শান্তর ফিফটিতে দিনের ইতি, বাংলাদেশের লিড ১৮৭
ক্রীড়া প্রতিবেদক || রাইজিংবিডি.কম
বাংলাদেশ: ১৭৭/৩ (লিড: ১৮৭)
প্রথম ইনিংস- বাংলাদেশ: ৪৯৫/১০ শ্রীলঙ্কা: ৪৮৫/১০
চতুর্থ দিন শেষে বাংলাদেশের সংগ্রহ ১ উইকেটে ১৭৭। লিড ১৮৭।
তখন মাত্র ১ ওভার বাকি। তারিন্দুকে চার মেরে ১০৬ বলে ফিফটির দেখা পান শান্ত। এক বল ডট দিয়ে আবারও চার মারেন। পরের ওভারে মাত্র ২ রান আসে। এরপরই চতুর্থ দিনের খেলার ইতি। শান্ত ৫৬ ও মুশফিক ২২ রানে অপরাজিত আছেন। দুজনের জুটি থেকে আসে ৪৯ রান। ৭৬ রান করেন সাদমান। এর আগে বাংলাদেশের ৪৯৫ রানের জবাবে খেলতে নেমে শ্রীলঙ্কা দ্বিতীয় সেশনের শুরুতে অলআউট হয় ৪৮৫ রানে। নাঈম একাই নেন ৫ উইকেট।
৭৬ রানে আউট সাদমান
সেঞ্চুরি থেকে মাত্র ২৪ রান দূরে থেকে সাজঘরে ফিরলেন সাদমান। মিলানের ঘূর্নি বুঝতে পারেননি, ব্যাট চালাতে কিছুটা দেরি করে ফেলেন। বল আঘাত করে ব্যাক প্যাডে। জোরালো আবেদনে সাড়া দেন আম্পায়ার। রিভিউ নেননি। ৭টি চারের মারে ১২৬ বলে ৭৬ রান করেন সাদমান। তার আউটে ভাঙে শান্তর সঙ্গে গড়া ৬৮ রানের জুটি। ক্রিজে শান্তর সঙ্গী মুশফিক।
সাদমানের ফিফটি, ১০০ পেরোলো বাংলাদেশের লিড
শুরুতে কিছুটা নড়বড়ে ছিলেন সাদমান। সময় বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে খাপ খাইয়ে নেন নিজেকে। চা বিরতির পর ফিরে এসে ফিফটি তুলে নেন ৭০ বলে। এটি তার ক্যারিয়ারের ষষ্ঠ ফিফটি। এর পরেই শান্তর সগে গড়া জুটিতে বাংলাদেশের লিড ১০০ পেরোয়। দুজনের জুটির ফিফটি হয় ৯৫ বলে।
চা বিরতিতে যাওয়ার আগে বাংলাদেশের লিড ৭৫
মুমিনুলের আউটের কিছুক্ষণের মধ্যেই চা বিরতিতে যায় দুই দল। বিরতিতে যাওয়ার আগে বাংলাদেশের লিড দাঁড়ায় ৭৫। সাদমান ৪৪ ও শান্ত ২ রানে অপরাজিত আছেন।
সুইপ করতে গিয়ে বিপাকে মুমিনুল
ক্রিজে এসে সাবলীলভাবেই খেলছিলেন মুমিনুল হক। হঠাৎ ছন্দপতন ঘটে। তারিন্দুকে সুইপ করতে গিয়ে টাইমিংয়ে গড়বড়। বল উঠে যায় উপরে। ৪০ বলে ১৪ রান করে ফেরেন তিনি। ক্রিজে সাদমানের সঙ্গী শান্ত।
শূন্যর পর এবার চার রানে আউট বিজয়
এনামুল হক বিজয় দ্বিতীয় ইনিংসেও পারলেন না। শুরু থেকে সংগ্রাম করছিলেন উইকেটে। প্রথম ইনিংসে যেখানে দুই দেশের তিনটি সেঞ্চুরি হয়েছে সেখানে বিজয় করেছেন মাত্র ৪ রান! প্রথম ইনিংসে শুন্যের পর দ্বিতীয় ইনিংসে ৪। প্রভাতকে কাট করতে গিয়ে ধরা পড়েন উইকেটের পেছনে। বাংলাদেশ ২৪ রানে প্রথম উইকেট হারায়। ক্রিজে সাদমানের সঙ্গী মুমিনুল।
নাঈমের ফাইফারে বাংলাদেশ পেলো ১০ রানের লিড
নাঈম হাসানের ফাইফার, বাংলাদেশ পেলো ১০ রানের লিড। দিনের শুরুটা ভালো হয়েছিল। কিন্তু কামিন্দু-মিলান ৮৪ রানের জুটি গড়ে পালটা আক্রমণে লিডের ব্যবধান কমাতে থাকেন। দুজনে প্রথম সেশন কাটিয়ে দেন। বিরতির পর ফিরে এসেই ধাক্কা খায় শ্রীলঙ্কা। নাঈমের ঘূর্ণিতে ২০ রান না হতেই অলআউট হয় স্বাগতিক শিবির। নাঈম ৫ উইকেটের দেখা পান। লঙ্কানদের হয়ে সর্বোচ্চ ১৮৭ রান করেন নিসাঙ্কা। এ ছাড়া কামিন্দু ৮৭, উদারা ৫৪ ও মিলান ৩৯ রান করেন।
এক রানে তিন উইকেট হারিয়ে অলআউটের পথে শ্রীলঙ্কা
