ঢাকা     বৃহস্পতিবার   ২৫ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ১২ ১৪৩১

বিশ্বজিৎ দাস হত্যা

রিমান্ডে শাকিলসহ ছয় জনের জড়িত থাকার কথা স্বীকার

সেন্ট্রাল ডেস্ক: || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ০৬:০৩, ১৭ ডিসেম্বর ২০১২   আপডেট: ০৫:২২, ৩১ আগস্ট ২০২০
রিমান্ডে শাকিলসহ ছয় জনের জড়িত থাকার কথা স্বীকার

ঢাকা, ১৭ ডিসেম্বর (রাইজিংবিডি টোয়েন্টিফোর ডটকম): বিশ্বজিৎ দাস হত্যার ঘটনায় গ্রেপ্তার হওয়া রফিকুল ইসলাম ওরফে শাকিলকে গতকাল রোববার আট দিনের রিমান্ডে নিয়েছে মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)। এই হত্যা মামলা তদন্ত করা ডিবি পুলিশ জানিয়েছে, রফিকুলসহ রিমান্ডে থাকা ছয়জন ঘটনার সঙ্গে জড়িত বলে স্বীকার করেছেন। ডিবি পুলিশের পরিদর্শক তাজুল ইসলাম গতকাল শাকিলকে মুখ্য মহানগর হাকিম আদালতে হাজির করে ১০ দিন রিমান্ডে নেওয়ার আবেদন করেন। মহানগর হাকিম মো. এরফান উল্লাহ আট দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।

আদালত সূত্র জানায়, রিমান্ড আবেদনের প্রতিবেদনে বলা হয়, ৯ ডিসেম্বর পুরান ঢাকায় বিশ্বজিৎ দাসকে চাপাতি দিয়ে কুপিয়ে ও পিটিয়ে হত্যা করা হয়। আসামি শাকিল চাপাতি দিয়ে বিশ্বজিৎ দাসকে কোপান, যা বিভিন্ন গণমাধ্যমে প্রচারিত ছবি ও ভিডিওচিত্র দেখে শনাক্ত হয়েছে। তাঁর কাছ থেকে তথ্য ও অন্য আসামিদের অবস্থান জানতে তাঁকে রিমান্ডে নেওয়া প্রয়োজন।

বিশ্বজিৎ হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় এ পর্যন্ত ১০ জনকে গ্রেপ্তার করা হলো। এর মধ্যে ছয়জনকে রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করছে ডিবি পুলিশ। এই ছয়জন হলেন: মাহফুজুর রহমান ওরফে নাহিদ, কাইয়ুম মিয়া, এইচ এম কিবরিয়া, রাশেদুল ইসলাম ওরফে শাওন, সাইফুল ইসলাম ও শাকিল। তদন্ত-সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, জিজ্ঞাসাবাদে তাঁরা বিশ্বজিৎকে পিটিয়ে ও কুপিয়ে হত্যার কথা স্বীকার করেন। ডিবি পুলিশকে তাঁরা বলেছেন, বিএনপিসহ ১৮ দলীয় জোট আহূত ৯ ডিসেম্বর অবরোধের আগের রাতে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীদের বৈঠক হয়। বৈঠকে অবরোধের দিন জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় এলাকায় বিরোধী দলের বিক্ষোভ মিছিলসহ যেকোনো কর্মসূচি প্রতিহত করার সিদ্ধান্ত হয়।

ডিবি জানায়, রিমান্ডে থাকা ব্যক্তিরা আরও জানিয়েছেন, ৯ ডিসেম্বর সকালে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের উল্টো দিকে বাহাদুর শাহ পার্ক এলাকায় অবরোধের পক্ষে মিছিল বের হয়। এ সময় তাঁরা বিশ্বজিৎকে বিএনপির কর্মী বা সমর্থক সন্দেহে ধাওয়া করেন। পরে পাশের একটি ক্লিনিকে লুকিয়ে থাকা বিশ্বজিৎকে বের করে তাঁরা পেটান ও কোপান। তাঁরা দাবি করেন, সম্প্রতি জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের কমিটি হয়েছে। এ কারণে তাঁরা কেন্দ্রীয় কমিটির কাছে নিজেদের গ্রহণযোগ্যতা আরও বাড়াতে শক্তির মহড়া দেখিয়েছেন। ডিবি পুলিশের কাছে পৃথকভাবে তাঁরা দাবি করেন, অন্যদের মারতে দেখে তিনিও মেরেছেন। জানতে চাইলে মামলার তদন্ত তদারক কর্মকর্তা ডিবির অতিরিক্ত উপকমিশনার মোহাম্মদ মোখলেছুর রহমান বলেন, বিশ্বজিৎ হত্যার ঘটনায় জড়িত বলে আরও যাঁদের বিরুদ্ধে তথ্য পাওয়া গেছে, তাঁদেরও গ্রেপ্তারে অভিযান চলছে।

৯ ডিসেম্বর সকালে পথচারী ও দর্জি দোকানি বিশ্বজিৎকে পিটিয়ে ও চাপাতি দিয়ে কুপিয়ে হত্যা করেন জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রলীগের কর্মীরা। হামলাকারীরা চিহ্নিত হওয়া সত্ত্বেও ওই দিন রাতে পুলিশ বাদী হয়ে সূত্রাপুর থানায় মামলা করে অজ্ঞাতনামা আসামিদের বিরুদ্ধে।

 

রাইজিংবিডি.কম

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়