নিয়ম না মেনে ভবন নির্মাণ, নিষেধ করায় কাউন্সিলরের বিরুদ্ধে মামলা
মানিকগঞ্জ প্রতিনিধি || রাইজিংবিডি.কম
মানিকগঞ্জে শহীদ রফিক সড়ক এলাকায় ইমারত নির্মান আইন না মেনে ভবন নির্মানে নিষেধ করায় স্থানীয় কাউন্সিলর শায়েখ শিবলীর বিরুদ্ধে মামলা করেছেন ওই ভবনের মালিক সুনীল কুমার সেন।
মঙ্গলবার (৩ জানুয়ারি) বিকেলের দিকে মানিকগঞ্জ পৌরসভার ৬ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর শায়েখ শিবলী বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
মানিকগঞ্জ পৌরসভা কার্যালয় থেকে জানা যায়, সুনীল কুমার সেন প্রায় সাত শতাংশ জমির ওপর একটি বাণিজ্যিক ভবণ নির্মাণে অনুমোদন নেন। তবে বর্তমানে ভবন নির্মাণে পৌরসভা থেকে অনুমোদিত নকশার সামঞ্জস্যতা নেই। এজন্য অবৈধ নির্মাণ কাজ বন্ধসহ নির্মিত অংশ তিন দিনের মধ্যে অপসারনের নোটিশ প্রদান করা হয়েছে।
সরেজমিনে গতকাল দুপুরের দিকে শহীদ রফিক সড়কে গিয়ে দেখা গেছে, পৌরসভা কর্তৃপক্ষ নকশা বহির্ভূত ও অবৈধ ইমারতের নির্মাণ কাজ বন্ধসহ নির্মিত অংশ অপসারণের জন্য লিখিত নোটিশ প্রদান করলেও তোয়াক্কা না করে অব্যাহত রয়েছে নির্মাণ কাজ।
ভবনের মালিক সুনীল কুমার সেনের সঙ্গে কথা বলতে গেলে তাকে পাওয়া যায়নি। তার ছেলে সুমীর কুমার সেন এ প্রতিবেদককে তথ্য নিতে হাইকোর্টে গিয়ে খোঁজ করার পরামর্শ দেন। এছাড়া নির্মাণাধীন ভবনে বিনা অনুমতিতে প্রবেশ নিষেধ বলেও মন্তব্য করেন তিনি।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কয়েকজন স্থানীয় বাসিন্দারা বলেন, সুনীল ও তার ছেলে সুমীর নিজেদের মন্ত্রী মিনিস্টারের মতো মনে করেন। তার ছেলে সুমীরের সঙ্গে কেউ ভয়ে কথাও বলতে যায় না। ভালো পরামর্শ দিলেও তারা খারাপ আচরণ করেন। ওই ভবন নির্মাণ নিয়ে তাদের পারিবারিক ঝগড়া রয়েছে। এছাড়া তারা পৌরসভা কর্তৃপক্ষকেও কর্নপাত করেন না।
স্থানীয় কাউন্সিলর শায়েখ শিবলী বলেন, ‘জনপ্রতিনিধি হিসেবে আমি বিষয়টা জানার পর তাদের পৌর আইন মেনে ভবন নির্মাণ করার অনুরোধ করি। তবে ভবনের মালিক সুনীল কুমার সেন আমার নামে আদালতে চাঁদাবাজির মিথ্যা মামলা করেন। তাদের এমন ব্যবহারে আমি বিব্রত। আইন অমান্য করে ভবন নির্মাণের কোন সুযোগ নেই। পৌর কতৃপক্ষ অবশ্যই ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন।’
সুশাসনের জন্য নাগরিক (সুজন) মানিকগঞ্জ জেলার আহ্বায়ক ইকবাল হোসেন কচি বলেন, ‘ছোট শহরে বেপরোয়া অবকাঠামো নির্মাণে দ্রুত নিয়ন্ত্রণ আনতে হবে। নয়তো যেকোন সময় দুর্ঘটনা ঘটতে পারে। পৌরসভাকে আরো বেশি সজাগ ভূমিকা পালন করতে হবে।’
মানিকগঞ্জ পৌরসভার নির্বাহী প্রকৌশলী বেল্লাল হোসেন বলেন, ‘এই ভবনের বিষয়ে আমরা একটি অভিযোগ পাই। সরেজমিন পরিদর্শন করে অভিযোগের সত্যতা পাওয়ার পর আমরা লিখিতভাবে নির্মাণ কাজ বন্ধ এবং অতিরিক্ত অংশ অপসারণের নোটিশ প্রদান করি। এরপরও নির্মাণ কাজ অব্যাহত থাকলে তার বিরুদ্ধে ইমারত বিধিমালা ভঙ্গের আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
চন্দন/ মাসুদ