ঢাকা     শুক্রবার   ২৬ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ১৩ ১৪৩১

‘উৎপাদনমুখী কর্মসংস্থানে সরকার সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিচ্ছে’

আসাদ আল মাহমুদ || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ১৪:৪০, ১১ এপ্রিল ২০১৮   আপডেট: ০৫:২২, ৩১ আগস্ট ২০২০
‘উৎপাদনমুখী কর্মসংস্থানে সরকার সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিচ্ছে’

নিজস্ব প্রতিবেদক, সংসদ থেকে :  প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, সরকার দেশি-বিদেশি বিনিয়োগ আকৃষ্ট করার পরিবেশ সৃষ্টি এবং পাশাপাশি দেশে বহুমাত্রিক শিল্প বিনিয়োগ আকর্ষণের লক্ষ্যে বিভিন্ন পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে। উৎপাদনমুখী কর্মসংস্থান সৃষ্টিতে সরকার সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিচ্ছে।

বুধবার জাতীয় সংসদে সাংসদ ফখরুল ইমামের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, দারিদ্র্য দূরীকরণ এবং কর্মসংস্থান সৃষ্টির মাধ্যমে জনগণের জীবন মানোন্নয়নে বিনিয়োগ মুখ্য ভূমিকা পালন করছে। আওয়ামী লীগ সরকার বিশ্বাস করে বাংলাদেশকে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধ শেখ মুজিবুর রহমানের স্বপ্নের সোনার বাংলায় পরিণত করতে হলে দেশে ব্যাপক বিনিয়োগ বৃদ্ধির কোন বিকল্প নেই।

তিনি বলেন, বেকারত্ব দূরীকরণে উৎপাদনমুখী কর্মসংস্থান সৃষ্টিতে সরকার সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিচ্ছে। সরকার দেশের অদক্ষ জনগোষ্ঠীকে আধা দক্ষ এবং দক্ষ জনশক্তিতে রূপান্তরের নানামুখী পরিকল্পনা বাস্তবায়ন করছে।

সপ্তম পঞ্চবার্ষিক পরিকল্পনায় গড়ে বার্ষিক ৭ দশমিক ৪ ভাগ হারে প্রবৃদ্ধি অর্জনের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে, যা ২০২০ সাল নাগাদ ৮ শতাংশে পৌঁছাবে উল্লেখ করে তিনি বলেন, প্রবৃদ্ধি ত্বরান্বিতকরণ, সর্বোচ্চ কর্মসংস্থান সৃষ্টি এবং দারিদ্র্য নিরসনের পাশাপাশি প্রত্যেক নাগরিকের ক্ষমতায়নের লক্ষ্যে সপ্তম পঞ্চবার্ষিক পরিকল্পনা কর্মকৌশল, নীতি এবং লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, সর্বাধিক কর্মক্ষম জনসংখ্যাকে সর্বোচ্চ ব্যবহারের মাধ্যমে কারিগরি ও প্রযুক্তিগত দিক দিয়ে বর্তমান ও ভবিষ্যতের জন্য দক্ষ শ্রমশক্তি গড়ে তোলা, নতুন এবং ডিজিটাল প্রযুক্তির ব্যাপক প্রসারের মাধ্যমে মূলধন ও শ্রমের উৎপাদনশীলতা বৃদ্ধি করা, সামষ্টিক অর্থনীতির ধারাবাহিক স্থিতিশীলতার ভিত্তিতে সেবা খাত এবং রপ্তানিমুখী প্রক্রিয়াজাত ও ম্যানুফ্যাকচারিংয় খাতের প্রবৃদ্ধি ত্বরান্বিতকরণ, সবুজ প্রবৃদ্ধি অর্জনের মাধ্যমে একটি টেকসই, সমৃদ্ধ, অন্তর্ভুক্তিমূলক এবং জলবায়ু সহিষ্ণু ভবিষ্যৎ বাংলাদেশ গড়ে তোলার কার্যকর পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে।

তিনি বলেন, রপ্তানি কেন্দ্রিক উৎপাদনে বিনিয়োগ ও কর্মসংস্থানকে উৎসাহিত করা, অপ্রচলিত পণ্য রপ্তানির মাধ্যমে অধিক পরিমাণে বৈদেশিক মুদ্রা আয় এবং সরাসরি বৈদেশিক বাণিজ্য আকর্ষণের লক্ষ্যে সরকার রপ্তানি প্রক্রিয়াকরণ অঞ্চল (ইপিজেড) ও বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চলসমূহ প্রতিষ্ঠা করেছে।

একশ’টি বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চল স্থাপনের দীর্ঘমেয়াদী পরিকল্পনাকে সামনে রেখে সরকার ইতোমধ্যে ৩০টি বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চল স্থাপনের পরিকল্পনা সম্পন্ন করেছে উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, এর ফলে দেশের রপ্তানি আয় বৃদ্ধি পাবে অতিরিক্ত ৪০ বিলিয়ন মার্কিন ডলার এবং কর্মসংস্থান সৃষ্টি হবে প্রায় এক কোটি মানুষের।

সাংসদ  (তরিকত ফেডারেশন ) এম এ আউয়ালের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, বর্তমান প্রতিবন্ধী বান্ধব সরকার দেশের প্রতিবন্ধী ও অসহায় নারীদের অধিকার নিশ্চিতে বহুমাত্রিক কার্যক্রম বাস্তবায়ন করছে। প্রতিবন্ধী জনগোষ্ঠীর জীবনমান উন্নয়নের লক্ষ্যে প্রতিবন্ধী ব্যক্তির অধিকার ও সুরক্ষা আইন, ২০১৩ এবং নিউরো-ডেভেলপমেন্টাল সুরক্ষা ট্রাস্ট আইন, ২০১৩ প্রণয়ন করা হয়েছে। ওই আইন দু’টির বিধিমালা-২০১৫ ইতোমধ্যে প্রণয়ন করা হয়েছে।



রাইজিংবিডি/ঢাকা/১১ এপ্রিল ২০১৮/আসাদ/এনএ

রাইজিংবিডি.কম

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়