‘অফিসে’ বসেই তামিম বললেন, এটা এখনো শেষ হয়নি

লিফট থেকে নেমেই ভূল পথে পা বাড়িয়ে তামিম ইকবাল জিজ্ঞেস করলেন, ‘আমার অফিস কই?’ ওইদিকে বলতেই স্মিত হাসিতে দেশ সেরা এই ওপেনার এগোতে থাকলেন মিরপুর শের-ই-বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামের ধারাভাষ্য কক্ষের দিকে। 

প্রায় দেড়যুগের ক্যারিয়ারে হোম অব ক্রিকেটের আনাচ-কানাচ চেনা হলেও এই অঙ্গন যেন বড্ড অচেনা। যদিও এর আগে তামিম ধারাভাষ্য দিয়েছিলেন একবার, কিন্তু যে জায়গা তার নয় সেটা অচেনাই হওয়ার কথা। 

ধারাভাষ্য দেবেন, সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে এমন ঘোষণা ঢাকা টেস্ট শুরুর আগের দিন (মঙ্গলবার) দিয়ে রেখেছিলেন তামিম। কিন্ত তাতেও যেন হয়নি। একাডেমি মাঠে অনুশীলন করতে থাকা মাহমুদউল্লাহ রিয়াদকে উপর থেকে হাঁক দিয়ে ডেকে ডেকে বলছিলেন, ‘রিয়াদ ভাই, কমেন্ট্রি দিতে আসছি।’

কমেন্ট্রি বক্সে তামিমকে পেয়ে যেন খুশিতে গদগদ আতহার আলী খান। তাকে পরিচয় করিয়ে দিতে বিশেষণের উপর বিশেষণ দিয়ে গেছেন। ১৫ হাজার রান, ২৫টি সেঞ্চুরির কথা বলে তামিমকে স্বাগত জানান আতহার।  তার ভাষায়, ধারাভাষ্য কক্ষে তামিমকে পাওয়া ‘অনার, প্লেজার।’

আন্তর্জাতিক ক্যারিয়ার টেনে এভাবে পরিচয় করিয়ে দেওয়ার জন্য আতহারকে ধন্যবাদ জানিয়ে তামিম বলেন, এমন সুন্দর পরিচয়ের জন্য ধন্যবাদ আতহার ভাই। আন্তর্জাতিক ক্রিকেট এখনো শেষ হয়েছে কি না জানা নেই।’এরপর বলেন এর আগে বিপিএলে ধারাভাষ্য দেওয়ার কথা।  

তামিম কমেন্ট্রিতে বসতেই দারুণ সুইপে চার হাঁকান বন্ধু মুশফিকুর রহিম। এমন বাউন্ডারি দেখে তামিম জানান, এটা মুশফিকের খুব পছন্দের শট। এরপর উইকেট-কন্ডিশন নিয়ে নানা কথা বলতে থাকেন। 

শুরুতে দারুণ চারের মার দেখলেও মুশফিকের মাধ্যমেই এক বিরল আউটের সাক্ষী হয়ে গেলেন তামিম। থিতু হয়ে সাবলীল খেলার ইঙ্গিত দেওয়া মুশফিক করলেন বড় বোকামি। কাইল জেমিসনের বল ডিফেন্স করেন ঠিকঠাক, এরপর বল যখন বাইরের দিকে চলে যাচ্ছিল তখন মুশফিক হাত দিয়ে ঠেকান। 

কিউইরা আম্পায়ারের কাছে আবেদন করলে সাড়া দেন। এমন আউটে যেন হতভম্ব হয়ে যান তামিম। এটা খুব হতাশজনক। ১৮ বছর ধরে খেলছ। এটা সে করতে পারে না। এটা বাংলাদেশের ইতিহাসে প্রথম ঘটনা।’

‘বলটা উইকেটে যাচ্ছে না। এটা হাত দিয়ে করার কোনো প্রয়োজন ছিল না। সে দীর্ঘদিন ধরে খেলছে। তার আইন জানা উচিৎ ছিল’-আরও যোগ করেন তামিম। 

দুই ধাপে আজ ধারাভাষ্য দেবেন তামিম। মধ্যাহ্ন বিরতির পর ১২টা ৪০ থেকে শুরু করে ১টা ১০ পর্যন্ত প্রথম ধাপ শেষ হয়েছে ইতিমধ্যে। ত্রিশ মিনিট বিরতির পর দুপুর ১টা ৪০ থেকে চা-বিরতির আগ পর্যন্ত ধারাভাষ্যে তাকে পাওয়া যাবে।