ঢাকা     মঙ্গলবার   ২৩ ডিসেম্বর ২০২৫ ||  পৌষ ৮ ১৪৩২

Risingbd Online Bangla News Portal

ছয় বছর নিষিদ্ধ ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিশ্বকাপজয়ী ক্রিকেটার

ক্রীড়া ডেস্ক || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ১৪:০৯, ২৩ নভেম্বর ২০২৩   আপডেট: ১৪:১৫, ২৩ নভেম্বর ২০২৩
ছয় বছর নিষিদ্ধ ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিশ্বকাপজয়ী ক্রিকেটার

ওয়েস্ট ইন্ডিজের হয়ে দুটি বিশ্বকাপ জেতা খেলোয়াড়ের তকমা লেপ্টে আছে তার সঙ্গে। সেই তকমায় এবার কলঙ্কের দাগ লাগালেন মারলন স্যামুয়েলস। দুর্নীতিবিরোধী কর্মকাণ্ডে জড়িয়ে সব ধরনের ক্রিকেট থেকে ছয় বছরের জন্য নিষিদ্ধ হয়েছেন। আজ বুধবার (২৩ নভেম্বর) নিজেদের ওয়েবসাইটে বিষয়টি নিশ্চিত করেছে বিশ্ব ক্রিকেটের নিয়ন্ত্রক সংস্থা আইসিসি।

স্যামুয়েলসের বিরুদ্ধে দুর্নীতির চারটি ধারা ভঙ্গের অভিযোগ এনেছে আইসিসি। বিশ্বকাপ জয়ী এই ক্রিকেটারের নিষেধাজ্ঞা চলতি বছরের ১১ নভেম্বর থেকে শুরু হয়েছে। শেষ হবে ২০২৯ সালের নভেম্বরে। এই সময়ে কোনো ধরনের ম্যাচেই ব্যাট-বল হাতে নিতে পারবেন না তিনি।

আরো পড়ুন:

আইসিসির দুর্নীতিবিরোধী নীতির ২.৪.২, ২.৪.৩, ২.৪.৬ ও ২.৪.৭ নম্বর ধারা ভেঙেছেন স্যামুয়েলস। তবে ট্রাইব্যুনালের অধিকাংশ সদস্যদের সিদ্ধান্তে ২.৪.২ ধারা ভঙ্গের জন্য তাকে দোষী সাব্যস্ত করা হয়।  এ ধারায় বলা আছে, কোনো রকমের উপহার, অর্থ, আতিথেয়তা বা অন্য সুবিধা নেওয়ার তথ্য দুর্নীতিবিরোধী কর্মকর্তাকে না জানানোর মাধ্যমে ক্রিকেটের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন করা।

বাকি তিনটি ধারায় অবশ্য স্যামুয়েলসকে ট্রাইব্যুনালের সব সদস্যই দোষী মনে করেছেন। এর মধ্যে আছে ৭৫০ বা এর বেশি মার্কিন ডলার পাওয়ার তথ্য গোপন করা, তদন্তে স্বীকৃত কর্মকর্তাকে সহযোগিতায় ব্যর্থতা ও তথ্য গোপন করে স্বীকৃত কর্মকর্তার তদন্ত কার্যক্রম বিলম্বিত করা।

এ ব্যাপারে আইসিসির মানবসম্পদ ও নৈতিকতা বিভাগের প্রধান অ্যালেক্স মার্শাল বলেছেন, ‘স্যামুয়লস প্রায় দুই দশক আন্তর্জাতিক ক্রিকেট খেলেছে। এ সময়ে সে দুর্নীতিবিরোধী অনেক কর্মশালায় অংশ নিয়েছে এবং ভালো করেই জানতো, এই নীতিগুলো কী কী। যখন অপরাধ সংঘটিত হয়েছিল, সে সেটার অংশ ছিল।’

দুর্নীতির দায়ে এর আগেও একবার শাস্তি পেয়েছিলেন স্যামুয়েলস। ২০০৭ সালে ওয়েস্ট ইন্ডিজ-ভারতের ওয়ানডে ম্যাচের তথ্য পাচার করতে গিয়ে ভারতীয় পুলিশের ফাঁদে ধরা পড়ে ২০০৮ সালে দুই বছরের জন্য নিষিদ্ধ হয়েছিলেন তিনি। ফিরে এসে ওয়েস্ট ইন্ডিজকে দুটি বিশ্বকাপ জেতাতে বড় ভূমিকা রাখেন।

২০১২ ও ২০১৬ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ জেতাতে বড় ভূমিকা ছিল তার। দুই ফাইনালে উপহার দিয়েছিলেন ৭৮ ও অপরাজিত ৮৫ রানের ইনিংস। একমাত্র ক্রিকেটার হিসেবে সব সংস্করণ মিলিয়ে বিশ্বকাপ ফাইনালে দুবার ম্যাচসেরার স্বীকৃতি পাওয়া ক্রিকেটারও তিনি।

ঢাকা/বিজয়

সম্পর্কিত বিষয়:

সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়