ঢাকা     বুধবার   ২৪ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ১১ ১৪৩১

বিশ্বচ‌্যাম্পিয়নদের হারানো সহজ নয়, তবুও আশা ছাড়ছেন না তাসকিন

ক্রীড়া প্রতিবেদক || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ২১:১৮, ৮ ফেব্রুয়ারি ২০২৩  
বিশ্বচ‌্যাম্পিয়নদের হারানো সহজ নয়, তবুও আশা ছাড়ছেন না তাসকিন

ঢাকা ডমিনেটর্সের বিপিএল মঙ্গলবার শেষ হলেও তাসকিন আহমেদের শেষ হয়ে গিয়েছিল সেই সিলেটেই। হ‌্যামস্ট্রিং চোট তাকে মাঠ থেকে দূরে ঠেলে দেয়। সামনের ইংল‌্যান্ড সিরিজের সতর্কতার জন‌্যই তাকে বিশ্রামে পাঠিয়েছে বিসিবির মেডিকেল বিভাগ।

পুনর্বাসনের সঙ্গে নিজের অবসর সময়টা নিজের দূতিয়ালি কার্যক্রমে ব‌্যস্ত এ পেসার। বুধবার একটি প্রসাধনী পণ‌্যের দূত হিসেবে যুক্ত হয়েছেন তাসকিন। পণ‌্যের প্রচারের সঙ্গে ডানহাতি পেসার আসন্ন ইংল‌্যান্ড সিরিজ নিয়েও কথা বললেন। জানালেন, জস বাটলার, মঈন আলীদের বিপক্ষে কঠিন পরীক্ষা দিতে হবে বাংলাদেশকে।

আইসিসি ওয়ানডে সুপার লিগের তিন ওয়ানডের সঙ্গে তিন টি-টোয়েন্টি খেলতে ২৪ ফেব্রুয়ারি ইংল‌্যান্ড জাতীয় দল বাংলাদেশে আসছে। পহেলা মার্চ ওয়ানডে দিয়ে শুরু হবে দুই দলের মহারণ। ২০১৬ সালে দুই দল শেষ দ্বিপক্ষীয় সিরিজ খেলেছিল। ২-১ ব‌্যবধানে সিরিজ ইংল‌্যান্ড জিতে নিলেও বাংলাদেশ কঠিন প্রতিদ্বন্দ্বীতা করেছিল।

এবারও কাজটা সহজ হবে না তা জানিয়ে রাখলেন তাসকিন, ‘নিশ্চিতভাবেই সহজ হবে না। সব সংস্করণেই ওরা বড় দল, শক্তিশালী দল। এটাও বিশ্বাস আছে ঘরের মাটিতে আমরাও অন্যতম শক্তিশালী দল। লড়াই হবে ইনশাআল্লাহ এবং আমরা সেরাটাই দেবো।’

ইংল্যান্ড দুই ফরম‌্যাটেই এখন বিশ্ব চ‌্যাম্পিয়ন। ২০১৯ সালে ঘরের মাঠে জিতেছিল ওয়ানডে বিশ্বকাপ। গত বছর অস্ট্রেলিয়ায় জেতে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ। বাটলার, মঈন আলী, আর্চারদের নিয়ে এবারও আসছে ইংলিশ লায়ন্সরা। তাদের হারাতে নিজেদের দিনে সেরা ক্রিকেটটা খেলতে হবে। বাংলাদেশকে আত্মবিশ্বাসী করছে গত আট বছরে দেশের মাটিতে দ্বিপক্ষীয় সিরিজের পারফরম‌্যান্স।

২০১৫ সাল থেকে ঘরের মাঠে ১৩ দ্বিপক্ষীয় সিরিজ খেলেছে বাংলাদেশ। জিতেছে ১২টি। যে সিরিজটি হেরেছে সেটা ইংল‌্যান্ডের বিপক্ষেই। পুরোনো পরিসংখ‌্যান আত্মবিশ্বাস বাড়ালেও মাঠে সবকিছু নতুন করে শুরু করতে হয় বলে পেছনের সাফল‌্য নিয়ে অতটা ভাবছেন না তাসকিন।

‘আসলে লজিক দিয়ে সব হয় না। আমি মনে করি নির্দিষ্ট দিনে যে ভালো ক্রিকেট খেলবে ওই জিতবে। সব মিলিয়ে চিন্তা করলে ওরা আমাদের থেকে এগিয়ে এতে কোনো সন্দেহ নেই। কিন্তু ঘরের মাটিতে যেহেতু খেলা আশা তো করতেই পারি সিরিজ জয়ের।

‘আসলে নতুন ম্যাচ নতুনভাবে শুরু হবে। অবশ্যই চাইবো যে ওদের সব সেরা ব্যাটারদের উইকেট পেতে। কিন্তু দিনশেষে আবার প্রক্রিয়াতেই যেতে হবে। আসল জিনিসটা হলো যদি জিততে পারি আর জয়ের পেছনে যদি আমার অবদান থাকে এটাই সবচেয়ে বড় পাওয়া।’

‘কোনো সন্দেহ নেই যে ওরা বিশ্বমানের। আমি মনে করি আমরাও (বিশ্বমানের) । আমরা আমাদেরকে ছোট করছি না। কারণ, আমরা দেশের বাইরেও বড় বড় দলের সঙ্গে ম্যাচ জিতেছি এবং সবাই পরীক্ষিত। ছোট করছি না, আমাদেরও সক্ষমতা আছে ওদের উইকেট নেয়ার।’

ইয়াসিন/আমিনুল

সম্পর্কিত বিষয়:

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়