ঢাকা     শুক্রবার   ০৫ ডিসেম্বর ২০২৫ ||  অগ্রহায়ণ ২০ ১৪৩২

Risingbd Online Bangla News Portal

১৯৯০: ১৬ লাল কার্ডের বিশ্বকাপ, এমনকি ফাইনালেও 

মোহাম্মদ মেহেদী হাসান || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ১৯:১৪, ১৭ ডিসেম্বর ২০২২  
১৯৯০: ১৬ লাল কার্ডের বিশ্বকাপ, এমনকি ফাইনালেও 

আয়োজক: ইতালি, দল: ২৪, ভেন্যু: ১২, ফাইনাল: পশ্চিম জার্মানি ও আর্জেন্টিনা, জয়ী: পশ্চিম জার্মানি (১-০) ইতিহাস: এ বিশ্বকাপে রেকর্ড ১৬টি লাল কার্ড দেখান রেফারিরা এমনকি ফাইনালেও! 

নব্বই দশক কিংবা বিংশ শতাব্দীতে কৈশোরে পা রাখা ফুটবল সমর্থকদের ১৯৯০ বিশ্বকাপ ভোলার কথা নয়। কারণ সেবারই প্রথমবারের মতো ফিফা বিশ্বকাপ নিয়ে ভিডিও গেমস বাজারে বের হয়েছিল। যারা নাম ছিল ‘ইতালি ১৯৯০’।

আরো পড়ুন:

বিশ্বকাপের ১৪তম আসরের আয়োজক ছিল ইতালি। মেক্সিকোর পর দ্বিতীয় দেশ হিসেবে দুবার বিশ্বকাপ আয়োজনের কৃতিত্ব দেখায় দেশটি। ৮ জুন থেকে ৮ জুলাই পর্যন্ত চলে বিশ্বকাপ। ১১৬ দেশ কোয়ালিফাইং রাউন্ড খেলে, চূড়ান্তপর্বে অংশ নেয় ২৪টি দল।

১৯৮৬ বিশ্বকাপ ও ১৯৯০ বিশ্বকাপের মধ্যে খুব একটা তফাৎ নেই! আলাদা দুটি বিশ্বকাপ হলেও মঞ্চ ছিল প্রায় একই। ১৯৮৬ বিশ্বকাপ জেতে আর্জেন্টিনা পশ্চিম জার্মানিকে হারিয়ে, আর চার বছর পর প্রতিশোধ নেয় পশ্চিম জার্মানি। রোমের এস্টাডিও অলিম্পিকে ১-০ গোলে আর্জেন্টিনাকে হারিয়ে বিশ্বকাপ জেতে জার্মানরা। এটিই ছিল শেষ প্রতিযোগিতা, যেখানে জার্মান দল বিভক্ত জার্মানির প্রতিনিধিত্ব করে। কেননা, ১৯৯০ সালের পর পূর্ব এবং পশ্চিম জার্মানি এক হয়ে যায়।

টুর্নামেন্টে তৃতীয় হয় স্বাগতিক ইতালি, চতুর্থ ইংল্যান্ড। পেনাল্টি শুটআউটে দুই দল ফাইনালের টিকিট হারায়। কোস্টারিকা, আয়ারল্যান্ড এবং সংযুক্ত আরব আমিরাত প্রথমবারের মতো বিশ্বকাপে অংশ নেয়।

১৯৯০ বিশ্বকাপ খুব একটা নজর কাড়েনি। গড়ে মাত্র ২.২১ গোল হওয়ায় অনেকেই বলেছিল বিশ্বকাপ তার স্ট্যান্ডার্ড হারিয়েছে। পাশাপাশি এ বিশ্বকাপে রেকর্ড ১৬টি লাল কার্ড দেখান রেফারিরা। বিশেষ করে ফাইনালেও লাল কার্ড দেখাতে হয় রেফারিকে। এ ছাড়া এই বিশ্বকাপে প্রথমবারের মতো ফেয়ার প্লে ট্রফি নিয়ে আসেন আয়োজকরা।

মাঠের খেলায় নজর কাড়তে না পারলেও সেবার রেকর্ড-সংখ্যক দর্শক টিভির পর্দায় বিশ্বকাপ উপভোগ করেছিল।  আয়োজকদের মতে, ২৬.৬৯ বিলিয়ন নন-ইউনিক দর্শক বিশ্বকাপ দেখেছিল টিভি পর্দায়।  এর কারণও আছে, সেবারই প্রথমবারের মতো ম্যাচগুলো এইচডিটিভিতে রেকর্ড এবং প্রচার করা হয়।

প্রতিযোগিতার দাপ্তরিক বল ছিল অ্যাডিডাসের এতরুস্কো ইউনিকো। ইতালির মোট ১২ শহরের ১২টি মাঠে অনুষ্ঠিত হয় বিশ্বকাপের ৫২টি ম্যাচ। এই বিশ্বকাপ থেকেই বিজয়ী দলকে ৩ পয়েন্ট করে দেওয়ার নিয়ম চালু করা হয়। ৬ গোল করে ইতালির সালভাটর শিলাচি সর্বোচ্চ গোলদাতার খেতাব অর্জন করেন। অসাধারণ পারফরম্যান্সে টুর্নামেন্টের সেরা খেলোয়াড়ও নির্বাচিত হন তিনি। 

তারা//

সম্পর্কিত বিষয়:

সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়