ঢাকা     শুক্রবার   ২৬ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ১৩ ১৪৩১

গত সপ্তাহে পুঁজিবাজারে ধারাবাহিক উত্থান

আশিক || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ০৯:০৫, ৩ ডিসেম্বর ২০১৬   আপডেট: ০৫:২২, ৩১ আগস্ট ২০২০
গত সপ্তাহে পুঁজিবাজারে ধারাবাহিক উত্থান

অর্থনৈতিক প্রতিবেদক : পুঁজিবাজারের গত সপ্তাহের চিত্র ছিল ইতিবাচক ধারার।

এক সপ্তাহের ধারবাহিক উত্থানের ফলে বিনিয়োগ উপযোগী হয়ে উঠেছে দেশের পুঁজিবাজার। যার কারণে প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীদের পাশাপাশি বিদেশিরাও বিনিয়োগে সক্রিয় হচ্ছেন। এর ফলে একদিকে বিনিয়োগকারীদের মধ্যে আস্থা সংকট কেটেছে, অন্যদিকে স্বস্তি ফিরতে শুরু করেছে।

এ ছাড়াও হিসাব বছর শেষ করা কোম্পানিগুলো ভালো ডিভিডেন্ডের আশায় পুঁজিবাজার ইতিবাচক ধারায় ফিরেছে বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা।

সাপ্তাহিক ব্যবধানে দেশের উভয় স্টক এক্সচেঞ্জে সূচক ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতা বিরাজ করেছে। সূচক বাড়লেও লেনদেন কিছুটা কমেছে। সপ্তাহজুড়ে লেনদেন হওয়া পাঁচ কার্যদিবসের দুদিন রেড সিগন্যাল থাকলেও বাকি তিন দিনই বেড়েছে সূচক। আর এ বৃদ্ধির হারও তুলনামূলকভাবে কিছুটা বেশি। একইসঙ্গে বেড়েছে লেনদেন হওয়া বেশিরভাগ প্রতিষ্ঠানের শেয়ার দর। এরই ধারবাহিকতায় সপ্তাহশেষে ডিএসইতে গড় লেনদেন হয়েছে ৭২০ কোটি টাকা, যা গত সপ্তাহের তুলনায় ৯.৪৭ শতাংশ কম।

বিশ্লেষণে দেখা গেছে, সপ্তাহিক ব্যবধানে ডিএসইর প্রধান সূচক ডিএসইএক্স ৩১.৬৯ পয়েন্ট বা ০.৬৬ শতাংশ বেড়েছে। আর ডিএসইএক্স শরিয়াহ সূচক ১৬.২৪ পয়েন্ট বা ১.৪৩ শতাংশ ও ডিএসই ৩০ সূচক ১৮.১৬ পয়েন্ট বা ১.০৩ শতাংশ বেড়েছে।

সপ্তাহজুড়ে ডিএসইতে ৩৩০টি কোম্পানির শেয়ার ও ইউনিট লেনদেন হয়েছে। এর মধ্যে দর বেড়েছে ১৮৭টি, কমেছে ১০৭টি, অপরিবর্তিত রয়েছে ৩৪টি এবং লেনদেন হয়নি দুটি কোম্পানির। এগুলোর ওপর ভর করে মোট ৩ হাজার ৬০০ কোটি ৫০ লাখ ৭ হাজার ৫৩২ টাকা লেনদেন হয়েছে। দৈনিক গড় হিসাবে এ লেনদেন হয়েছে ৭২০ কোটি ১০ লাখ ১ হাজার ৫০৬ টাকা। আগের সপ্তাহে মোট ৩ হাজার ৯৭৭ কোটি ১৬ লাখ টাকা লেনদেন হয়েছিল। সে হিসাবে আগের সপ্তাহের তুলনায় ডিএসইতে লেনদেন কমেছে ৯.৪৭ শতাংশ।

মোট লেনদেনের ৮৬.৩৮ শতাংশ ‘এ’ ক্যাটাগরিভুক্ত, ২.৯১ শতাংশ ‘বি’ ক্যাটাগরিভুক্ত, ৯.২৩ শতাংশ ‘এন’ ক্যাটাগরিভুক্ত এবং ১.৪৭ শতাংশ ‘জেড’ ক্যাটাগরিভুক্ত কোম্পানির শেয়ার ও ইউনিটের মধ্যে হয়েছে।

