দিন শেষে উইন্ডিজের মুখে হাসি
ক্রীড়া প্রতিবেদক || রাইজিংবিডি.কম
:: সংক্ষিপ্ত স্কোর ::
বাংলাদেশ: ১৬৪/৯ (৭১.৫ ওভার)
উইন্ডিজ: ৭০/১ (২৭ ওভার)
দিনের শেষ সেশনে মাত্র ১ উইকেট হারিয়েছে উইন্ডিজ। ব্র্যাথওয়েট-কার্টে প্রতিরোধ গড়ে দিন শেষ করে আসেন। ব্র্যাথওয়েট ৩৩ ও কার্টে ১৯ রানে অপরাজিত আছেন। দুজনের জুটি থেকে আসে ৪৫ রান। বাংলাদেশের হয়ে ১টি উইকেট নিয়েছেন নাহিদ রানা। বাকি দুই সেশনে পড়েছে ৮টি উইকেট।
রানার গতিতে পরাস্ত লুইস
ইনিংসের নবম ওভারে রানার হাতে বল তুলে দেন মিরাজ। এরপর একের পর এক গতিময় বল করে যাচ্ছিলেন তিনি। কখনো ১৫০ কিলোমিটার, কখনো ১৪৫ কিলোমিটারের বেশি। কিন্তু উইকেটের দেখা পাচ্ছিলেন না। অবশেষে তা মিলেছে নিজের তৃতীয় ওভারে। অফে করা বলটি ছুড়েছিলেন ১৪৭.১ কিলোমিটার। ড্রাইভ করতে গিয়ে ধরা পড়েন লুইস। খোঁচা লেগে বল যায় উইকেটের পেছনে। ১২ রান করেন তিনি। দলীয় ২৫ রানে উইন্ডিজ প্রথম উইকেট হারায়। ক্রিজে ব্র্যাথওয়েটের সঙ্গী কার্টে।
উইন্ডিজের সতর্ক শুরু
দুই ওপেনার ব্র্যাথওয়েট-লুইস খুব সতর্কতার সঙ্গে ব্যাট করছেন। কোনো ঝুঁকি নিচ্ছেন দুজনের কেউই। ব্র্যাথওয়েট ১০ ও লুইস ৫ রানে অপরাজিত আছেন। ওভার প্রতি রান আসছে ১.৬০ করে। ৮ ওভার পর্যন্ত টানা বোলিং করেছেন হাসান-তাসকিন। নবম ওভারে বোলিংয়ে আসেন নাহিদ রানা। চা বিরতির আগ পর্যন্ত বাংলাদেশ কোনো উইকেটই নিতে পারেনি। অথচ একই সেশনে চার উইকেট নিয়েছিল উইন্ডিজ।
১৬৪ রানে অলআউট বাংলাদেশ
প্রথম ইনিংসে বাংলাদেশ থামলো ১৬৪ রানে। সর্বোচ্চ ৬৪ রান করেন সাদমান। দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ৩৬ রান আসে মিরাজের ব্যাট থেকে। ৯৫ রানে ৫ উইকেট পড়ে যাওয়ার পর মিরাজ ক্রিজে আসেন। এরপর সাদমানও ফিরলে টেলএন্ডারদের নিয়ে লড়াই করতে থাকেন বাংলাদেশ অধিনায়ক। তার আউটের পর বাংলাদেশ মাত্র ৪ রান করতে পারে। এ ছাড়া শাহাদাত ২২, তাইজুল ১৬ ও তাসকিন ৮ রান করেন। মাঝে লিটন-জাকের ১ রান করে ফেরেন। আগের দিন জয়-মুমিনুল ফেরেন শুরুতে। জয়ের ব্যাট থেকে ৩ রান আসলেও মুমিনুল খাতা খুলতে পারেননি। উইন্ডিজের হয়ে সর্বোচ্চ ৪ উইকেট নেন সিলস, ৩ উইকেট নেন সামার জোসেফ।
লড়ে ফিরলেন মিরাজ
