ঢাকা     বৃহস্পতিবার   ১৮ ডিসেম্বর ২০২৫ ||  পৌষ ৩ ১৪৩২

Risingbd Online Bangla News Portal

ইউটিউব দেখে স্ট্রবেরি চাষ, এক মৌসুমে আয় ৩০ লাখ টাকা

রফিক সরকার, গাজীপুর || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ১৭:৩১, ৮ মার্চ ২০২৫   আপডেট: ১৭:৩৯, ৮ মার্চ ২০২৫
ইউটিউব দেখে স্ট্রবেরি চাষ, এক মৌসুমে আয় ৩০ লাখ টাকা

তিন বছর আগে আমির হোসেন ইউটিউবে স্ট্রবেরি চাষ দেখার পর এই চাষের প্রতি আগ্রহী হন। স্থানীয় এনজিওর সহায়তায় প্রথমবার স্ট্রবেরি চাষ শুরু করেন তিনি। পরে বড় ভাইয়ের সফলতা দেখে ২০২৪ সালে ছোট ভাই জমির হোসেনও দুই বিঘা জমিতে স্ট্রবেরি বাগান তৈরি করেন। 

যদিও তিনি প্রথম বছর লাভের মুখ দেখেননি, তবে বর্তমানে তিনি একটি বাগান থেকে এক মৌসুমে প্রায় ১০ লাখ টাকা আয় করছেন। দুই ভাইয়ের চাষ করা স্ট্রবেরি স্থানীয় বাজারগুলোর চাহিদা পূরণ করার পাশাপাশি দেশের বিভিন্ন জায়গায়ও পাঠাতে পারছেন।

জমির হোসেন ও আমির হোসেন নিজেদের ৬ বিঘা জমিতে আলাদাভাবে স্ট্রবেরি চাষ করে আয় করেছেন প্রায় ৩০ লাখ টাকা। দুই ভাইকে দেখে স্থানীয়ভাবে এখন স্ট্রবেরি চাষের প্রবণতা বেড়েছে। দুই ভাইয়ের সফলতা দেখে অন্য কৃষকরাও স্ট্রবেরি চাষে উৎসাহিত হচ্ছেন।

স্ট্রবেরি চাষি জমির হোসেন ও আমির হোসেন গাজীপুরের শ্রীপুর উপজেলার গোসিংঙ্গা ইউনিয়নের উত্তর পেলাইদ গ্রামের মৃত আব্দুল হালিমের ছেলে।

জমির হোসেন পেশায় একজন কৃষক আর আমির হোসেন পেশায় একজন আইনজীবী। আমির হোসেন ইতোমধ্যে চার বিঘা জমিতে উচ্চ ফলনশীল অন্যান্য ফসল চাষ করে সাফল্য অর্জন করেছেন। 

জমির হোসেন এখন ৫ লাখ টাকার স্ট্রবেরি বিক্রি করেছেন এবং আরো ১৫ লাখ টাকার বিক্রির আশা করছেন। অন্যদিকে, আমির হোসেন ৮ লাখ টাকার স্ট্রবেরি বিক্রি করেছেন এবং আরো ২০ লাখ টাকার বিক্রির আশা করছেন।

জানা গেছে, তারা ৬ বিঘা জমিতে ৩৮ হাজার চারা রোপণ করেছেন। স্ট্রবেরি গাছগুলোতে শোভা পাচ্ছে সাদা ফুল, সবুজ কাচা ফল এবং পাকা লাল স্ট্রবেরি। বাগানের চারপাশে জাল দিয়ে ঢেকে রাখা হয়েছে। প্রতিদিন ৫-৬ জন নারী শ্রমিক স্ট্রবেরি সংগ্রহ করছেন।

আঞ্চলিক কৃষি কর্মকর্তারা জানান, শ্রীপুরে স্ট্রবেরি চাষের ব্যাপক সম্ভাবনা রয়েছে। কৃষি বিভাগ কৃষকদের সহায়তা প্রদান করছে এবং অনেক কৃষক এই চাষে উদ্বুদ্ধও হচ্ছেন।

বাগানে কাজ করা শ্রমিকরা জানান, স্ট্রবেরি চাষে তাদের ভালো লাগে। তারা প্রতিদিন ফল তুলে বিভিন্ন স্থানে পাঠিয়ে দেন।

আমির হোসেন বলেন, স্ট্রবেরি চাষে লাভের পরিমাণ ভালো। প্রতি বছর ২০ থেকে ২৫ লাখ টাকা লাভ হয়। একই কথা বলেনও জমির হোসেনও।

শ্রীপুর উপজেলা কৃষি অফিসার কৃষিবিদ সুমাইয়া সুলতানা বন্যা বলেন, ‘‘শ্রীপুরে ফল ও সবজি উৎপাদন অনেক বেশি। এই দুই সহোদর ভাইয়ের সফলতা অন্য কৃষকদের জন্য উদাহরণস্বরূপ।’’

ঢাকা/এনএইচ

সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়