এদিকে, দেশের অপর শেয়ারবাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই) প্রধান সূচক সিএসইএক্স বেড়েছে ৬০.৯৭ পয়েন্ট ০.৬৮ শতাংশ। সপ্তাহজুড়ে সিএসইতে তালিকাভুক্ত মোট ২৮৫টি কোম্পানি ও মিউচ্যুয়াল ফান্ডের শেয়ার লেনদেন হয়েছে। এর মধ্যে দর বেড়েছে ১৭৬টি কোম্পানির। আর দর কমেছে ৯২টির এবং অপরিবর্তিত রয়েছে ১৭টির। আর সপ্তাহজুড়ে লেনদেন হয়েছে ২২১ কোটি ৩২ লাখ ৮১ হাজার ৩১০ টাকার শেয়ার।

গত সপ্তাহে দেশের প্রধান শেয়ারবাজার ডিএসইতে লেনদেনের শীর্ষে উঠে এসেছে প্রকৌশল খাতের কোম্পানি বাংলাদেশ বিল্ডিংস সিস্টেমস লিমিটেড। অন্যদিকে সিএসইতে একই অবস্থানে রয়েছে সিমেন্ট খাতের কোম্পানি লাফার্জ সুরমা সিমেন্ট লিমিটেড।

ডিএসইতে গত সপ্তাহে লেনদেনের শীর্ষে থাকা বাংলাদেশ বিল্ড্রিংসের মোট ২ কোটি ৬২ লাখ ৮৭ হাজার ১০১টি শেয়ার লেনদেন হয়েছে, যার বাজারমূল্য ১১৩ কোটি ৩ লাখ ৮৫ হাজার টাকা এবং পুরো বাজারে লেনদেনের ৩.১৪ শতাংশ। এ ছাড়া লেনদেনের শীর্ষে থাকা অন্যান্য কোম্পানির মধ্যে কাশেম ড্রাইসেলের শেয়ারে লেনদেন হয়েছে ৯৩ কোটি ৬০ লাখ ৫২ হাজার টাকা, ডোরিন পাওয়ারের ৮৯ কোটি ৮৮ লাখ ৩ হাজার টাকা, লাফার্জ সুরমার ৮৭ কোটি ৫২ লাখ ৪৯ হাজার টাকা, বেক্সিমকো লিমিটেডের ৮২ কোটি ৭৫ হাজার টাকা, ন্যাশনাল টিউবসের ৭৭ কোটি ৩০ লাখ ৮৪ হাজার টাকা, শাশা ডেনিমসের ৭৬ কোটি ১৯ লাখ ২৮ হাজার টাকা, ফরচুন সুজের ৬৯ কোটি ৫৫ লাখ ৬৫ হাজার টাকা, আরএসআরএম লিমিটেডের ৬৮ কোটি ১০ লাখ ৭৩ হাজার টাকা এবং গোল্ডেন হার্ভেস্টের শেয়ারে লেনদেন হয়েছে ৬৭ কোটি ৬০ হাজার টাকা।

অন্যদিকে, সিএসইতে সাপ্তাহিক লেনদেনের শীর্ষে থাকা লাফার্জ সুরমার ১৪ লাখ ৫ হাজার ৫৬০টি শেয়ার লেনদেন হয়েছে। যার বাজারমূল্য ১০ কোটি ৭৮ লাখ ৯৫ হাজার টাকা। এ ছাড়া লেনদেনের শীর্ষে থাকা অন্যান্যের মধ্যে বেক্সিমকো লিমিটেডের শেয়ারে লেনদেনে হয়েছে ৯ কোটি ৩৮ লাখ ৮১ হাজার টাকা, ব্সিআরএম লিমিটেডের ৭ কোটি ৬৪ লাখ ৫৬ হাজার টাকা, ফরচুন সুজের ৬ কোটি ৫৭ লাখ ৬৫ হাজার টাকা, আরএকে সিরামিকের ৬ কোটি ৫৩ লাখ ৫৭ হাজার টাকা, জেনারেশন নেক্সটের ৫ কোটি ১৫ লাখ ৯০ হাজার টাকা, অলিম্পিক এক্সেসরিজের ৪ কোটি ৯৭ লাখ ৫০ হাজার টাকা, পেনিনসুলার ৪ কোটি ৬৮ লাখ ২৯ হাজার ‍টাকা, কেয়া কসমেটিক্সের ৪ কোটি ১৫ লাখ ৯৫ হাজার টাকা এবং ন্যাশনাল ব্যাংকের শেয়ারে লেনদেন হয়েছে ৪ কোটি ৬৯ হাজার টাকা।

 

 

 

রাইজিংবিডি/ঢাকা/৩ ডিসেম্বর ২০১৬/আশিক/হাসান/সাইফুল

রাইজিংবিডি.কম

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়