ঢাকা     বুধবার   ০৮ মে ২০২৪ ||  বৈশাখ ২৫ ১৪৩১

খালেদার সাজা হলে দেশে নির্বাচন হবে না : বিএনপি

এসকে রেজা পারভেজ || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ১১:৩৪, ১৫ ফেব্রুয়ারি ২০১৭   আপডেট: ০৫:২২, ৩১ আগস্ট ২০২০
খালেদার সাজা হলে দেশে নির্বাচন হবে না : বিএনপি

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক : ‘মিথ্যা মামলায়’ বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার সাজা হলে দেশে কোনো নির্বাচন হবে না বলে সরকারকে হুঁশিয়ারি দিয়েছেন দলটির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।

বিএনপি নেত্রীর সাজা হলে দেশের মানুষ সেই নির্বাচনে অংশ নেবে না বলেও মন্তব্য করেন তিনি।

বুধবার বিকেলে রাজধানীর সেগুনবাগিচায় ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটি-ডিআরইউর ‘সাগর-রুনি মিলনায়তনে’ এক আলোচনা সভায় মির্জা ফখরুল এসব কথা বলেন।

‘একাদশতম জাতীয় সংসদ নির্বাচন সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ করার লক্ষ্যে সহায়ক সরকারের দাবি’ শীর্ষক এ আলোচনার আয়োজন করে বাংলাদেশ পিপলস পার্টি (এনপিপি)।

মির্জা ফখরুল বলেন, ‘দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়াকে মিথ্যা মামলা দিয়ে যদি জেলে পাঠানো হয়, তাহলে এ দেশে কোনো নির্বাচন হবে না। জনগণ এ নির্বাচন মেনে নেবে না। দেশপ্রেমিক কোনো দল এ নির্বাচনে অংশ নেবে না।’

তিনি বলেন, ‘আমরা নির্বাচন করতে চাই। কিন্তু সেই নির্বাচনে লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড হতে হবে। একই সঙ্গে সব দলের অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন এবং সবার কাছে গ্রহণযোগ্য একটি নির্বাচন হতে হবে।’

নতুন নির্বাচন কমিশনারদের শপথ গ্রহণের প্রসঙ্গ টেনে বিএনপি মহাসচিব বলেন, ‘আমাদের একটা আশা ও আস্থা ছিল। রাষ্ট্রপতি দেশ ও মানুষের জন্য একটি ভূমিকা রাখবেন। দুর্ভাগ্য আমাদের, তিনি রাষ্ট্রপতির দায়িত্ব ও ভূমিকা রাখতে পারেননি।’

‘যে নির্বাচন কমিশন আমাদের সামনে দিয়েছেন, তার প্রধান একজন দলীয় ব্যক্তি। ছাত্রজীবনে তিনি এই দলের সঙ্গে জড়িত ছিলেন, নেতা ছিলেন। পরবর্তীকালে তার দলীয় সম্পর্কের কারণে তিনি চাকরিও হারিয়েছেন এবং চিহ্নিত একজন আওয়ামী লীগার হিসেবে তার নিজের পরিচয় আছে। সেই মানুষটিই প্রধান নির্বাচন কমিশনার হিসেবে আজকে শপথ নিয়েছে’, বলেন তিনি।

নতুন নির্বাচন কমিশনের অধীনে নির্বাচনে যাওয়া না-যাওয়া প্রসঙ্গে মির্জা ফখরুল বলেন, ‘বিএনপি স্থানীয় সরকারে নির্বাচনে বরাবরই অংশ নিয়েছে। জাতীয় সংসদ নির্বাচনে যাব কি যাব না, তা সম্পূর্ণভাবে নির্ভর করবে সে সময় কোন ধরনের সরকার থাকছে এবং নির্বাচন কমিশনের কী ভূমিকা থাকে এর ওপর।’

তিনি বলেন, ‘আমরা নির্বাচনকালীন নিরপেক্ষ সরকার চাই। যে সরকার নিরপেক্ষ নির্বাচন করবে, নির্বাচন কমিশনকে সহায়তা করবে।’

ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ জনগণের অধিকার হরণ করেছে উল্লেখ করে বিএনপির এই নেতা বলেন, ‘জনগণের অধিকারকে তারা পুরোপুরি লুট করে নিয়ে গেছে। কারণ জনগণ যে মতামত দেবে, সেই মতমত কোনো দিনই তাদের পক্ষে যাবে না। তারা অতীতে যা করেছিল, এখনো তাই করছে অর্থাৎ জনগণের সঙ্গে বিশ্বাসঘাতকতা করছে।’

আওয়ামী লীগ নীল নকশার নির্বাচনের পরিকল্পনা করছে অভিযোগ করে মির্জা ফখরুল বলেন, ‘আমরা গণতন্ত্র ও নির্বাচন চাই। নির্বাচনের মধ্য নিয়ে রাষ্ট্র পরিচালনা করতে চাই। আওয়ামী লীগ যে ফাঁদ পেতেছে ও নীল নকশা তৈরি করেছে সেই নীল নকশার মধ্য দিয়ে কি নির্বাচন হবে? সেই নির্বাচন কখনও সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ হবে না। সেই নির্বাচনে জনগণের আশা-আকাঙ্ক্ষার প্রতিফলন ঘটবে না।’

মির্জা ফখরুল বলেন, ‘ড. ইউনূস আমাদের গর্ব। সারা পৃথিবী তাকে সম্মান জানাচ্ছে। পার্শ্ববর্তী দেশ ভারতও তাকে বিশেষভাবে সম্মনা জানিয়েছে। জনগণের মৌলিক কিছু বিষয় নিয়ে তিনি কাজ করছেন। এ জন্য সবাই তাকে বাহবা দিচ্ছেন আর আপনি (প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা) ব্যক্তিগতভাবে তাকে শত্রু হিসেবে চিহ্নিত করেছেন। কারণ লোকে বলে, নোবেল পুরস্কারটি না-কি আপনার (শেখ হাসিনা) প্রাপ্য ছিল।’

এনপিপির চেয়ারম্যান ফরিদুজ্জামান ফরহাদের সভাপতিত্বে আরো বক্তব্য দেন জাগপা সভাপতি শফিউল আলম প্রধান, লেবার পার্টির চেয়ারম্যান মোস্তাফিজুর রহমান ইরান প্রমুখ।



রাইজিংবিডি/ঢাকা/১৫ ফেব্রুয়ারি ২০১৭/রেজা/মুশফিক

রাইজিংবিডি.কম

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়