ঢাকা     শুক্রবার   ১৯ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ৬ ১৪৩১

তাসকিনের তোপে ১০৮ রান করেও জিতল ঢাকা

ক্রীড়া প্রতিবেদক || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ২২:৩২, ২৪ জানুয়ারি ২০২৩   আপডেট: ২২:৪৭, ২৪ জানুয়ারি ২০২৩
তাসকিনের তোপে ১০৮ রান করেও জিতল ঢাকা

তাসকিন আহমেদের ইনসুইং বলের কোনো উত্তর ছিল না অভিষিক্ত নাহিদ রানার। বল স্টাম্পে আঘাত করার পর জ্বলে ওঠে দুই জিং বেলস। একটা স্টাম্পের কাছেই ছিল। আরেকটি আম্পায়ারের কুড়িয়ে আনতে হয় অপরপ্রান্তের কাছ থেকে!

জয় থেকে ঢাকা ডমিনেটর্স ১ উইকেট দূরে ছিল। ঢাকার করা ১০৮ রানের লক্ষ‌্য ছুঁতে খুলনা টাইগার্সের তখন দরকার ছিল ২৫ রান। অপরপ্রান্তে কোনো বল না খেলা ওয়াহাব রিয়াজ। নাহিদ রানার উইকেট উপড়ে ফেলে ঢাকাকে ২৪ রানের অপ্রত‌্যাশিত জয়ের স্বাদ দেন তাসকিন। ডানহাতি পেসারের বোলিং ফিগার ছিল এরকম, ৩.৩-০-৯-৪।

নাহিদ রানাকে আউটের আগে প্রথম বলে সাইফ উদ্দিনকে যে শর্ট বলে আউট করেন তাতে স্রেফ মুগ্ধতা ছড়ান। বাড়তি গতির সঙ্গে শর্ট বল। সাইফ উদ্দিনের চোখ এড়িয়ে যায়। বল তার ব‌্যাটের ছোঁয়া পেয়ে যায় মিড উইকেটে। সেখানে দুর্দান্ত ক‌্যাচ নেন আমির হামজা।

৪ উইকেট নিয়ে ঢাকার দ্বিতীয় জয়ের নায়ক তাসকিন। তাইতো উদযাপনও ছিল বাধনহারা। শেষ উইকেট নিয়ে ঢাকার ডাগআউটের সামনে গিয়ে দুইহাত মেলে ডাইভ দেন। পেছনে ছিল গোটা দল। ৮ ম‌্যাচে এটি তাদের দ্বিতীয় জয়। নাসির হোসেন, তাসকিনরা প্রথম জয়ও পেয়েছিল এই খুলনাকে হারিয়েই।

স্কোরবোর্ডে ১০৮ রানের পুঁজি নিয়ে জয়ের চিন্তা করা বড্ড বাড়াবাড়ি। কিন্তু তাসকিন, আল-আমিন, নাসিররা দারুণ বোলিং করে ঢাকাকে স্বপ্নীল জয়ের স্বাদ দিয়েছেন। ইনিংসের শেষ ও শুরুটা করেছিলেন তাসকিন। প্রথম স্পেলে তুলে নেন শেই হোপের উইকেট। প্রতি আক্রমণে গিয়ে তামিম রান করলেও তাকে ৩০ রানে থামান স্পিনার নাসির। শর্ট বল পুল করে সীমানার কাছে ধরা পড়েন বাঁহাতি ওপেনার।

এরপর খুলনার ইনিংস টানেন ইয়াসির। ২১ রান আসে তার ব‌্যাট থেকে। নাসিরের বলে জীবন পাওয়ার পরও বড় কিছু করতে পারেননি খুলনার অধিনায়ক। বাকিরা ছিলেন নিষ্প্রভ। কেউ ছুঁতে পারেনি দুই অঙ্ক।  তাতেই সব ওলটপালট।

এর আগে টস হেরে ব‌্যাটিং করতে নেমে নাহিদুলের স্পিন বিষে নীল হয়ে যায় ঢাকা। ডানহাতি অফস্পিনার টানা ৪ ওভারে স্রেফ এলোমেলো করে দেন ঢাকার ব‌্যাটিং। দ্বিতীয় ওভারে মিজানুর (১) ও উসমান ঘানিকে (০) আউট করেন। পরের ওভারে তার শিকার মোহাম্মদ মিথুন (০)। নিজের চতুর্থ ও শেষ ওভারে নাহিদুল আউট করেন প্রথমবার বিপিএল খেলতে আসা অ‌্যালেক্স ব্লেককে (৩)। ৪ ওভারে ২ মেডেনে ৬ রানে ৪ উইকেট নেন অফস্পিনার। যা এই বিপিএলে এখন পর্যন্ত সেরা বোলিং।

ঢাকা শিবিরে তার ধাক্কা সামলে নিয়ে লড়াই করেন চরম অফফর্মে থাকা সৌম‌্য সরকার। থিতু হতে সময় নেওয়ার পর তাকে পেছনে ফিরে তাকাতে হয়নি। লেগ সাইডে চিরাচরিত শটে ছক্কা উড়িয়েছেন। অনড্রাইভে বল কভার দিয়ে পাঠিয়েছেন বাউন্ডারিতে। শেষ ৭ ইনিংসে মাত্র ৪৫ রান করা সৌম‌্যর ব‌্যাট থেকে আজ আসে ৫৭ রান। ৪৫ বলে ৬ চার ও ২ ছক্কায় সাজানো ইনিংসটি থামে নাসুমের ইয়র্কারে।

বাঁহাতি স্পিনারের বলে বোল্ড হন সৌম‌্য। নিয়মিত রান করা নাসিরের ব‌্যাট আজ হাসেনি। ৫ বলে ৩ রানে থেমে যান। শেষ দিকে তাসকিনের ১২ ও আল-আমিনের ১০ রানে ঢাকার রান ১০৮।

এই রানটাও যথেষ্ট হয়ে গেল জয়ের জন‌্য। ২৪ রানের জয় তো বলেই দিচ্ছে লড়াই করলে যে কোনো রানই বড় কিছু।

ইয়াসিন/আমিনুল

সম্পর্কিত বিষয়:

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়