ঢাকা     শুক্রবার   ২৬ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ১৩ ১৪৩১

প্রাক্তন বিচারপতি মানিকের বিরুদ্ধে করা মামলা খারিজ

মামুন খান || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ০৯:৫৫, ৪ ডিসেম্বর ২০১৭   আপডেট: ০৫:২২, ৩১ আগস্ট ২০২০
প্রাক্তন বিচারপতি মানিকের বিরুদ্ধে করা মামলা খারিজ

নিজস্ব প্রতিবেদক : সদ্য বিদায়ী প্রধান বিচারপতি সুরেন্দ্র কুমার (এসকে) সিনহাকে রাজাকার বলার অভিযোগে আপিল বিভাগের প্রাক্তন বিচারপতি এএইচএম শামসুদ্দিন চৌধুরী মানিকের বিরুদ্ধে দায়ের করা মানহানি মামলা খারিজ করে দিয়েছেন আদালত।

সোমবার ঢাকা মহানগর হাকিম একেএম মঈন উদ্দিন সিদ্দিকী মামলাটি খারিজের আদেশ দেন। এদিন মামলা সমন ফেরতের জন্য দিন ধার্য ছিল। তবে সমন জারি হয়ে আসেনি। আর মামলার বাদী ঢাকা মেট্টোপলিটন বার অ্যাসোসিয়শনের প্রাক্তন সভাপতি অ্যাডভোকেট এরফান উদ্দিন খানও আদালতে হাজির হননি এবং মামলার বিষয়ে তিনি কোনো পদক্ষেপ নেননি। বাদীর কোনো পদক্ষেপ না থাকায় আদালত মামলাটি খারিজ করে দেন।

গত ২৯ মার্চ ঢাকা মুখ্য মহানগর হাকিম (সিএমএম) আদালতে মামলা দায়ের করা হয়। আদালত মামলাটি আমলে নিয়ে প্রাক্তন এ বিচারপতিকে আদালতে হাজির হতে নির্দেশ দেন।

মামলায় বলা হয়, গত ১৫ মার্চ রাত ১১টায় বেসরকারি টেলিভিশন ডিবিসি নিউজে নবনিতা চৌধুরীর সঞ্চালনায় টকশো ‘রাজকাহন’ অনুষ্ঠানে প্রাক্তন বিচারপতি শামসুদ্দিন চৌধুরী মানিক আলোচনার এক পর্যায়ে বলেন, প্রধান বিচারপতি সুরেন্দ্র কুমার সিনহা ১৯৭১ সালে শান্তি কমিটির আত্মস্বীকৃত সদস্য ছিলেন। তিনি স্বাধীনতাবিরোধী এবং একজন রাজাকার। ওই টকশোতে ওই সময় সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী জেড আই খান পান্না ও বিএনপি দলীয় আইনজীবী মাসুদ আহমেদ তালুকদার উপস্থিত ছিলেন।

আসামি প্রাক্তন একজন বিচারপতি হয়ে প্রধান বিচাপতি সম্পর্কে এমন মন্তব্য দেশের সর্বোচ্চ আদালতের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ণ করেছেন বলে বাদী অভিযোগে উল্লেখ করেন।

উল্লেখ্য, এর আগে একই অভিযোগে গত ১৬ মার্চ আইনজীবী এখলাছ উদ্দিন ভূঁইয়া বক্তব্য প্রত্যাহারের জন্য লিগ্যাল নোটিশ পাঠিয়েছিলেন। গত ২৭ মার্চ আইনজীবী মুহাম্মদ মিজানুর রহমানের মাধ্যমে ওই নোটিশের জবাব দিয়ে ওই বক্তব্য প্রত্যাহারের প্রশ্নই আসে না বলে জানিয়েছেন শামসুদ্দিন চৌধুরী মানিক।

জবাবে বলা হয়, ‘ইহা সত্য যে প্রাক্তন বিচারপতি শামসুদ্দিন চৌধুরী মানিক গত ১৫ মার্চ বেসরকারি টিভি চ্যানেলের টকশো ‘রাজকাহন’ এ বাংলাদেশের প্রধান বিচারপতি সুরেন্দ্র কুমার ১৯৭১ সালে কুখ্যাত শান্তি কমিটির সদস্য ছিলেন বলে উল্লেখ করেছিলেন। ২০১৪ সালের ১০ সেপ্টেম্বর প্রাক্তন বিচারপতি মানিকসহ মোট চারজন বিচারপতির সমন্বয়ে যুদ্ধাপরাধী মুহাম্মদ কামারুজ্জামানের আপিল শুনানিকালে বিচারপতি সিনহা নিজেই প্রকাশ্য আদালতে স্বীকার করেছেন যে, ১৯৭১ সালে তিনি শান্তি কমিটির সদস্য ছিলেন। এটা প্রধান বিচারপতির নিজস্ব মতামত। ওই সময় জনাকীর্ণ আদালতে বিপুলসংখ্যক সাংবাদিক, আইনজীবী এবং বিচার প্রার্থীরা উপস্থিত ছিলেন।

তিনি একপর্যায়ে আদালতে আরো বলেছিলেন, ‘তিনি নিজেও পাকিস্তানি সেনাবাহিনীর জন্য কাজ করেছেন। ওই আত্মস্বীকৃত বক্তব্য পরের দিন ২০১৪ সালের ১১ সেপ্টেম্বর বিভিন্ন সংবাদপত্রে প্রকাশিত হয়। এ মর্মে স্বীকারোক্তির পর বাংলাদেশের কোনো আদালতে তিনি বিচারক হিসেবে থাকতে পারেন না।

 

 

 

রাইজিংবিডি/ঢাকা/৪ ডিসেম্বর ২০১৭/মামুন খান/সাইফ

রাইজিংবিডি.কম

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়