মিরাজ যখন ব্যাটিংয়ে আসেন তখন চলছিল ব্যাটিং ধস। ফিরে যান থিতু হওয়া ব্যাটার সাদমানও। চাপ বাড়ে তার উপর। সেই চাপ সামলে এক প্রান্ত আগলে রেখে এগোতে থাকেন। অপর প্রান্তে পড়ছিল নিয়মিত বিরতিতে উইকেট। মিরাজও পারলেন না। ৩৬ রানে তাকে থামতে হলো। সিলসের শিকার হয়ে ফেরেন সাজঘরে। ক্রিজে হাসানের সঙ্গী নাহিদ রানা।
থামলেন তাসকিন
আথানাজেকে পুল করতে গিয়ে বিপাকে পড়েন তাসকিন। বল ব্যাটে লেগে যায় উইকেটের পেছনে। উইকেটরক্ষক জশুয়া লাফিয়ে উঠে বল ধরতে যান, তালুবন্দি না হলেও বল হাতে লেগে যায় স্লিপের দিকে। দারুণ ক্যাচ নেন সিলস। ১৬ বলে ৮ রান করেন তাসকিন। তার আউটে ভাঙে ২০ রানের জুটি। ক্রিজে মিরাজের সঙ্গী হাসান।
তাইজুলের লড়াকু ইনিংস
মধ্যাহ্ন বিরতির পর এসে বেশিক্ষণ লড়তে পারেননি তাইজুল। আলঝারি জোসেফের পেসে পরাস্ত হন তিনি। ৬৬ বলে ১টি চারের মারে ১৬ রান করেছেন এই বাঁহাতি। তার আউটে ভাঙে মিরাজের সঙ্গে গড়া ৪১ রানের জুটি। তাইজুল আউট হলেও এক প্রান্তে লড়ছেন মিরাজ। তার ব্যাটে ভর করে বাংলাদেশ ১৫০ রান পার করে। নতুন সঙ্গী তাসকিন।
প্রথম সেশনে বাংলাদেশের উইকেটের মিছিল
প্রথম সেশনে উইকেটের মিছিলে শেষ করেছে বাংলাদেশ। মিরাজ-তাইজুল কোনোমতে ধস ঠেকিয়েছেন। মিরাজ ১৪ ও তাইজুল ৫ রানে অপরাজিত আছেন। এর আগে দিন শুরু করেন সাদমান-শাহাদাত। শাহাদাতের পতনের উইকেটের মিছিলের শুরু, একে একে সাজঘরে ফেরেন লিটন, জাকের ও সাদমান। এরপরেই প্রতিরোধ গড়েন মিরাজ-তাইজুল। দুজনের জুটি থেকে এখন পর্যন্ত আসে ২৪ রান। উইন্ডিজের হয়ে সামার জোসেফ একাই নেন ৩ উইকেট।
মিরাজ-তাইজুলের ব্যাটে লড়ছে বাংলাদেশ
একশর আগেই পড়ে যায় ৬ উইকেট। সেখান থেকে প্রতিরোধ গড়েছেন মিরাজ-তাইজুল। দুজনে এগোচ্ছেন ধীরে ধীরে। তাদের ব্যাটে বাংলাদেশ দলীয় একশ পার হয়। এখন পর্যন্ত জুটি থেকে আসে ৪৭ বলে ১১ রান।
একশর আগেই ৬ উইকেট হারিয়ে ধুঁকছে বাংলাদেশ
ক্রিজে সেট ব্যাটার সাদমানও পারলেন না টিকে থাকতে। এক প্রান্তে যখন উইকেটের মিছিল তখন অন্য প্রান্তে আগলে রেখেছিলেন সাদমান। কিন্তু ব্যাটিং ধসের মুহুর্তে সাজঘরে ফিরে বিপদ বাড়ালেন আরও। একশর আগেই বাংলাদেশ হারিয়ে ফেলে ৬ উইকেট। সামার জোসেফকে খোঁচা দিয়ে ফেরেন সাজঘরে। ১৩৭ বলে ৬৪ রান করেন তিনি। ক্রিজে মিরাজের সঙ্গী তাইজুল।
উইকেটের মিছিলে এবার জাকের
সামার জোসেফকে পুল করতে চেয়ছিলেন, কিন্তু ততক্ষণে দেরি করে ফেলেন জাকের। বল ব্যাটের কানায় লেগে যায় উইকেটের পেছনে। ১০ বলে ১ রান করেন তিনি। দ্বিতীয় দিন বাংলাদেশ ১২ রানে হারালো ৩ উইকেট। সবমিলিয়ে একশর আগেই ৫ উইকেট হারিয়ে ধুঁকছে সফরকারীরা। ক্রিজে সাদমানের সঙ্গী মেহেদী হাসান মিরাজ।
