ঢাকা     শুক্রবার   ২৬ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ১৩ ১৪৩১

পুঁজিবাজারে বিনিয়োগকারীদের ইটিআইএন বাধ্যতামূলক চায় এনবিআর

এম এ রহমান মাসুম || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ১৫:৫৪, ২ এপ্রিল ২০১৯   আপডেট: ০৫:২২, ৩১ আগস্ট ২০২০
পুঁজিবাজারে বিনিয়োগকারীদের ইটিআইএন বাধ্যতামূলক চায় এনবিআর

অর্থনৈতিক প্রতিবেদক : পুঁজিবাজারের প্রত্যেক বিনিয়োগকারীকে করের আওতায় আনতে কর শনাক্তকরণ নাম্বার (ইটিআইএন) বাধ্যতামূলক করার আহ্বান জানিয়েছেন রাজস্ব বোর্ডের চেয়ারম্যান মো. মোশাররফ হোসেন ভূঁইয়া।

এ বিষয়ে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) ও চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের (সিএসই) বিশেষ সহায়তা চেয়েছেন তিনি। এর পাশাপাশি বীমা করার সময়েও গ্রাহকদের ইটিআইএন থাকা বাধ্যতামূলক করতে বলেছেন এনবিআর চেয়ারম্যান।

মঙ্গলবার বিকেলে রাজধানীর সেগুনবাগিচার এনবিআরের কনফারেন্স কক্ষে প্রাক-বাজেট আলোচনা সভায় সভাপতির বক্তব্যে সংশ্লিষ্ট সবার কাছে তিনি এ সহায়তা চান। এনবিআর আয়োজিত সভায় উপস্থিত ছিলেন ব্যাংক, ঢাকা ও চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জ, লিজিং ও এনবিএফআই সংশ্লিষ্ট সংগঠনগুলোর নেতারা।

দেশে ইটিআইএন ধারীর সংখ্যা ৪০ লাখ ছাড়িয়েছে উক্তি করে মোশাররফ হোসেন ভূঁইয়া বলেন, দেশের বাজেটের আকার দিন দিন বড় হচ্ছে। সেই তুলনায় বাড়ছে না করদাতার পরিমাণ। আর আপনারা সবাই কর অব্যাহতিসহ বিভিন্ন রেয়াত সুবিধা চাচ্ছেন। আমরা দিব তবে আমাদের সীমাবদ্ধতা আপনাদের জানাতে হবে। তাই করহার বাড়িয়ে নয়, আমরা চাচ্ছি এবারে করের আওতা বাড়াব। এক্ষেত্রে আপনাদের সবার সহায়তা চাচ্ছি। বিশেষ করে পুঁজিবাজারের প্রত্যেক বিনিয়োগকারীকে করের আওতায় আনতে বাধ্যতামূলক করার ব্যাপারে স্টক এক্সচেঞ্জের সহায়তা জরুরি। আমার অনুরোধ থাকবে, আপনারা পুঁজিবাজারের প্রত্যেক বিনিয়োগকারীকে করের আওতায় নিয়ে আসবেন। অন্য প্রতিষ্ঠানগুলোর করের আওতা বাড়াতে সহায়তা করতে হবে।

তিনি বলেন, এবারে শহরের পাশাপাশি জেলা উপজেলা অঞ্চলের করযোগ্য ব্যক্তিদের করের আওতায় আনতে কাজ করছি। শহরের মানুষকে করের আওতায় আনতে সার্ভে পরিচালনা করছি। আশা করছি, সবার সহযোগিতা করের আওতা বাড়বে।

প্রাক-বাজেট আলোচনায় ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) পরিচালন মূলধন ঘাটতির হাত থেকে রক্ষা পেতে সরকারের কাছে কর অব্যাহতি চেয়েছে। প্রতিষ্ঠানটির ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) কে এ এম মাজেদুর রহমান বলেন, কর অব্যাহতি সুবিধা না দেওয়া হলে পুঁজিবাজারের বিনিয়োগকারী প্রত্যক্ষ এবং পরোক্ষভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হবে।

তিনি আরো বলেন, ডিমিউচ্যুলাইজেশন হওয়ার পর সরকার প্রথম পাঁচ বছর (২০১৪-১৫ অর্থবছর থেকে) স্টক এক্সচেঞ্জকে বিশেষ কর ছাড় সুবিধা দেয়।

ক্রমহ্রাসমান হারে দেওয়া এই কর ছাড়ার কারণে ২০১৪-১৫ ও ২০১৫-১৬ অর্থবছরে ডিএসইকে কর দিতে হয়নি। আর ২০১৬-১৭ অর্থবছরে ৬০ শতাংশ, ২০১৭-১৮ অর্থবছরে ৪০ শতাংশ এবং ২০১৮-১৯ অর্থবছরে ২০ শতাংশ কর ছাড় দেয় সরকার। বিশেষ সুবিধা আগামী অর্থবছর থেকে ডিএসইকে সম্পূর্ণ কর দিতে হবে। এতে সামনে মূলধন ঘাটতির শঙ্কা রয়েছে। তাই বিনিয়োগকারীদের ক্ষতির আশঙ্কা প্রকাশ করে সম্পূর্ণ কর অব্যাহতি দাবি রাখেন।

এ সময় লভ্যাংশ আয়ের করমুক্ত সীমা ১ লাখ টাকা পর্যন্ত; স্টক এক্সচেঞ্জের সদস্যদের উৎসে আয়কর হার দশমিক শূন্য ১৫ শতাংশ নির্ধারণ ও আইপিওতে ২০ শতাংশ শেয়ার ইস্যু করা কোম্পানিকে ৩ বছর ১০ শতাংশ হারে কর রেয়াত সুবিধা দাবি সংস্থাটি।

অন্যদিকে আলোচনা চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের (সিএসই) ব্যবস্থাপনা পরিচালক এম সাইফুর রহমান মজুমদার পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত কোম্পানিগুলোর বিদ্যমান করপোরেট করহার ২০ শতাংশ করার দাবি করেন। একই সঙ্গে পুঁজিবাজারের উন্নয়ন স্বার্থে নতুন তালিকাভুক্ত কোম্পানিগুলোর আয় তিন বছর করমুক্ত রাখা দাবি করেন। এছাড়া পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্তি উৎসাহিত করার লক্ষ্যে এসএমই কোম্পানিগুলোর জন্য রেয়াতি সুবিধা দাবি করেন।

 

 

 

রাইজিংবিডি/ঢাকা/২ এপ্রিল ২০১৯/এম এ রহমান/সাইফ

রাইজিংবিডি.কম

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়