টেনেছেন স্পিনার ম্যাক্সওয়েল। ৫২ রানে ৪ উইকেট পেয়েছেন তিনি। জস হ্যাজেলউডের শিকার ৩টি।
আগামী বৃহস্পতিবার সিরিজের দ্বিতীয় ওয়ানডেতে মুখোমুখি হবে দুই দল।
ঢাকা/ইয়াসিন