জয়ের কৃতিত্ব সবাইকে দিলেন লিটন, বৈচিত্র্য ফিরে পেয়ে খুশি তাসকিন
নেদারল্যান্ডসকে স্রেফ উড়িয়ে দিল বাংলাদেশ। বোলিংয়ে লক্ষ্য নাগালে রাখার পর ব্যাটিংয়ে প্রভাব বিস্তার করেই জিতেছে লিটনের দল। ৩৯ বল হাতে রেখে টি-টোয়েন্টি ম্যাচ জেতা নিশ্চিতভাবেই বিরাট কিছু। সিলেটে সেই কাজটাই অনায়েসে করেছে বাংলাদেশ।
ভাগ্য সহায়তাও করেছে। শিশিরের ভাবনায় বাংলাদেশ আগে ফিল্ডিং করতে চেয়েছিল। টস ভাগ্যে লিটন জিতে যান। ফিল্ডিংয়ের সিদ্ধান্ত নিয়ে অতিথিদের ১৩৬ রানে আটকে রাখে। ওই লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে লিটনের ফিফটির পর সাইফ ঝড়ে স্রেফ এলোমেলো হয়ে যান ডাচরা।
এ জয়ে লিটন কৃতিত্ব দিয়েছেন সবাইকে। বিশেষ করে বোলারদের আত্মবিশ্বাস ছড়ানো বোলিংয়ে দারুণ খুশি লিটন।
পুরস্কার বিতরণী মঞ্চে লিটন বলেছেন, ‘‘শিশির প্রভাব রাখতে পারে সেই ধারনা ছিল। কিন্তু আমাদের বোলাররা দারুণ বোলিং করেছে। তাসকিন, ফিজ (মোস্তাফিজ) এবং সাইফ…আসলে সবাই অসাধারণ বোলিং করেছে। রিশাদ শিশিরের কারণে গ্রিপ করতে একটু সমস্যা অনুভব করছিল। তবে সম্মিলিতভাবে সবাই দুর্দান্ত ছিল। এজন্য লক্ষ্য ১৩৬ রানে রাখতে পেরেছিলাম।’’
২৮ রানে ৪ উইকেট নিয়ে তাসকিন পেয়েছেন ম্যাচ সেরার পুরস্কার। ইনজুরি থেকে ফিরে এসে এমন দু্যতিময় বোলিং করতে পেরে খুশি তাসকিন, ‘‘সিরিজের প্রথম ম্যাচে এমন জয় পাওয়া দারুণ কিছু। ইনজুরির পর আমার মুভমেন্ট পেতে একটু সময় লাগছিল। তবে উন্নতি হচ্ছিল। আজকে ভালো হয়েছে। আমি ফিজিওর সঙ্গে প্রক্রিয়া মেনে কাজ করছি। আমি শেষ কয়েক সপ্তাহ ধরেই পরিশ্রম করছি। কঠোর পরিশ্রম কাজে আসল। উইকেট ব্যাটিংয়ের জন্য ভালো ছিল। তবে শিশিরও ছিল। আমি বেসিক ঠিক রেখেছি এবং বোলিংয়ে বৈচিত্র্য এনেছি।’’
ঢাকা/ইয়াসিন