১ রানে আউট লিটন
যেন আসলেন আর গেলেন লিটন। ৬ বলে ১ রান করে ফিরলেন সাজঘরে। সিলসের আউট সাইড অফের বলে ব্যাট চালিয়ে দিয়ে পড়েন বিপাকে। খোচালেগে বল চলে যায় প্রথম স্লিপে, সহজ ক্যাচ ধরতে ভুল করেননি হজ। ৫ রানের ব্যবধানে ২ উইকেট হারালো বাংলাদেশ। ক্রিজে সাদমানের সঙ্গী জাকের আলী অনিক।
আধঘণ্টা না পেরোতেই সাজঘরে শাহাদাত
সামার জোসেফের বলের লাইন বুঝতে পারেননি শাহাদাত। অফের বলে ডিফেন্স করতে চেয়েছিলেন, কিন্তু বলের লাইনের বাইরে। ব্যাট ফাঁকি দিয়ে বল আঘাত করে উইকেটে। ৮৯ বলে ২২ রানে ফেরেন এই ব্যাটার। তার আউটে ভাঙে ৭৩ রানের জুটি। প্রথম সেশনে দ্রুত ২ উইকেট হারানোর পর সাদমান-শাহাদাতের জুটি শুরু হয় গতকাল। শাহাদাতের পর ক্রিজে সাদমানের সঙ্গী লিটন।
বড় জুটির আভাস
ধাক্কা সামলে প্রথম দিন প্রথম সেশন কাটিয়েছিলেন সাদমান-শাহাদাত। দুজনে দ্বিতীয় দিন শুরু করেন সাবলীল ভাবে। প্রথম থেকে খেলছেন দেখেশুনে। আভাস দিচ্ছেন বড় জুটির। এখন পর্যন্ত দুজনের জুটির রান ৭০।
১৫ মিনিট আগে শুরু দ্বিতীয় দিনের খেলা
জ্যামাইকায় দ্বিতীয় টেস্টে প্রথম দিনে মাত্র এক সেশন খেলতে পেরেছে বাংলাদেশ-ওয়েস্ট ইন্ডিজ। দ্বিতীয় দিন রোববার (১ ডিসেম্বর) খেলা শুরু হচ্ছে ১৫ মিনিট আগে। সাদমান ৫০ ও শাহাদাত ১২ রানে দিন শুরু করেছেন।
প্রথম দিনে এক সেশন
জ্যামাইকা টেস্টের প্রথম দিন শেষ হয়েছে মাত্র ৩০ ওভারে। বাংলাদেশ শেষ সেশনে ২ উইকেটে ৬৯ রান করে দিন শেষ করে। প্রথম দুই সেশন ভেজা আউটফিল্ডের কারণে মাঠে গড়ায়নি। সাদমান ৫০ ও শাহাদাত ১২ রানে অপরাজিত আছেন। তবে উইন্ডিজ ফিল্ডারদের ক্যাচ মিসের মহড়ায় সাদমান তিনবার ও শাহাদাত একবার জীবন পেয়েছেন। এর আগে ১০ রানে বাংলাদেশ জয়-মুমিনুলকে হারায়। উইন্ডিজের হয়ে একাই দুই উইকেট নেন রোচ।
বাংলাদেশ একাদশ
মাহমুদুল হাসান জয়, সাদমান ইসলাম, শাহাদাত হোসেন দিপু, মুমিনুল হক, লিটন দাস (উইকেটরক্ষক), জাকের আলী অনিক, মেহেদী হাসান মিরাজ (অধিনায়ক), তাইজুল ইসলাম, হাসান মাহমুদ, তাসকিন আহমেদ ও নাহিদ রানা।
উইন্ডিজ একাদশ
ক্রেইগ ব্র্যাথওয়েট (অধিনায়ক), মিকাইল লুইস, কেসি কার্টি, কাভেম হজ, অ্যালিক অ্যাথানাজে, জাস্টিন গ্রিভস (উইকেটরক্ষক), জোশুয়া দ্য সিলভা, আলজারি জোসেফ, কেমার রোচ, জেডেন সিলস, শামার জোসেফ।
ঢাকা/রিয়াদ