ঢাকা     শনিবার   ২৭ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ১৪ ১৪৩১

দুইশ ছোঁয়া ম্যাচে চিটাগংয়ের জয়

ইয়াসিন হাসান || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ১৬:৪৫, ১৯ জানুয়ারি ২০১৯   আপডেট: ০৫:২২, ৩১ আগস্ট ২০২০
দুইশ ছোঁয়া ম্যাচে চিটাগংয়ের জয়

ক্রীড়া প্রতিবেদক, সিলেট থেকে : ম্যাজিক না জানলে চিটাগং ভাইকিংসের এমন পারফরম্যান্স করার কথা না! কাগজে-কলমে শক্তিশালী না হয়েও চমকের পর চমক দেখাচ্ছে তারা।

ঢাকা, রংপুর, কুমিল্লার মতো দলে একঝাঁক বিগ হিটার। নামগুলোও বেশ বড়, ক্রিস গেইল, আন্দ্রে রাসেল, সাকিব আল হাসান, তামিম ইকবাল, এভিন লুইস-সহ শহীদ আফ্রিদিও। অথচ তারা এখনো দুইশ রানের মাইলফলক ছুঁতে পারেনি। সেখানে চিটাগংয়ে বড় কোনো বিগ হিটার নেই! অথচ তারাই বিপিএলের ষষ্ঠ আসরের মঞ্চে প্রথমবারের মতো দুইশ রানের পাহাড় ছুঁল।

শনিবার খুলনা টাইটান্সের বিপক্ষে মাত্র ৪ উইকেট হারিয়ে ২১৪ রান করেছে চিটাগং, বিপিএলে যা দ্বিতীয় সর্বোচ্চ সংগ্রহ। মাত্র ৩ রানের জন্য সর্বোচ্চ রানের রেকর্ড ছুঁতে পারেননি মুশফিক, শাহজাদরা। ২০১৩ সালে ঢাকা রংপুরের বিপক্ষে ৪ উইকটে করেছিল ২১৭ রান। সিলেটে চিটাগংয়ের করা পাহাড় সমান রান তাড়া করতে নেমে ১৮৮ রানের বেশি করতে পারেনি খুলনা।

 



২৬ রানের জয়ে পয়েন্ট তালিকার দুইয়ে উঠে আসল মুশফিকের চিটাগং। পাঁচ ম্যাচে চার জয় নিয়ে তারা পিছিয়ে সাকিবের ঢাকা ডায়নামাইটসের থেকে। আর মাহমুদউল্লাহর খুলনার এটি ষষ্ঠ হার। সাত ম্যাচে ছয় হারে কার্যত শেষ চারের আশা শেষ খুলনার। শেষ পাঁচ ম্যাচে খুলনা পাঁচটিই জিততে পারলে কিছুটা আশা থাকতেও পারে। কিন্তু কাজটা তাদের জন্য প্রায় অসম্ভবই।

বরাবরের মতো চিটাগংয়ের ইনিংস উড়ন্ত সূচনা পায় মোহাম্মদ শাহজাদের ব্যাটে। ১৭ বলে ৩ চার ও ৩ ছক্কায় ৩৩ রান করে আফগান হার্ডহিটার। ক্যামেরুন ডেলপোর্ট অবশ্য ভালো করতে পারেননি। ১৩ রানে আউট হন শরীফুলের বলে ডেভিড ভিসের দারুণ ক্যাচে। পাওয়ার প্লে’র শেষ ওভারে তাইজুলকে পরপর দুই বলে দুই ছক্কা হাঁকান শাহজাদ। ওভারের শেষ বেল তাইজুল ডানহাতি এ ব্যাটসম্যানকে ফিরিয়ে প্রতিশোধ নেন।

পরের গল্পটা মুশফিক ও ইয়াসির আলীর। দুজনের আক্রমণাত্মক ব্যাটিংয়ে এলোমেলো হয়ে যায় খুলনা। আর শেষ দিকে খুলনাকে বড় ধাক্কাটি দেন দাসুন শানাকা। মুশফিক ৩৩ বলে ৫২ ও ইয়াসির ৩৬ বলে ৫৪ রান করার পর শ্রীলঙ্কান শানাকা ১৭ বলে করেন ৪২ রান। লঙ্কান এ ব্যাটসম্যান ৩ চার ও ৪ ছক্কায় বিধ্বংসী ইনিংসটি খেলেন। আগের ম্যাচে ৪১ বলে ৭৫ রান করা মুশফিক আজও ছিলেন দুর্দান্ত।

 



চিটাগংয়ের অধিনায়ক ৮ চার ও ১ ছক্কায় করেন ৫২ রান। তিনে নামা ইয়াসির ৫ চার ও ৩ ছক্কায় খেলেন ৫৪ রানের ইনিংস। দলের উজ্জ্বল ব্যাটিংয়ের দিনে নজিবুল্লাহ জাদরানও ছিলেন দারুণ। ৫ বলে ১৬ রান করেন বাঁহাতি ব্যাটসম্যান।

জবাবে ব্যাটিং স্বর্গ উইকেটে ১৮ রান তুলতে ৩ উইকেট হারায় খুলনা। পল স্টার্লিং (০), আল-আমিন (৫) ও জুনায়েদ সিদ্দিক (১২) দ্রুত সাজঘরে ফেরেন। অধিনায়ক মাহমুদউল্লাহ পাল্টা আক্রমণে ২৬ বলে ৫০ রান তোলেন ঠিকই, কিন্তু তাকে কেউ সঙ্গ দিতে পারেনি। ১৬ বলে ২৮ রান করা ব্রেন্ডন টেলরকে দশম ওভারে বোল্ড করেন স্পিনার নাঈম। ১১তম ওভারে ডেলপোর্টের স্লোয়ারে বোল্ড মাহমুদউল্লাহ। ব্যর্থ হন আরিফুল হক। ডেলপোর্টের দ্বিতীয় শিকারে পরিণত হন ১১ রানে।

ওখানেই ম্যাচ শেষ হওয়ার কথা। কিন্তু ডেভিড ভিসে দেয়াল হয়ে দাঁড়ান চিটাগংয়ের বোলিংয়ের সামনে। তাকে সপ্তম উইকেটে সঙ্গ দেন তাইজুল। দুজন ৬৫ রান করেন ৪১ বলে। জয়ের থেকে ৪১ রান দূরে থাকতে খালেদের বাউন্সার উড়াতে গিয়ে উইকেটের পেছনে ক্যাচ দেন প্রোটিয়া ক্রিকেটার ভিসে। ২০ বলে ২ চার ও ৪ ছক্কায় ৪০ রান করেন এ ব্যাটসম্যান।

 



১৭৪ রানে তার ফেরার পর বেশিদূর যায়নি খুলনার রান। ৮ উইকেট ১৮৮ রানে থামে তাদের ব্যাটিং। বল হাতে আবু জায়েদ রাহী পেয়েছেন তিনটি উইকেট। খালেদ ও ডেলপোর্ট নিয়েছেন দুটি করে উইকেট। ১টি উইকেট পেয়েছেন নাঈম।



রাইজিংবিডি/সিলেট/১৯ জানুয়ারি ২০১৯/ইয়াসিন/পরাগ

রাইজিংবিডি.কম

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়