মধ্যাহ্ন বিরতির পর কামিন্দু-মিলানের অপ্রতিরোধ্য জুটি ভেঙে স্বস্তি এনে দেন হাসান। ৩৯ রানে বোল্ড হন এই অলরাউন্ডার। তার আউটে ভাঙে ৮৪ রানের জুটি। তার পরের ওভারেই পথের কাঁটা সরান নাঈম। ফেরান সেঞ্চুরির পথে থাকা কামিন্দুকে। ৮৭ রান করেন কামিন্দু। দিনের শুরুতে দ্রুত ২ উইকেটের পতন হলেও কামিন্দু হাল ধরেন মিলানকে সঙ্গে নিয়ে। একই ওভারের শেষ বলে নাঈমের শিকার তারিন্দু। শূন্য রানে তাকে বোল্ড করেন নাঈম। অলআউট হতে আর মাত্র ১ উইকেট বাকি। ক্রিজে প্রভাতের সঙ্গী আসিথা।
চাপে থেকে মধ্যাহ্ন বিরতিতে বাংলাদেশ
৯ রানে দুই উইকেট হারানোর ধাক্কা সামলে পালটা আক্রমণ করে যাচ্ছে শ্রীলঙ্কা। কামিন্দু-মিলানের ৭৯ রানের জুটিত সাড়ে চারশ পেরিয়ে মধ্যাহ্ন বিরতিতে গিয়েছে। বাংলাদেশের রান টপকাতে প্রয়োজন আর মাত্র ৩০ রান। কামিন্দু ৮৩ ও মিলান ৩৮ রানে অপরাজিত আছেন। উইকেটের খোঁজে মরিয়া বাংলাদেশ। আজ ১টি করে উইকেট নিয়েছেন হাসান-নাঈম।
চারশ পেরিয়ে এগোচ্ছে শ্রীলঙ্কা
৯ রানের ব্যবধানে দুই উইকেট হারিয়ে দিনের শুরু করেছিল শ্রীলঙ্কা। মিলানকে সঙ্গে নিয়ে এবার থিতু হওয়া ব্যাটার কামিন্দু পালটা আক্রমণের চেষ্টা করেন। তাতে ১০৬.৪ ওভারে চারশ রান স্পর্শ করে দ্বীপরাষ্ট্রটি। কামিন্দু ফিফটি তোলেন ৮৬ বলে। বাংলাদেশের লিড টপকানো থেকে মাত্র ৮০ রান দূরে তারা। এদিকে বাংলাদেশের প্রয়োজন মাত্র ৪ উইকেট।
নাঈমের ঘূর্ণির পর হাসানের তোপ
ধনাঞ্জয়ার আউটের পর ক্রিজে আসা কুশল মেন্ডিসকে থিতু হওয়ার আগেই থামিয়ে দিলেন হাসান। লেগ সাইডের বল যে ব্যাট চালিয়ে ভুল করেন কুশল, তবে তাকে ফেরানোয় দারুণ অবদান লিটনের। বা দিকে শুধু বাঁহাত দিয়ে অসাধারণভাবে বল তালুবন্দি করেন লিটন। ৫ রানে ফেরেন কুশল। ৯ রানের মধ্যে দ্বিতীয় উইকেট হারালো শ্রীলঙ্কা। ক্রিজে কামিন্দুর সঙ্গী মিলান।
নাঈমের ঘূর্ণিতে বাংলাদেশের দারুণ সকাল
দিনের তৃতীয় ওভারে নাঈমের আঘাত। ঘূর্নি জাদুতে পরাস্ত ধনাঞ্জয়া। খোঁচা দেন উইকেটের পেছনে। ক্যাচ ধরতে ভুল করেননি লিটন দাস। ১৭ রানে দিন শুরু করেছিলেন ধনাঞ্জয়া। মাত্র ২ রান যোগ করে আউট হন তিনি। ৩৭৭ রানে পঞ্চম উইকেট হারায় শ্রীলঙ্কা। বাংলাদেশের প্রয়োজন আরও ৫ উইকেট।
লঙ্কানদের দ্রুত অলআউটের আশায় মাঠে বাংলাদেশ
গল টেস্টের চতুর্থ দিন মাঠে নেমেছে বাংলাদেশ-শ্রীলঙ্কা। বাংলাদেশের ৪৯৫ রানের জবাবে প্রথম ইনিংসে খেলতে নেমে পালটা আক্রমণ করছে স্বাগতিক শিবির। ১২৭ রানে পিছিয়ে থেকে চতুর্থ দিন শুরু করেছে দলটি। কামিন্দু ৩৭ ও ধনাঞ্জয়া ১৭ রানে দিন শুরু করেন।
তৃতীয় দিন শেষে
৪ উইকেটে ৩৬৮ রানে তৃতীয় দিন শেষ করেছে শ্রীলঙ্কা। কামিন্দু ৩৭ ও ধনাঞ্জয়া ১৭ রানে অপরাজিত আছেন। এখনো তারা পিছিয়ে আছে ১২৭ রানে। বাংলাদেশের প্রয়োজন ৬ উইকেট। নিসাঙ্কা একাই ১৮৭ রান করেন। তিনি ভিত গড়ে দেন বড় সংগ্রহের। এ ছাড়া চান্দিমাল ৫৪ ও অ্যাঞ্জেলা ম্যাথুজ ৩৯ রান করেন। বাংলাদেশের হয়ে ১টি করে উইকেট নেন হাসান তাইজুল মুমিনুল ও নাঈম। উইকেট পাননি নাহিদ রানা। এর আগে বাংলাদেশ সকালে ব্যাটিং করতে নেমে মাত্র ১১ রান যোগ করে। অলআউট হয় ৪৯৫ রানে।
ঢাকা/রিয়াদ