নাঈমের সেঞ্চুরিতে মোহামেডানকে হেসেখেলে হারালো আবাহনী

কামরুল ইসলাম রাব্বীকে টানা দুই চারের পর ওয়াইড লং অনে দারুণ ছয়। প্রতিদ্বন্দ্বী মোহামেডান স্পোর্টিং ক্লাবের বিপক্ষে নাঈম শেখ মাত্র ৮০ বলে দেখা পেয়ে যান তিন অঙ্কের ম্যাজিক ফিগারের দেখা। আর তাতে ঐতিহ্যবাহী আবাহনী লিমিটেড জয় তুলে নেয় হেসেখেলে। 

মিরপুর শের-ই-বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে মঙ্গলবার মুখোমুখি হয় আবাহনী-মোহামেডান। টস জিতে ব্যাটিং করতে নেমে ৮ উইকেট ২৩৫ রান করে মোহামেডান, রান তাড়া করতে নেমে মাত্র ৩৪.৩ ওভারে ৪ উইকেট হারিয়ে লক্ষ্যে পৌঁছে যায়।

ওপেনিংয়ে নেমে অপরাজিত সেঞ্চুরিতে নাঈম দলকে জিতিয়ে মাঠ ছাড়েন। তার ব্যাট থেকে আসে ৮৬ বলে ১১০ রান। ইনিংসটি সাজানো ছিল ১১টি চার ও ৩টি ছয়ে। ৫৩ বলে পেয়েছিলেন ফিফটির দেখা। পরের পঞ্চাশ করতে লাগে মাত্র ২৭ বল। ঝড়ো সেঞ্চুরির পুরস্কার হিসেবে ম্যাচসেরা হন নাঈম। তার সঙ্গে ১৮ বলে ২৫ রান নিয়ে অপরাজিত থাকেন মোসাদ্দেক হোসেন।

আফিফ হোসেন মাত্র ১ রানের জন্য হাফ সেঞ্চুরি মিস করেন। ৪টি চার ও ৩টি ছয়ে ৪১ বলে এই রান করেন আফিফ। এ ছাড়া মাহমুদুল হাসান জয় ২৪ ও বাবা ইন্দ্রজীত ৯ রান করেন।

মোহামেডানের হয়ে একটি করে উইকেট নেন রুয়েল মিয়া, মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ, এনামুল হক জুনিয়র ও সৌম্য সরকার।

এর আগে ইমরুল কায়েস-মাহিদুল ইসলাম অঙ্কনের ব্যাটে মোহামেডানের শুরুটা হয় দুর্দান্ত। ম্যাচের অর্ধেক ওভার শেষ হয়ে গেলেও আবাহানী পাচ্ছিল না উইকেটের দেখা। ইমরুল-অঙ্কন স্বাচ্ছন্দ্যে খেলছিলেন সাবলীল খেলা। কিন্তু সাইফউদ্দিনের তোপে মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ-সৌম্য সরকারদের ব্যর্থতায় মোহামেডান খেই হারিয়ে ফেলে।

ইমরুল-অঙ্কন জুটি থেকে আসে ১৩৭ রান। অর্থাৎ এ দুজন মিলে স্কোরবোর্ডে যা রান যোগ করেন দলের বাকিরা তার চেয়ে দুই কম যোগ করে। ২৮.৩ ওভারে ইমরুল-অঙ্কন জুটি ভাঙার পর মোহামেডান বাকি ২১.৩ ওভারে যোগ করে ৯৮ রান। উইকেট হারায় ৭টি!

৮৫ বলে সর্বোচ্চ ৭০ রান আসে অঙ্কনের ব্যাট থেকে। ৬৬ বলে পান ফিফটির দেখা। আর ৮৩ বলে ফিফটি করা ইমরুল থামেন ৬৮ রানে। ফিফটির পর মোহামেডান অধিনায়ক হাত খুলে খেলার আভাস দিয়েছিলেন। তানভীর ইসলামের ঘূর্ণিতে পরাস্ত হয়ে ক্যাচ দেন পয়েন্টে।

মোহামেডানের ছন্দপতন ঘটে এই জুটি ভাঙায়। ১৩ রানের ব্যবধানে দলটি হারিয়ে ফেলে ৪ উইকেট। মাঠে এসেই ফেরেন সৌম্য সরকার (১) ও মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ (৩)। দুজনে খেলেন ৬ বল করে। খেলার হাল ধরেন ভারতীয় অনুষ্টুপ মজুমদার-আরিফুল হক।

অনুষ্টুপ ৩৩ বলে ৩০ রানে তানজীম হাসান সাকিবের শিকার সাজঘরে ফিরলে আবার ধাক্কা খায় মোহামেডান। শুভাগত হোম ক্রিজে এসেই ফেরেন রানের খাতা খোলার আগে। শেষ পর্যন্ত আরিফুল অপরাজিত থাকেন শেষ পর্যন্ত। তার ব্যাট থেকে আসে ৪৮ বলে ৩৭ রান।

আবাহনীর হয়ে সাইফউদ্দিন ১০ ওভারে ৪৫ রান দিয়ে নেন ৪ উইকেট। ২ উইকেট করে নেন সাকিব-তানভীর।