ঢাকা     শুক্রবার   ২৬ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ১৩ ১৪৩১

জমি রেজিস্ট্রেশনে রাজস্ব ফাঁকি, আসামি ২০

এম এ রহমান মাসুম || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ১৪:১৯, ২৬ মে ২০১৯   আপডেট: ০৫:২২, ৩১ আগস্ট ২০২০
জমি রেজিস্ট্রেশনে রাজস্ব ফাঁকি, আসামি ২০

নিজস্ব প্রতিবেদক : গাজীপুরে জালিয়াতি করে জমির শ্রেণি পরিবর্তনের মাধ্যমে দলিল নিবন্ধন করে সরকারি রাজস্ব ফাঁকি দেওয়ার অভিযোগে জেলার সদরের সাবেক সাব-রেজিস্ট্রারসহ ২০ জনের বিরুদ্ধে চারটি পৃথক মামলা দায়েরের অনুমোদন দিয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।

সাব-রেজিস্ট্রার ছাড়াও চারটি দলিল নিবন্ধনের সাথে সংশ্লিষ্ট দলিল দাতা, গ্রহীতা এবং দলিল লেখকদের বিরুদ্ধে রোববার কমিশন থেকে এসব মামলা করার অনুমোদন দেওয়া হয়।

শিগগিরই গাজীপুর সদর থানায় মামলাগুলো দায়ের করা হবে। বলে দুদকের জনসংযোগ কর্মকর্তা প্রনব কুমার ভট্টাচার্য্য জানিয়েছেন।

গাজীপুর সদরের সাবেক সাব-রেজিস্ট্রার গোলাম ফারুককে সব মামলায় আসামি করা হচ্ছে। তিনি বর্তমানে ফেনীর ছাগলনাইয়ার সাব-রেজিস্ট্রার।

দুদকের ঢাকা বিভাগীয় কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক মো. ফজলুল বারী এসব অভিযোগে অনুসন্ধান করে মামলা করতে সুপারিশ জানিয়ে কমিশনে প্রতিবেদন জমা দিলে অনুমোদন দেয় দুর্নীতি বিরোধী সংস্থাটি।

অনুসন্ধান প্রতিবেদনে বলা হয়, ২০১৫ সালের ৫ নভেম্বর ৮৬০৯ নম্বর দলিলে ৩৬ শতাংশ জমির শ্রেণি পরিবর্তনের মাধ্যমে নিবন্ধন করে সরকারের দুই লাখ ২০ হাজার টাকা রাজস্ব ফাঁকি দেওয়ার অভিযোগে ওই সাব-রেজিস্ট্রারসহ পাঁচজনকে আসামি করা হচ্ছে।

এ মামলায় অপর আসামিরা হবেন- জমির দলিল দাতা মো. এখলাছ উদ্দিন চৌধুরী ও মো. শফিকুল ইসলাম, দলিল গ্রহীতা এমদাদ হোসেন ফিরোজ এবং দলিল লেখক জুয়েল আহম্মেদ। তাদের বিরুদ্ধে পরস্পর যোগসাজশে প্রতারণা ও জালিয়াতি করে রাজস্ব ফাঁকি দিয়ে ওই জমি নিবন্ধন করার অভিযোগ রয়েছে।

একই বছরের ৪ নভেম্বর ৮৫৪৩ নম্বর দলিলে সোয়া পাঁচ শতাংশ জমির শ্রেণি পরিবর্তনের মাধ্যমে দলিল নিবন্ধন করে সরকারের দুই লাখ দুই হাজার টাকা রাজস্ব ফাঁকি দেওয়ার অভিযোগে আরেকটি মামলার মামলার অনুমোদন দিয়েছে দুদক।

গোলাম ফারুক ছাড়া এতে আসামি হচ্ছেন দলিল দাতা মো. ফাইজ উদ্দিন, দলিল গ্রহীতা মো. আনোয়ার হোসাইন, মো. দেলোয়ার হোসাইন ও মো. ওমর ফারুক এবং দলিল লেখক ওয়াসিম শেখ।

২০১৫ সালের ৫ নভেম্বর ৮৬১৫ নম্বর দলিলে চার শতাংশ জমির শ্রেণি পরিবর্তনের মাধ্যমে দলিল নিবন্ধন করে সরকারের দুই লাখ ২১ হাজার টাকা রাজস্ব ফাঁকি দেওয়ার অভিযোগে আরেকটি মামলার অনুমোদন দেওয়া হয়।

এ মামলায় অন্য আসামিরা হচ্ছেন তারা হলেন- ওই জমির দলিল দাতা খাতেমুন নেছা, রোকিয়া বেগম, রাশিদা বেগম ও আনোয়ারা বেগম, দলিল গ্রহীতা মো. আবু জাফর এবং দলিল লেখক মো. সেলিম মিয়া।

একই বছরের ১৬ নভেম্বর ৮৮৪৯ নম্বর দলিলে সাড়ে তিন শতাংশ জমির শ্রেণি পরিবর্তনের মাধ্যমে দলিল নিবন্ধন করে সরকারের এক লাখ ২৪ হাজার টাকা রাজস্ব ফাঁকি দেওয়ার অভিযোগে আরেকটি মামলার অনুমোদন দিয়েছে দুদক।

এ মামলার অন্য আসামিরা হচ্ছেন দলিল দাতা মো. শামসুল হক, গ্রহীতা মো. এনামুল হক ও গ্রহীতা আমিরুল ইসলাম এবং দলিল লেখক মো. তোফাজ্জল হোসেন।



রাইজিংবিডি/ঢাকা/২৬ মে ২০১৯/এম এ রহমান/সাইফ

রাইজিংবিডি.কম

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়