কর্মসংস্থান ভিত্তিক প্রবৃদ্ধির আহ্বান

নিজস্ব প্রতিবেদক : ২০২১ সালের মধ্যে বাংলাদেশকে মধ্যম আয়ের দেশে পরিণত করার জন্য কর্মসংস্থান ভিত্তিক প্রবৃদ্ধির আহ্বান জানিয়েছেন অর্থনীতিবিদ ও বিশেষজ্ঞরা। তাদের মতে, দক্ষ জনশক্তি, নতুন কর্মসংস্থানের সুযোগ, কর্মক্ষমতা বৃদ্ধির মাধ্যমে কর্মসংস্থান ভিক্তিক প্রবৃদ্ধি অর্জন করা সম্ভব।

 

রাজধানীতে হোটেল সোনারগাঁওয়ে ‘ঢাকা সামিট অন স্কিল, এমপ্লয়মেন্ট অ্যান্ড ডিসেন্ট ওয়ার্ক-  ২০১৬’  শীর্ষক সম্মেলনে এ আহ্বান জানানো হয়েছে। তিন দিনব্যাপী সম্মেলনের সমাপনী দিনে মঙ্গলবার প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত।

 

বিশেষজ্ঞরা বলেন, ‘টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা (এসডিজি) অর্জনে দারিদ্র দূরীকরণ, ক্ষুধামুক্ত ও নিরাপদ কর্মপরিবেশ নিশ্চিতকরণ এবং কর্মসংস্থান তৈরিতে গুরুত্ব দিতে হবে।

 

সম্মেলনের সমাপনী অনুষ্ঠানে অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত বলেন, ‘ইতিমধ্যেই আমরা সহশ্রাব্দ উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা (এমডিজি) অর্জন করেছি। এখন আমাদের টার্গেট টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা (এসডিজি) অর্জন করা। তবে এখানে কিছু সীমাবদ্ধতা রয়েছে। যার মধ্যে অন্যতম হলো দক্ষতা ও সম্পদের সীমাবদ্ধতা।’

 

তিনি বলেন, ‘উন্নত দেশে হতে গেলে দক্ষ জনশক্তির বিকল্প নেই। দক্ষ জনশক্তি তৈরিতে আগামী ৫ বছরে বেশকিছু পরিকল্পনা হাতে নিয়েছে সরকার। কেননা, দক্ষ কর্মীই মানসম্পন্ন পণ্য তৈরি করতে পারে। দক্ষ জনশক্তি তৈরিতে আমরা প্রশিক্ষকদেরও উন্নত প্রশিক্ষনের ব্যবস্থা করছি। এ বছর আমরা মানবসম্পদ উন্নয়নে তহবিল গঠন করেছি।’

 

অর্থমন্ত্রী জানান, ‘আমাদের দেশে কাগজে-কলমে ৪ শতাংশ বেকারত্বের কথা বলা হলেও প্রকৃতপক্ষে এই হার আরো বেশি।’

 

শ্রম প্রতিমন্ত্রী মুজিবুল হক চুন্নু বলেন, ‘নিরাপদ কর্মপরিবেশ তৈরিতে আমরা এখন জিরো টলারেন্সে আছি। এক্ষেত্রে কোনো ছাড় দেওয়া হবে না।’

 

কানাডার হাইকমিশনার বেনিয়ট পিয়েরে লেরেমি বলেন, ‘শ্রমিকদের দক্ষতা বৃদ্ধি ও উন্নয়নে কানাডা সরকার সবসময় পাশে থাকবে। তিনি প্রশিক্ষিত ও দক্ষ জনশক্তি রপ্তানির পরামর্শ দেন।’

 

সমাপনী অনুষ্ঠানে শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা, বাংলাদেশ এমপ্লয়ারর্স ফেডারেশনের কর্মকর্তারা, আইএলওর উপপরিচালক গগন রাজভাণ্ডারিসহ দেশি-বিদেশি বিভিন্ন দাতা সংস্থা, এনএসডিসি, বিজিএমইএ, বিকেএমইএ, সিপিডি ও বিভিন্ন শ্রমিক সংগঠনের প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন।

 

প্রসঙ্গত, এই সম্মেলনে বাংলাদেশে শোভন কর্মসংস্থানের জন্য দক্ষতা, অতীত, বর্তমান এবং ভবিষ্যৎ, যুবকর্মসংস্থান, প্রতিবন্ধীদের দক্ষতা উন্নয়ন এবং আত্ম-কর্মসংস্থানের সমস্যা ও সম্ভাবনা বিষয়ে আলোচনা অনুষ্ঠিত হয়েছে। এছাড়া শোভন কাজের সরবরাহ ব্যবস্থায় বাংলাদেশের মানিয়ে নেওয়ার চ্যালেঞ্জ, শিল্প কারখানায় শ্রমিক-মালিক সম্পর্ক, নিরাপদ কর্মপরিবেশ এবং সামাজিক যোগাযোগ কিভাবে স্থায়ীরূপ দেওয়া যায় সে সব বিষয়ে আলোচনা হয়েছে।

 

 

রাইজিংবিডি/ঢাকা/১৩ ডিসেম্বর ২০১৬/আরিফ সাওন/শাহনেওয়াজ