ঢাকা     শুক্রবার   ২৬ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ১৩ ১৪৩১

হেলমেটের প্রয়োজন পড়বে না যে মোটরসাইকেলে (ভিডিও)

মনিরুল হক ফিরোজ || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ১৪:০৭, ১৯ অক্টোবর ২০১৬   আপডেট: ০৫:২২, ৩১ আগস্ট ২০২০
হেলমেটের প্রয়োজন পড়বে না যে মোটরসাইকেলে (ভিডিও)

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি ডেস্ক : আপনি কী তাদের মধ্যে একজন, যারা মনে করেন যে হেলমেট পড়ে মোটরসাইকেল চালানোর জন্য চুলের বারোটা বেজেছে? বিএমডব্লিউর ভবিষ্যত মোটরসাইকেল তাহলে আপনাকে স্বস্তি দিতে পারে। 

 

১১ অক্টোবর যুক্তরাষ্ট্রের ক্যালিফোর্নিয়ার সান্তা মনিকাতে বিলাসবহুল গাড়ি নির্মাতা প্রতিষ্ঠান বিএমডাব্লিউ তাদের নির্মিতব্য ভবিষ্যত প্রজন্মের এমন এক মোটরসাইকেলের ধারণা প্রদর্শন করেছে, যা কৃত্রিমবুদ্ধিমত্ত্বা সম্পন্ন। এই মোটরসাইকেল চালানোয় কোনোরকম প্রতিরক্ষামূলক গিয়ার ব্যবহার করা লাগবে না, এমনকি হেলমেট পর্যন্ত পড়তে হবে না।

 

জার্মান অটোমোবাইল জায়ান্ট বিএমডব্লিউ তাদের ১০০ বছর পূর্তি উৎসব উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানে প্রদর্শন করেছে ভিশন নেক্সট সিরিজে নতুন সংযোজন হিসেবে ‘মটোরাড ভিশন নেক্সট ১০০’ নামক এই মোটরসাইকেলটির প্রটোটাইপ। প্রতিষ্ঠানটি এটিকে মোটরসাইকেলের ভবিষ্যত হিসেবে উল্লেখ করেছে। জেনে নিন ঠিক কী পেতে চলেছেন এই মোটরসাইকেলে।

 

যারা মোটরসাইকেল চালানে পারেন না অর্থাৎ নতুনদের ক্ষেত্রে এই মোটরসাইকেলের সুবিধা হচ্ছে, চলন্ত অবস্থায় ভারসাম্য রক্ষায় স্বয়ংক্রিয় ব্যবস্থা থাকবে। এমনকি দাঁড়ানো অবস্থাতেও বাইকটি পড়ে যাবে না। 

 bike

 

অত্যাধুনিক প্রযুক্তির এই মোটরসাইকেলটিতে একটি গ্যাজেট হিসেবে সহজেই চালনা করা যাবে। যেমন এতে থাকবে ডিজিটাল কম্পেনিয়ন সিস্টেম, বাইক চালানের সময় যা পরামর্শ দেবে নানারকম অ্যাডজাস্টমেন্ট করার। এছাড়া যেকোনো দুর্ঘটনার সময় চালকের ট্রিগার করতে দেরী হলেও মোটরসাইকেলটি নিজেই তা ব্যালেন্স করে নিবে। চোখে পড়ার জন্য থাকবে উচ্চ প্রযুক্তির ‘দ্য ভাইজার’ নামক সানগ্লাস, যার মাধ্যমে চারপাশের এলাকা সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য মিলবে। বিভিন্ন রাস্তার অবস্থা সানগ্লাসে দিব্যি দেখা যাবে। চোখের মুভমেন্টের মাধ্যমে সানগ্লাসের তথ্য নিয়ন্ত্রণ করা যাবে। 

 

থাকবে ফ্লেক্সফ্রেম সিস্টেম, যার মাধ্যমে মোটরসাইকেলটিকে অনেক বেশি নিরাপদে দিক পরিবর্তনে ঘোরানো যাবে। বর্তমানের মোটরসাইকেলগুলোতে যে জয়েন্ট সিস্টেমের মাধ্যমে ঘোরাতে হয়, এই মোটরসাইকেল তা লাগবে না। বরঞ্চ দিক পরিবর্তনে হ্যান্ডেল বারটি ঘোরালে বাইকের গোটা ফ্রেম ঘুরে যাবে। কম গতিতে সামান্য এবং বেশি গতিতে দিক পরিবর্তন করতে একটু বেশি ঘোরালেই হবে।

 

এ মোটরসাইকেলের সিট, ওপরের অংশ এবং কভার তৈরি করা করা হবে কার্বন ফাইবারে। নন-গ্যাসোলিন পাওয়ার সোর্সের মাধ্যমে চলবে অত্যাধুনিক প্রযুক্তিসম্পন্ন এই মোটরসাইকেলটি।

 

 

তবে মোটরসাইকেল প্রেমীদের এখনি এটা নিয়ে খুব উত্তেজিত না হলেও চলবে। কারণ খুব শিগগির এটি বাজারে আসছে না। এমনকি বিএমডব্লিউ কর্তৃপক্ষের ধারণা, এটি রাস্তায় নামাতে অন্তত ১০ বছর দেরী হবে। যা হোক, এটি যে ভবিষ্যতের প্রজন্মের মোটরসাইকেল হতে চলেছে তা নিয়ে সন্দেহ নেই কারো।

 

তথ্যসূত্র: স্কুপহুপ

 

 

রাইজিংবিডি/ঢাকা/১৩ অক্টোবর ২০১৬/ফিরোজ 

রাইজিংবিডি.কম

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